আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তদান নিয়ে যত কথা

স্বাগতম আমার নষ্ট করা কাগজের ভীড়ে ।  উনিশ বছরে পা দেয়ার পর থেকেই রক্ত দানে কিপটেমি করছি না । এ ই বছরেই রক্ত দেয়া হয়েছে তিন বার । বিষয়টা খুব ইম্পোর্টেন্ট । কিছু স্ট্যাটিসটিকস হাতে লাগল ।

তাই লিখে ফেললাম । বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন পড়ে । যার মধ্যে ২৪% আসে স্বেচ্ছা রক্তদানকারীদের কাছে থেকে । নিকটাত্মীয়কে রক্ত দান করে ৬২% । আর বাকিটা আসে পেশাদার ডোনারদের কাছ থেকে ।

আশংকা হচ্ছে এই যে তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত । আর তাই আমাদের উচিত স্বেচ্ছায় রক্তদান করা এবং অপরকে উত্সাহিত করা । ১৮ থেকে ৬০ বছরের মাঝামাঝি বয়স এবং ৪৫ কেজির অধিক ওজন হলেই আপনি রক্ত দিতে পারবেন । তাছাড়া রক্ত দানের সময় আপনার নর্মাল বডি টেম্পারেচার এবং ব্লাড প্রেসারও থাকতে হবে । তিন বছরে মাঝে যদি আপনি জন্ডিস দ্বারা আক্রান্ত হন তবে আপনি রক্ত দিতে পারবেন না ।

চাইলেই কিন্তু রক্ত দেয়া যায় না । যদি আপনি ড্রাগ এডিক্টেড অথবা ৪৮ ঘন্টার মাঝে এলকোহলিক হয়ে থাকেন তবে আপনি রক্ত দিতে পারবেন না । তাছাড়া যারা সার্জারি করেন তারা ৬ মাসের আগে এবং প্রেগনেন্ট ও রিসেন্ট এবোরশন করেছেন এমন মহিলারা রক্ত দিতে পারবেন না । আপনি সমকামী হলে কিংবা HIV+ কারো সাথে যৌনমিলন করলে ১২ মাসের মাঝে রক্ত দিতে পারবেন না । মাল্টিপল সেক্স পার্টনার রক্ত প্রদানের পথে অন্যতম বাধা ।

আপনার যেকোন কিডনি কিংবা হার্টের রোগ থাকলে রক্ত দিতে পারবেন না । পুরো রক্তদান প্রক্রিয়া কেবল ৩০ মিনিট লাগে যার মধ্যে রক্ত নিতে কেবল ৫-৬ মিনিট লাগে । বাকি সময়টা লাগে রক্ত দানের আগে টেস্ট এবং পরে রেস্টের জন্য । রক্ত দান করার আগে আপনার চারটি রোগ থেকে সিকিউরিটি টেস্ট করা হয় -HIV, হেপাটাইটিস বি এবং সি ,ম্যালেরিয়া এবং সিফিলিস । যেকেউ একবার রক্তদানের ৫৬ দিন পর পুনরায় রক্ত দিতে পারবে ।

এ সময়ে লোহিত কনিকার পূনঃসৃষ্টি হয়ে গ্যাপ পূরন করে । কিছু মিসকনসেপশন আছে যার কারনে আমরা রক্ত দান থেকে দূরে থাকি । এগুলো দূর করা প্রয়োজন - অনেকে মনে করে যে ,রক্ত দান করলে রক্ত কমে যায় কিংবা দুর্বলতা দেখা যায় । না ,রক্ত দান করার পরেও আপনার দেহে পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত থাকে । আপনি রক্ত দান করলে দুর্বলতা অনুভব করবেন না এমনকি রক্ত দিতে গেলে আপনি ব্যাথা পাবেন না ।

রক্ত প্রদানের পর আপনার আনকমফোর্টেবল ফিল হবে না এমনকি আপনি নর্মাল এক্টিভিটি চালিয়ে যেতে পারবেন ,যদিও বার ঘন্টা কোন ভারী কাজ না করাই ভালো । আমার কাছে রক্ত দানের সবচেয়ে উপকারি দিকটা কি মনে হয় জানেন ? মানসিক প্রশান্তি । রক্ত দানের পর একটা আলাদা সুখ অনুভূত হয় যা আপনার ভয়কে ছাপিয়ে যায় । একবার রক্তদান করা মানে একটা বাধঁন সৃষ্টি । রক্তের বাধঁন ।

আর তাই আপনার এক ব্যাগ রক্ত তথা আপনার আন্তরিকতা একজনের জীবন বাচাঁবে । এরচেয়ে বড় সুখানুভূতি আর কি হতে পারে ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.