সুখের লাগি কত মানুষ কত কিছু যে করে তার তো কোন লেখাযোখা নাই। আমি কেবল একজনরে বিয়ে করেছিলাম। তারে সুখ দেয়ার জন্য, নিজে সুখ পাওয়ার জন্য। তার ছিল পোড়া মন। প্রথম স্বামী তাকে অনেক মানসিক ও শারীরিক কষ্ট দিয়েছিল - আমি দিনের পর দিন সেগুলো শুনে সেই পোড়া মনের সঙ্গী হয়েছিলাম।
তার মন নাকি কেউ বুঝে না; আমি বুঝে গেছিলাম।
তার একা মনের ভার কিছুটা কমানোর জন্য কাধটা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
পরিববারের কাউকে না জানিয়ে তাকে বিয়ে করলাম। কারন জানি, পরিববারের কেউই তাকে মেনে নেবে না। মেনে নেয়নিও।
মা, বড় ভাই, ভাবি - আত্মীয় স্বজন সবাইকে ছাড়লাম। বাবা ততদিনে গত হয়েছেন। তাকে বুঝিয়ে পারিনি। সব কিছু ছেড়ে যাকে নিয়ে ঘর বাঁধলাম সেও শর্ত আরোপ করে দিল যে আত্মীয়-স্বজন কারো কাছে যাওয়া যাবে না। নইলে তাকে তালাক দিতে হবে।
তালাক!!!
আমি আকাশ থেকে পড়ি। কিরে, বিয়ে হয়েছে ছয় মাসও যায়নি। এর ভেতরই তালাকের বিষয় চলে আসল? আমার হা করা মুখ বন্ধ করে দিয়ে সে বলল, " আমার আগের স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছিল, তার থেকে কাবিনের টাকা বাবদ ৩ লাখ টাকা আদায় করেছি। তোমার থেকে আদায় করব ৫ লাখ। সুতরাং সাবধান।
"
আমি দমে যাই।
আমি সব চেপে যাই।
আমি সব মেনে নেই।
এরপর আমাদের ছেলের জন্ম হল। আমি আস্বস্ত হলাম, ছেলে পেয়ে হয়ত মেঝাঝ ঠান্ডা হবে।
ছেলের ৮/৯ মাস বয়স থেকেই তাকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া হল নানি বাড়ি। আমি আপত্তি জানালাম - ছোটা বাচ্চা মা ছাড়া কিভাবে থাকবে? আর আমি বাপ আমিই বা তাকে নানির বাড়ি রাখব কেন।
শুনল না।
বলল, " আমি মডেলিং করব। .... আপার সাথে কথা হয়েছে।
আমার ঝামেলা হবে। তুমি আমাকে উৎসাহিত কর। বাধা দিও না। "
আমি দিলাম না।
এরপর আজ এই আপা আসছে।
কাল ওই ভাইয়ের মিটিং।
পরশু গ্রুপ আলোচনা।
আমি অফিস যাই; ফিরে আসি; রাতে ঘুমাই; আবার অফিস যাই......।
আমি পুড়ে যেতে থাকি।
হাঁ লাভ হয়েছে, ৪ বছর চেষ্টা-যোগাযোগ-খরচের পর সে একটা ২০ সেকেন্ড এডের ৩ সেকেন্ডের উপস্থিতি আর একটা সিরিয়ালের একটা পর্বে আধা মিনিটের জন্য এক বোবা মহিলার চরিত্র।
আর এদিকে আমি পুড়তে থাকি, পুড়তে থাকি, পুড়তে থাকি.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।