আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম লুলীয় পোস্ট ( ট্রায়াল) । আপুমণিদের প্রবেশ নিষেধ ।

বকলম ব্লগ-- লোলদের জন্য অবারিত দ্বার লুল ভাইয়েরা কেমন আছেন? আমি নিজেকে একজন লুল মনে করি কিন্তু এই বিষয়ে কোন লেখা লেখি নাই। তাই আজ প্রথম বারের মত লেখার চেষ্টা করছি। তবে এই লেখাটি ফুল ভার্শন নয় ট্রায়াল ভার্শন হিসেবে রিলিজ দিলাম। যেহেতু এটি একটি লুল পোস্ট তাই পিচ্ছিল হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে তাই নিজ দায়িত্বে সাবধানে পড়ার অনুরোধ করছি। পিছলা খাইয়া পরলে আমার দোষ নাই ত লুল ভাইয়েরা ছোট বেলার লুলদানী বাইর করা গলায় পেচায়া বসেন।

না ভিজলে কইয়েন পানি ডাইল্যা দিমু নে। আমি যা বলব সব সত্য ঘটনা, ঘটনা-১: সেদিন ছিল পরিক্ষা। বিকালে পরিক্ষা ছিল। বাসার সাথেই পরিক্ষার হল থাকার কারণে একটু পরেই বের হতাম। ব্যপারটা হল বাড়ির কাছের মানুষ গাড়ি ফেল করার মত।

যথারীতি পরিক্ষা শুরুর কিছুক্ষন আগে খাতা দিয়ে দেয়া হল । প্রচন্ড হিসু পাওয়ার কারণে আমি তাড়াতাড়ি বাথরুমে গেলাম। ওমা গিয়ে দেখি আরো দুই ফ্রেন্ড সিরিয়ালে খাড়া কি আর করা আমি তিন নম্বরে খাড়াইলাম। এইসময় ইবলিশ আমার উপর ভর করল কানে কানে কানপড়া দিল। আমি বুঝিয়া লইলাম।

যখন বাথরুমে ডুকার সময় হইল মানে প্রথম বন্ধুর ডুকার পালা। আমি কইলাম খাড়া আইজকা সবাই একলগে হিসু করমু ইবলিশ কি তাদের উপরও ভর করেছিল কি আমার কাছে থেকে আবেশিত হয়েছিল তা বুঝলাম না। তারা দুইজনেই রাজি হইল। ত ডুকিয়া গেলাম । এখন কে আগে শুরু করব এই নিয়া ঝামেলা হাতে সময় নাই তার উপর আমিই প্রস্তাবকারী কাজেই আমারই শুরু করতে হইল।

যেহেতু আমরা স্বজাতীয় তাই কারো তাকানোর ইচ্ছা কারো ছিল না। যাই হোক তিনজন মিলিয়া শুরু করিলাম । এইখানে একটা ফ্ল্যাশব্যাক ইমো দরকার ছিল সামুর ইমো গুলোতে আরো কিছু ইমো দরকার। (ঢগজফজডফগজ)এইটা একটা ফ্ল্যাশব্যাক ইমো মনে করলাম, মনে পরিতে লাগিল ছোট বেলার কথা ,ক্ষেতের আইলে খেলার সাথীরা মিলিয়া সিরিয়ালে বসিয়া ইয়ে করিতাম: আর মাটির ঢেলায় সৌচ করিতাম। আহা দিনগুলি মোর সোনার খাচায় রইল না।

বাস্তবে ফিরিয়া আসিলাম, কিঞ্জিত কষ্ট হইতে লাগিল এমন সময় ইবলিশ মাথায় টোকা দিয়া কইল গাধা, এইডা ত তোর সেই আগের দিনের ইয়ে করার লেটেস্ট ভার্শন যাই হোক সেই মহৎ কর্ম সাধন করিয়া পরীক্ষা হলে ফিরিয়া আসিলাম। সেই দিন ইবলিশ মনেহয় পণ করিয়াই আমার কাছে আসিয়াছিল। পরীক্ষার হলের ডিউটিতে যে স্যার পড়ছিল সে খুব সহজ এবং বন্ধুত্বপুর্ন ত আমরা হালকা কথাবার্তা বললেও বেশী কিছু বলত না। আমি একবার ঘাড় গুরাইয়া পিছনের বন্ধুর সাথে কথা কইতে চাইছিলাম স্যার বলল পিছনে কি ??? আমি বললাম স্যার আলোচনা করছি। স্যার বলল পরিক্ষার হলে কথা বল কেন?? আমি বললাম স্যার প্রশ্নে বলা আছে "ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের আত্নকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র গুলো আলোচনা কর?" তাই আলোচনা করতেছি।

ত রুমে হাসাহাসি শুরু হইল আর আমি ধমক খাইলাম। যাইহোক এই কথা অনেক আগে এক স্যারের নিকট হইতে শিখিয়াছিলাম আজ কাজে খাটাইয়া দিলাম। B- ঘটনা ২: আগেই বলে নিই আমার আবার ছোট পুলাইপানদের সাথে মিল বেশী। এখনও বাড়িতে গেলে পুলাইপানদের নিয়া সময় কাটাই । আসল ঘটনা হইল আমি আগে একটা মেসে থাকতাম সেখানের।

অই মেসের আশে পাশে অনেক ছোট ছোট পুলাপান ছিল। আমি একদিন এক বন্ধুকে নিয়ে বাইরে বের হব এমন সময় দেখি এক পিচ্চি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করছে। আমি বললাম এই তুমি কি করছ। কয় মেশিন মেশিন খেলছি। আমি বললাম রাস্তার মাঝে কেন সড়ে দাঁড়াও।

পিচ্চি কয় "মেশিন গুঁড়াইয়া ধরমু কিন্তু" এই বলে আমাদের দিকে ঘুরতে থাকে আমরা দৌড়ে সরে যাই। এরপরে এখনো মাঝে মাঝে পিচ্চির সেই "মেশিন গুঁড়াইয়া ধরমু কিন্তু" কথাটি নিয়ে হাসাহাসি হয়। ডিজিটাল যুগের পুলাইপান। আরেকটি ঘটনা, এইটাও ঘটেছিল এক বন্ধুর সাথে তাকে আমি মিতা ডাকতাম নামে মিল থাকার কারণে। রাত ১১ টার দিকে মিতা কয় বিড়ি খাইব আমি আবার বিড়ি খাইনা তাই বলি তুই যা আমি যামু না।

সে কয় চল ঠান্ডা খয়ামু। ফ্রী পাইলে লোকে নাকি নতুন জামায় আলকাতরা মাখায়। আমিও খাড়ার উপর রাজী হইয়া গেলাম। দোকান থেকে ফেরার সময় প্রায় ১২ টা বাজে রাস্তায় মানুষ বলতে আমরা দুইজন। প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী লোডশেডিং শুরু হয়ে যায় সব অন্ধকার।

এই সুযোগে ইবলিশের আগমন তয় এইবার আমার উপর না মিতার উপর। ইবলিশে মনেঅয় বারবার একজনের উপর ভর করতে লাইক করে না বা আমাকে তার পছন্দ হয় নাই। যাই হোক মিতা কয় দিনের বেলা ত সুযোগ পাই না আইজকা পাইছি এই বলে রাস্তা দিয়া আসে আর হিসু করে পিচ্চির মতন মেশিন ঘুরাইয়াসাপের মত আকবাকা কইরা। আমি ত দেইখা শুধু হাসি। আমার প্রথম লুল পোস্ট উৎসর্গ করলাম প্রিয় ব্লগার চেয়ারম্যান ০০৭, ঘুড্ডির পাইলট( রাফাত নূর) ,নাফীস কাজী ,জেমস বন্ড প্রথম লুলিয় পোস্ট তাই খুব ভাল হয় নাই হয়ত।

কিন্তু ঘটানগুলো একদম সত্যি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.