I have recognized God from the breaking of my plans ( Hazrat Ali [R.A] ) এ কী দেখলাম এই দেশে? এমন হবার কথা ছিল না, দেশকে আমরা এমন দেখতে চাই নি। কী রাজনীতির দুষ্ট চালে পড়ে গেলাম আমরা। বিডি নিউজ ২৪এর খবরে প্রকাশ, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা এক হামলায় রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, প্রথম আলোর সংবাদে জানা যায়, কক্সবাজারের রামু উপজেলার পর এবার চট্টগ্রামের পটিয়ার লাখেরা অভয় বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরসহ পাঁচটি শাখামন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে, পরে একটি হিন্দুমন্দিরও ভাঙচুর করা হয়। হঠাৎ করে কোন রূপ পূর্বাভাষ ছাড়া কিভাবে এ ঘটনা ঘটল? কেনই বা ঘটল?
আমরা মুসলিম, পৃথিবীর মধ্যে এক মাত্র জাতি, যারা এক আল্লাহর নামের পতাকা এখনও এই ইহ-জাগতিক বিশ্বে তুলে ধরে রেখেছি।
শত আঘাত, দুঃখ আর রক্তের দরিয়া নিয়েও আমরা এই নিশান ধরে আছি, এই নিশানে অন্যায়ের দাগ ফেলতে দিতে পারিনা। কেন হঠাৎ করে এত ধৈর্যহারা হতে হবে? কেন নিরাপদের বাড়ি আক্রমণ করা হবে? এই প্রশ্নের কি কোন জবাব নেই?
কী কারণে হঠাৎ বাংলার কতিপয় মুসলিম ধৈর্যহারা হলেন? আমরা সাধারণ জ্ঞানে বলতে পারি রাত ১১টার সময় মানুষ এভাবে উত্তেজিত হতে পারে না। কেউ তাদের ব্যবহার করেছে, হয়ত কোন অসৎ উদ্দেশ্যে। ইন্টারনেট ও ফেইচবুকে ইদানীং মুসলিমদের উত্তেজিত করতে একের পর এক ছবি আপলোড করা, হাজারো মানুষকে ট্যাগ করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। একদল মানুষ সাধারণ মুসলিমদের উত্তেজিত করে বিকৃত স্বাদ উপভোগ করে।
যেন ইসলামের নবী কিংবা কুরআন নিয়ে ফান না করলে তাদের ঘুম আসে না। কিন্তু এতে যে সাধারণ মুসলিমদের মন বারুদের মত হয়ে উঠছে তার খবর কেউ রাখে না। এই সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো সুবিধাবাদি রাজনীতিবিদ জাস্ট ঐ বারুদের মুখে আগুন লাগিয়ে দেন। এ আগুন ঝলসে উঠে, ছড়িয়ে পড়ে দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
কী বলব? কিভাবে এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।
যদি আজ কোন মসজিদে এমন করা হত, কেমন লাগত আমাদের? বুঝতে পারি আপনাদের কষ্ট, কিছুদিন আগেই না আপনাদের পাশের রেহিংগাদের মারা হল, এ জন্য অনেক অবিশ্বাস আপনাদের মনে বাসা বেধে ছিল। কিন্তু আপনারা কি আরেকটু ধৈর্যশীল হতে পারলেন না? ঐ বাড়ি ঘরে হয়ত অনেক নিরপরাধ মানুষ, শিশু ঘুমিয়ে ছিল। কি দরকার এই ত্রাস তৈরি করার। কিভাবে আমরা মুখ দেখাব রসূল সা: এর কাছে, কি জবাব দিব আল্লাহ পাকের কাছে?
সরকারের কাছে অনুরোধ এ সব ঘটনার কারিগরদের ধরা হোক। তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
স্বল্প কিছু মানুষের অপরাধ আমরা সকলে নেব কেন? বাংলাদেশে কম পক্ষে ১৩ কোটির উপরে মুসলিমদের বসবাস। মাত্র ৫০০ জন মানুষের ভুলের দায় সবাই কেন নিবে ? এই সব মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার মূল কারিগরদের সংখ্যা আরও অনেক কম, ঐ কারিগরদের ধরা হোক, এই অন্যায়ের বিচার করা হোক।
বাংলাদেশ, এর তিন দিকে (কার্যত) বহুশ্বরবাদী ভারত, পূর্বে নিরীশ্বরবাদী বার্মা, উত্তরে নাস্তিক্যবাদী চীন আর দক্ষিণে সাগর মহাসাগর। এর ভিতরেই মাথা উঁচু করা এক ফুল, এক স্রষ্টাবাদী বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ। হে বাংলার জনগণ! আপনারা সতর্ক হোন, আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিন।
দয়াকরে, শয়তানদের পেতে রাখা ফাঁদে আর পা দিয়েন না। মসজিদ, মন্দির ভাঙ্গার বিদেশী অপসংস্কৃতি আমরা আর দেখতে চাই না। এ দুঃখের দরিয়া শেষ হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।