আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি : ৫১:
ঢাকায় আসার সময় আমার বাবা তিনজন মানুষের কথা বিশেষ করে আমাকে বলে রেখেছিলেন। জানিয়ে রেখেছিলেন, আমি যে সব সময় তাদের সাথে যোগাযোগ রাখি। আমি সেটা চেষ্টা করেছি।
তিনজনের একজন মিজান ভাই, উনি বকশিবাজারের বোর্ড অফিসে চাকুরী করেন, আরেক জন নাজিম কাকা এবং ফারুক ভাই। শেষের জন ফারুক ভাই থাকতেন বঙ্গবন্ধু হলের ৩০৬ নম্বর রুমে। আমাদের থানা থেকে তখন একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফারুক ভাই।
আমি তিনজনের সাথেই সমান যোগাযোগ রাখতান, এরা সকলেই আমাকে পছন্দ করতেন । বিশেষ করে আমার সুবিধা অসুবিধা খেয়াল রাখার দিকে তারা সব সময় সচেতন ছিলেন।
তাদের তিনজরে কাছেই আমার কৃতজ্ঞতা সীমাহীন। আমার বাবা তার এ তিন অনুজকে কোনো বিশেষ কারণে পছন্দ করতেন, তা আমি জানি না। তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই নগরে আমার মাথার ওপর ছায়া আছে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। মিজান ভাই এখনো বোর্ড অফিসেই চাকুরী করেন।
নাজিম কাকা ব্যবসা করেন। ফারুক ভাই লন্ডন প্রবাসী।
সময়ের সাথে সাথে এখানে আরো অনেকে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধূরী। অন্যতম।
মতি ভাই আমাকে অশেষ স্নেহ করেন। আরেকজন মাসুমুর রহমান খলিলী। আমার দেখা অসাধারণ একজন মানুষ। এ রকম সৎ, সজ্জন এবং দেশের প্রতি অনুগত মানুষ আমার সাংবাদিকতা জীবনে দ্বিতীয়টি দেখিনি।
খলিলী ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ২০০৪ সালে।
আমি যখণ মানবজমিন ছেড়ে গেলাম, তখন। এখনো তিনি আমার সবচেয়ে বড় আশ্রয়ের জায়গায় আছেন। সুসময় দু:সময়ে আমি তাকে কাছে পেয়েছি। তার পরামর্শ এবং সহায়তা ছাড়া আমার আসলে এত দূর আসা সম্ভব হতো না। খলিলী ভাইকে আমার নিজের বড় ভাই বলেই মনে করি।
এখনো মনে করি আমার সব সঙ্কটের মুহুর্তে খলিলী ভাই সফল সমাধানদাতা। এ রকম নির্লোভ, নির্মোহ এবং কাজের প্রতি দায়িত্বশীল মানুষ খলিলী ভাই, যেটা অনেকে না জানলে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। একজন নিরেট ভালো মানুষের প্রতিকৃতি বলতে আমি খলিলি ভাইকে বুঝি। আর একজন অসাধারণ সাংবাদিক বলতে আমি এখনো এই নগরে মতিউর রহমান চৌধূরীকে চিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।