আপনজন রাঙামাটিতে বাঙালি-ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটি নিশ্চয় সবাই জেনেছেন। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জেনেছি সংঘর্ষের পেছনে কারা ছিলো। সূত্রপাতই বা কারা করেছে। সেখানে দায়ি কারা ইতোমধ্যে বিবেকবান সকলেই জেনে গেছে।
কিন্তু ঘটনাটিতে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে একটি নাম সর্বস্য রাজনৈতিক দল বাঙালিদের দায়ি করে তাদের বিচার দাবি করেছে। বাঙালি দাবিদার হয়ে যারা বাঙালিদের বিচার দাবি করে এরা কারা? এরা কি আসলে বাঙালি নাকি এই দেশটাকে আবারও ভেঙে ফেলতে চায়। তারা বাঙালি জাতিকে সব সময় ছোট করে ফায়দা লুটতে চায়। তারা কখনওই দেশের স্বার্থে কথা বলেন না। তাদের দাদা-বাবারা যা শিখিয়ে দেয় তাই তারা বলে থাকেন।
তাহলে তারা কি নব্য রাজাকার নয়। আসুন তাদের চিহ্নিত করি। জনতার আদালতে তাদের বিচার করে বর্জন করি।
তাদের একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি:
আদিবাসীদের উপর পরিকল্পিত হামলায় গণসংহতি আন্দোলনের নিন্দা ও ক্ষোভ
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে
আজ গণসংহতি আন্দোলনের এক জরুরি সভায় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, আবুল হাসান রুবেল, ফিরোজ আহমেদ, শ্যামলী শীল, বাচ্চু ভূঁইয়া, আবু বকর রিপন এবং আরিফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার প্রথমে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজে এবং পরবর্তীতে রাঙামাটি শহর জুড়ে যে আদিবাসী-বাঙ্গালী সংঘর্ষের তা-ব শুরু হয় তাতে গভীর নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ সভা চলাকালীন সময়ে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে রামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য উ শে প্রু মারমাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আহত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষের ঘটনা পুরো পাবর্ত্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনী যথারীতি নীরব থাকে । এই এলাকাগুলোতে প্রায়ই এরকম আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হল্ওে রাষ্ট্র সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে কোন দায়িত্ব নেয় না। গণসংহতির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আদিবাসীদের উপর নানান ধরণের নিপীড়ন বন্ধ কর্রাও কোন উদ্যোগ নেই। রাঙ্গামাটি কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনা আকস্মিক কিছু নয়, ধারাবাহিক সরকারী নীতিই এর জন্য দায়ী। মূলত জিয়াউর রহমানের সেনা আমল থেকে আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে পাহাড়ি জমি দখলের যে মহোৎসব চলে এসেছে এবং হাজার হাজার বাঙ্গালীকে অন্য অঞ্চল থেকে এনে বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর সংখ্যা সমানুপাত করার চেষ্টা চলছে।
এই অনিয়মের শিকার সেখানকার আদিবাসীরা কোন আইনি বিচার তো পায় নি, বরং তারা প্রতিরোধ-প্রতিবাদের উদ্যোগ নিলে গুম-খুন,হতাা, ধর্ষণ নির্যাতনের মুখোমুখি হয় ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় বাংলাদেশের আদিবাসীরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সরকারকে অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি দখল, লুণ্ঠন, খুন-ধর্ষণ, গুম-অপহরণ বন্ধ করতে হবে, আদিবাসীদেরও যথাযথ নাগরিক অধিকার দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।