আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিনীদের গনতন্ত্র এবং বাস্তবতা

“পৃথিবীতে যা practical তা ই প্রসার লাভ করে। তা কোথায় আবিষ্কৃত হল বা কিভাবে জন্ম লাভ করল তা খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়” এটি কোন বিখ্যাত লোকের বাণী নয়, আমার অতিবিশ্লেষণী মনের একটি কঠিন বিশ্বাস। এর পক্ষে আমার রেডীমেড উদাহরণ হল – গনতন্ত্র practically correct, আর সমাজতন্ত্র ideologically correct. আর গনতন্ত্রের ব্যাপক বিস্তার আমাদের কারো ই অজানা নয়। মজার ব্যাপার হল আমার অতিবিশ্লেষণী মন এখন মার্কিনীদের গনতন্ত্রকে practical বলতে নারাজ ! কিন্তু তাহলে কোন তন্ত্র এখন practical or pragmatic? সেটা যাই হোক নিশ্চই সমাজতন্ত্র নয়। তাহলে কি সেটা? বলব, তবে আর একটি লেখায়।

তো সর্বজন স্বীকৃত গনতন্ত্র কেন এখন আর practical নয়? একটা উদাহরণ দিই- ধরাযাক কোন এক অতিগনতান্ত্রীক দেশের সরকার তার একটি প্রধান শহরের খাস জমি থেকে একটি অংশ একজন নাগরিক কে অনুদান দিবেন। কোন দেশের সব নাগরিকের মনমানসিকতা নিশ্চই এক নয়। অনুদান প্রাপ্ত জমিটিকে ভিন্ন ভিন্ন নাগরিক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাজে লাগাতে চাইবেন। কযেকটি সম্ভাবনা অনুমান করি- ১. কেউ এখানে স্কুল করতে চাইবে ২. কেউ এখানে একটি supershop করতে চাইবে ৩. কেউ কেউ এখানে একটি হাসপাতাল করতে চাইবে ৪. কেউ এখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা একটি শিল্পকারখানা করতে চাইবে ৫. কেউ এখানে একটি পানশালা করতে চাইবে ৬. কেউ এখানে একটি পতিতালয় করতে চাইবে etc…etc…etc আমি বোঝাতে চাইছি, ভালো কাজের পাশাপশি এখানে ৫ ও ৬ এর মত কাজ ও হতে পারে মার্কিন গনতন্ত্রে। যা প্রতিহত করার মত হাতিয়ার তাদের গনতন্ত্রে নেই।

অথচ মার্কিনীরা একে তাদের গনতন্ত্রের দুর্বলতা বলতে নারাজ, বরং ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতীক মনে করে। এই ব্যক্তি স্বাধীনতাই করেছে পর্ণোগ্রাফীর ব্যাপক বিস্তার, সাথে সাথে সামাজিক অবক্ষয়। যা ইচ্ছা তা করার স্বাধীনতার চুড়ান্ত অপব্যবহার দেখা গেছে আমাদের প্রিয় নবীজী (সঃ) কে অবমাননা করে মুভি বানানোর মধ্য দিয়ে। অতি গনতন্ত্রের দেশে এর কোন বিচার নেই। এটা নিয়ে আর একটা বিশ্বযুদ্ধ হলে ও হবে না !! মার্কিন সরকার google কে শুধু ভিডিও টি সরানো যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ ই করতে পারে।

এর চেয়ে বেশী কিছুনা। কিন্তু এর কারনে নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হলে বিশ্বের সব মুসলিম দেশে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাতে পারে !! কি দিচ্ছে এই পরম আরাধ্য ব্যক্তি স্বাধীনতা মার্কিনিদের?? এই অতি গনতন্ত্রের খেসারত মার্কিন সরকার কে দিতে হচ্ছে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রনয়নে। দেশের কোটি মানুষ বিপন্ন হলেও স্বাস্থ খাতের সংস্কার করা যায় না। সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হচ্ছে অর্থনীতিতে… ৭০ এ দশকে মুক্তবাজার অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে জাপানী ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলি dumping এর মাধ্যমে মার্কিন টেলিভিশন তৈরী শিল্প totallll clear করে দিয়েছিল। একই ভাবে চীনা প্রতিষ্ঠান গুলি দখল করেছে নিত্য্ প্রয়োজনীয় সব পণ্যের বাজার।

আজ মার্কিনিরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা জাতিতে পরিনত হয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে ই মাকিন প্রতিষ্ঠান গুলি মুলধন স্থানান্তর করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিনিয়োগের অপ্রতুলতায় বেকারত্ব চরম আকার ধারন করেছে। এই impractical গনতন্ত্রের খেসারত মার্কিনিদের আরো প্রকট ভাবে দিতে হবে সামনের দিনগুলিতে। সামনের দিনগুলিতে এই impractical গনতন্ত্র আর প্রসার লাভ করবে না…..আসবে নতুন এক তন্ত্র যা মার্কিনিদের ও গ্রহন করতে হবে বলে আমি মনে করি।

এই নতুন তন্ত্র নিয়ে থাকবে পরের লেখায়…. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.