গ্রেট ব্লু হোল হল আজব পানির দুনিয়া যেখানে রয়েছে নিত্য নতুন রহস্য । উপর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন এক বিস্ময়কর চোখ ।
ব্লু হোলগুলো মূলত একটি বিশাল কেভ নেটওয়ার্কের প্রবেশদ্বার। পুরো বাহামার নিচেই বিস্তৃত পানির এই বিশাল কেভ নেটওয়ার্ক। অনেকগুলো ব্লুহোল তো প্রায় ১৪ কিলোমিটার মোটা।
এগুলো দিয়ে ডাইভাররা হোলের ভিতর গিয়ে নেটওয়ার্ক ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছে আজব এক দুনিয়া।
হোলের ভিতর পুরো আলাদা একটা জগত চলছে। সেখানে যে কতো আজব আজব প্রাণী আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই! এমনও অনেক জলজ প্রাণীর খোঁজ সেখানে পাওয়া গেছে যেগুলোর খোঁজ বিজ্ঞান এখানেই প্রথম পেয়েছে। এখনো চলছে নতুন প্রাণী খোঁজার প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হলো, এই আজব পানির দুনিয়া কিভাবে তৈরি হলো।
প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগের কথা। পৃথিবীতে শেষ বারের মতো বরফ রাজত্ব করছে। পৃথিবীর সব পানি তো জমে জমে জড়ো হয়ে ছিলো মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিলো এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বাহামাতে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিলো এখনকার চেয়েও আরো ১৫০ মিটার নিচুতে।
তখন ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হলো পাথর। আর সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হলো কেভের বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করলো, সাগরের পানির উচ্চতাও বাড়তে শুরু করলো। পানির নিচে ডুবে গেলো সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে১০ হাজার বছর আগে পুরো কেভনেটওয়ার্কই একেবারে পানির নিচে ডুবে গেলো।
আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙেসৃষ্টি হলো এই ব্লু হোলগুলো।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।