আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব থাকা-না-থাকা প্রসঙ্গে

##### রাষ্ট্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব থাকা-না-থাকা প্রসঙ্গে =============================== রাষ্ট্রের ‘বিচার বিভাগ’, ‘শিক্ষা বিভাগ’, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’, ‘নির্বাচন কমিশন’, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন’ কিম্বা ‘দু দ ক’-এবংবিধ প্রতিষ্ঠানগুলো, সর্বোচ্চ স্তরের চাকুরিক্ষেত্র বা দাসত্বক্ষেত্র হিসেবে রাষ্ট্রের সংবিধান মেনে রাষ্ট্রের দাসত্ব করে যেতে বাধ্য। ওগুলো কখনোই কোনো ব্যক্তি বা দলের কাছে জবাবদিহি করে যেতে বাধ্য নয়। এরপরও ওগুলোর মধ্যে কোনোটা কখনো কোনো ব্যক্তি বা দলের ক্রীতদাসত্বে লিপ্ত হয়েছে প্রমাণিত হলে পরে, সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত দোষী ব্যক্তিরা, রাষ্ট্রের সংবিধান লংঘনের দোষে দেশদ্রোহীর প্রাপ্য শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হয়। ‘দলীয় সরকার’ শব্দটি দলোগণের দলের কাঠামোতে ‘দলীয়তন্ত্র বা নীতি’-র বাহক অর্থে ব্যবহার করাটাই সমীচীন। সম্পদশালী পরিবারগুলোর মধ্যেও আমরা ‘সরকার’ পদবী দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে দেখেছি, যে-ব্যক্তিটি ঐ পরিবারের কোনো সদস্য নন।

দলের অবকাঠামোর ‘দলীয় সরকার’ শব্দটি কোনোভাবেই রাষ্ট্র কাঠামোতে রাষ্ট্রের ‘সরকার’-এর সমার্থক হতে পারে না। কোনো একটি বিশেষ দলের বিলুপ্তিতে বা ‘দলীয় সরকার’-এর বিলুপ্তিতে একটি রাষ্ট্রের সরকার কখনোই বিলুপ্ত হয় না। (কোনো ভূখণ্ড, তার নিজস্ব বিশাল জনসমষ্টি থাকলেও এবং ক্ষেত্রফলে সেটা মহাদেশের চেয়ে বড় হলেও, সেই ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী শৃঙ্খলিত জনগণের সমন্বিত সরকার যদি না-থাকে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূত্রে বিশাল সেই দেশটিও বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হতেপারে না। জংলি জন্তু জানোয়ারদের চেয়ে সাংঘাতিক স্বেচ্ছাচারী স্বভাবধারী, মানবসন্তানদের বিশৃঙ্খল ভোগের দখলদারির জন্যে উন্মুক্ত যেকোনো ভূখণ্ডের মতো, যেখানে সভ্যদের সর্বজনমান্য কোনো সংবিধানধারী সরকার কাঠামো নেই, যেকোনো সময়ে ভিতর থেকে কিম্বা বহিরাগত যেকোনো হামলাকারীর হামলা সমন্বিত ভাবে প্রতিহত করার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাও সেখানে থাকতে পারে না জন্যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞানুসারে সেটা কোনো রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত নয়। ) বাংলাদেশের ‘সরকার’ কখনো বিলুপ্ত হলে তখন বাংলাদেশ নামে কোনো রাষ্ট্রই থাকে না।

রাষ্ট্রের সরকারকে কোনো অজ্ঞ যদি অর্থহীন উচ্চারণে কোনো ‘দলীয় সরকার’ বলে, তা’ সে তো সবখানেই বলতেই পারে তার অজ্ঞতার গুণে, - তবে, কোনো সাধারণ জ্ঞানধারী ব্যক্তি যদি জেনে বুঝেও রাষ্ট্রের সম্পদকে দলীয় সম্পদ কিম্বা রাষ্ট্রের সরকারকে ‘দলীয় সরকার’ বলেন, সেটা অশ্লীল শোনায়। ‘রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন’টির প্রতি যদি জনগণের আস্থাই না-থকে তো, রাষ্ট্রীয় খরচে স্থাপনা-সুরক্ষা-বেতন-ভাতাদি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার মধ্যে আমরা তো রাষ্ট্রীয় অর্থ-সম্পদের অপচয় ছাড়া ভিন্নতর কিছু দেখি না। ‘রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন’-কে বিলুপ্ত না-করা পর্যন্ত রাষ্ট্রের সরকারের অধীনে থেকেই বিধানকে অনুসরণীয় রেখে যথযথভাবে রাষ্ট্রের ছোট-বড় সকল নির্বাচন পরিচালনা করে যেতে ‘রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন’ এখানে বাধ্য। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্যে রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্মীবাহিনীর সাহায্য নেওয়া বা না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও তাদের-ই কর্তব্য যারা ‘রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন’-এর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রাষ্ট্রের বেতনজীবী চাকর (সিভিল সার্ভেন্ট) হিসেবে সম্মানিত। কীভাবে তারা সুশৃঙ্খলিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াবে, তা’ নিয়ে কোনো দলোগণের সাথে শলা-পরামর্শ করাটা কখনোই তাদের দায়িত্ব বা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।

আমরাই আমাদের মনোনীতকে নির্বাচন করি। কেউ নির্বাচিত হলে পরে, সে আমাদের ইচ্ছাধীন থেকে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে যেতে বাধ্য। কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্যে আমরা এখানে আমাদের কোনো প্রতিনিধির ঘাড়ে দায়িত্বের বোঝা চাপাই না। কোনো স্বেচ্ছাচারী আমাদের ভুল নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও, নিশ্চয়ই সে আমাদের প্রতিনিধি হয়ে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। কেউ প্রতিনিধিত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে টিকে থেকে যদি দাবি করে যে, প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, গণতন্ত্রে গণমালিক জনসাধারণের বিবেচনায় সে নিশ্চিতভাবে প্রতারক হিসেবেই গণ্য হয়।

গণকরণিক : আখতার২৩৯ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.