আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিঠা পোস্ট - তিনটা পিঠা এবং রেসিপি

..........:-( শীত এসে এখন প্রায় চলে যাবার সময় , পিঠা খাবার সিজন ও শেষ । অবশ্য পিঠা সারা বছর যদিও বানানো যায়, তবু শীতের সময়টাই এত ঘটা করে পিঠা খাওয়া হয় । শীতের পিঠা নিয়ে শায়মা আপুর পোষ্টটা বেশ অবাক করা ছিল , এক সাথে এত পিঠার নাম ! আসলেই আমাদের দেশে অনেক পিঠার প্রচলন আছে। আমার বেশি পরিচিত ১ ভাপা পিঠা ২ খোলা চিতুই ৩ দুধ চিতুই ৪ পাটি সাপটা ৫ তেলে ভাজা পিঠা ৬ চুসি পিঠা ৭ গোলাপ ফুল পিঠা তবে কথা হল , এই পিঠা সব নয়, আরও পিঠা আছে আমাদের বাসায় বেশ পিঠা বানানো হয় । এখন অবশ্য কমে গিয়েছে ।

বাসার কয়েকটা পিঠা দেখলাম শায়মা আপুর পোস্টে নেই । এই পিঠা গুলো আমাদের বাসায় যে গেস্টরা আসে তারাও পছন্দ করে । ভাবলাম ব্লগে দিব। কয়েকদিন আগে আত্মীয় , কাজিন রা আসছিল । আমিও তখন রান্না ঘরে থেকে কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছি ।

আম্মু অবশ্য সন্দেহ বাদী , -ছবি তুল কেন? -এমনি -এমনি কি? পিঠার ছবি তুল কেন? -পিঠা বানানো শিখাব -নিজে জীবনে বানাও নি আবার শিখাবে। কাকে শিখাচ্ছ আমার সিক্রেট পিঠা -এহ সিক্রেট পিঠা । এটা এখন নেটে দিয়ে দিচ্ছি , কারও জানতে বাকি থাকবে না । বুলবুল পিঠাঃ নাম টা সুন্দর না ? পিঠাটা বানানো ও সোজা । আর এই পিঠাটা বানানোর নিয়ম- তিন কাপ চালের গুড়ি , এক কাপ চিনি , একটা ডিম ।

প্রথমে ডিম আর চিনি ফেটে নিতে হবে। তারপর ঘি দিতে হবে । এখন গুড়ি গুলো আর পাতলা দুধ মিশিয়ে আঠালো করে মাখাতে হবে। মাখানোর পর যদি বেশি আঠালো হয়ে যায় , তা হলে একটু দুধ , আর , পাতলা হলে গুড়ি মিশাতে হবে । তারপর এভাবে সাইজ করতে হবে , তারপর তেলে ভাজতে হবে দুধ-খেজুরে পিঠাঃ এই পিঠা আমাদের সবার প্রিয় ।

এই পিঠাটা না বানালে আমাদের বাসায় পিঠা বানানো পূর্ণ হয় না । এটা বানাতে বেশ সময় লাগে । বানানোর নিয়ম চালের গুড়ি দিয়ে আটা খুলতে হবে । আটা খোলার সময় , লবণ , অল্প নারিকেল বাটা , গুঁড়া দুধ দিতে হবে । আটা ভাল করে মাখাতে হবে।

এই পিঠাটা সুন্দর করে ডিজাইন করে বানাতে হয় । সাধারণত ডিজাইন টা করা হয় কলা গাছের খোল বা বাকল দিয়ে । সেটা মাঝখান থেকে কাটলে স্কয়ার স্কয়ার ঘর করা অংশটা দিয়ে নকশা করা হয় । এটা পাওয়া অবশ্য মুশকিল । তাই চারকোনা ঘর নকশা কাটা ঝাঁপি দিয়েই কাজ করতে হবে ।

ব্যাপারটা এমন ১। ২। ৩। ৪। তারপর নকশা কাটা পিঠা গুলি তেলে ভাঁজতে হবে ।

ভাজার সময় সাবধান , এই পিঠাটা ফেটে যেতে পারে । চুলোয় খেজুর রস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে । । তারপর খেজুর রসে পিঠা ভিজাতে হবে । পিঠা ভাল মত ভিজে নরম হলে এবং রস ঠাণ্ডা হলে ঘন দুধ দিতে হবে ।

সারা রাত এভাবে রেখে দিতে হবে। হয়ে গেল দুধ-খেজুরে পিঠা । খোঁচানো পিঠা – নামটা এমন হলেও পিঠাটা কিন্তু খুব নিরীহ । আর বানানো ও সোজা । আর খেতেও কিন্তু ভাল ।

ক্যাচাল বাজ দের এই পিঠা প্রিয় হতে পারে । বানানোর নিয়ম- চিনির সিরা করে জ্বাল দিতে হবে । যখন সিরা একটু আঁশ আঁশ মনে হবে, তখন নামিয়ে চালের গুড়ি মিশাতে হবে । কোন মাপ নেই , আঠালো করে মাখাতে হবে। তারপর গোল্লা গোল্লা করে , পাতায় তেল দিয়ে , ছোট রুটির মত করে তেলে ভাজতে হবে ।

তারপর একটা খোঁচা দিয়ে কড়াই দিয়ে তুলতে হবে । এজন্যই মনে হয় নাম খোঁচানো পিঠা আপাতত এই তিন টা পিঠা ফ্রম অদ্বিতীয়া ,চরি ফ্রম অদ্বিতীয়ার আম্মুর রান্নাঘর থেকে ...... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।