দেশটাকে যারা অসম্ভব রকম ভালবাসে, তাদের কথা গুলো শুনতে ও পড়তে চাই বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কথা বললেন তা হজম করতে আমার একটু সমস্যা হচ্ছে। আবুল মাল খাইয়া কথা বলে ওইটা শেয়ার বাজার এর ঘটনা থেকে বুঝছি। সর্বশেষ হলমার্ক কেলেংকারি তে "৪০০০ কটি টাকার দুর্নীতি বড় কোন ঘটনা না"... অর্থ মন্ত্রীর কথায় মাইন্ড খাইছি তবুও কেমন তেমন লাগে নাই।
কিন্তু বুয়েটের আন্দোলন প্রসঙে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে বললেন ‘রক্ত ঢেলে আন্দোলন বিকৃত মানসিকতা’!! এখন, আমার কাছে মনে হইতেছে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬৯'এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১'র স্বাধীনতা ত তাইলে বিকৃত মানসিকতার ফসল! সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কিন্তু বেগ পাইছিল এই সাধারন ছাত্রদের হাত ধইরাই। সর্বশেষ ১-১১ এর প্রথম প্রতিবাদ অ কিন্তু শুরু সাধারন ছাত্রদের মাধ্যমে।
ওই ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল নামধারী কুকুর গুলা কিঙ্গু কিছু সামনে থেকে করে নাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও বললেন ‘কঠোর কীভাবে হতে হয়, জানা আছে’... “কীভাবে একটা ছেলে একটা মেয়ের শরীর থেকে রক্ত নেয়। কীভাবে আবার তা সিঁড়িতে ফেলে রাখে। এই বিকৃত মানসিকতা কোথা থেকে আসে। ” কিন্তু কঠোর হওয়ার ইতিহাস কিন্তু খুব সুখের হয় না।
আর ব্লাড ডনেসন থেকে শুরু করে হসপিটাল সব জায়গায় ত দেখি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের শরীর থেকে রক্ত নেয় কই তখন ত সমস্যা হয় না। এমন কি ৫২'র ভাষা আন্দোলনের সময় যখন বাঙালি মেয়েরা সচারাচর রাস্তায় বের হতনা তখনও ত ছেলে মেয়ে এক সাথে ন্যায্য দাবি আদায় এ প্রতিবাদ করেছে।
সরকারের দায়িক্ত প্রাপ্ত বেক্তিরা নিজেরাই সমস্যা সৃষ্টি করছে আবার সমাধান করতে গেলে বেফাস মন্তব্য করছে। বেশিদূর যাওয়ার দরকার নাই, মেডিকেল এর ভর্তি সমস্যা একটা উধাহরন, দুই আবুলের বেফাস মন্তব্য অনেক সময় সরকারের দায়িক্ত এবং কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা নতুন প্রজন্ম দেখতে চাই আমাদের সরকার আমাদের প্রতি আরও যত্নবান হবেন, আরও দায়িক্তশীল হবেন, আমাদের কথাগুলো কানপেতে সুনবেন এবং সমাধানের যথাযথ বাবস্থা নিবেন।
অন্তত, সহানুভুতির সুরে কথা বলবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।