বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে আজ শনিবার দুপুর ১২টার পর থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা।
উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার বেলা ১১টায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। আন্দোলনের বিষয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে।
মানববন্ধন শেষে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় তাঁরা উপাচার্য নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ শেষে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যান এবং তাঁকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে সহ-উপাচার্যকেও তাঁর কার্যালয়ে ডেকে পাঠাতে বলেন।
উপাচার্য শিক্ষকদের এ দাবি মানতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেখানে উপস্থিত শিক্ষকেরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। পরে সেখান থেকে শিক্ষকদের একাংশ সহ-উপাচার্যের কার্যালয়ে যান।
তাঁরা সহ-উপাচার্যকে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার অনুরোধ জানান। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান উপ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান। এ সময় সেখানে অবস্থানকারী শিক্ষকরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন।
উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের ওপর গত ৩১ জুলাই আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর শিক্ষক সমিতি তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করে এবং আন্দোলনের বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা না দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
ওই ঘটনার পর আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজ্যেষ্ঠ ‘লুব্ধক ০৭’ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করবেন। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই তাঁদের এ কর্মসূচি। তাঁদের অপসারণ না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, হাইকোর্ট শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় শিক্ষক সমিতি আন্দোলন স্থগিত রেখেছে।
তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি দাবি করে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আন্দোলনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ৪৪ দিন পর গত ২৫ আগস্ট বুয়েট খুললেও ক্লাস হচ্ছে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে কোনো আন্দোলন না হলেও শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
(অন লাইন নিউজ- প্রথম আলো) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।