..............জানেত চাই জানাতে চাই.................. একদা রহমান মিয়া সংসারের প্রতি ত্যাক্তবিরক্ত হইয়া বাড়ির উঠোনে দাড়িয়ে আত্ত্বহুতি দেবার ঘোষনা দিলেন। অতি উচ্চ গলায় সবাইকে জানাইয়া দিলেন, এই সংসারে তাহার কথা কেহই শোনেনা, তাই এই সংসারে তিনি আর থাকিবেন না!!কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাহার এহেন সিদ্যান্তে বিচলিত হইয়া, তাহার প্রতি সদয় প্রদর্শন পূর্বক এহেন সর্বনাশা কাজ হইতে নিবারণ করিতে কেহই আগাইয়া আসিলনা!!ইহাতে তাহার ক্ষোভ ও ক্রোধ আরও বাড়িয়া গেল।তাই তিনি চেচাঁইতে চেচাঁইতে বাড়ী থেকে বাহির হইয়া হাঁটা ধরিলেন। তাহার এই আত্ত্বহুতির সিদ্যান্তে বাড়ির কেহই আগাইয়া না আসিলেও তাহার চেচামেচি শুনিয়া পাশের বাড়ীর রহমত চাচা বাহির হইলেন।রহমানকে জিঙ্গাসা করিলেন…. - “কি রহমান মিয়া?তোমার কি হইছে?একা একা চিল্লাইতাছ ক্যান?? আর এত রাতে কোথায়ইবা যাইতেছ??” এতক্ষন রহমান মিয়া একা একাই চিল্লাইতেছিল। কোন ফুয়েল না পাওয়াতে তাহার চিল্লানোর জোর আস্তে আস্তে কমিয়া যাইতেছিল! কেরামত চাচার কন্ঠস্বর তাহার মাঝে কিছুটা ফুয়েলের সঞ্চার করিল। রহমান মিয়া বাড়ী দিকে মুখ ফেরাইয়া শেষবারের চেষ্টা স্বরুপ জোরে জোরে বলিতে লাগিলো…….. -“আমার জীবনের দু-আনা মূল্যও কারও কাছে নাই! কেউ আমার কথার এক পয়সাও দাম দেয়না!!এ জীবন আর রাখবোনা!!চাচা ভূলত্রুটি মাফ কইরা দিয়েন!!” কেরামত চাচা রহমান মিয়ার কান্ডকারখানা দেখিয়া মুচকি মুচকি হাসিতেছিলেন। তিনি রহমান মিয়াকে ভাল করিয়াই চিনেন। যে নাকি রোদের তাপে শরীর একটু খানি গরম হইলেও ডাক্তারের কাছে ছুটিয়া যায় ডেঙ্গূ হইয়া গেল কিনা তাহা পরীক্ষা করিতে, সে করিবে আত্ত্বহত্যা!! চাচা নিজের হাসি সংবরন করিযা,চোখে মুখে কিছুটা ব্যাথাতুর ভাব আনিয়া বলিতে লাগিলেন...। -তা বাবা ঠিকই বলেছ!!সংসারে দাম না থাকিলে জীবন রাইখা লাভ কি?তবে বাবা তোমার হাতে যে হারিকেন দেখিতেছি!!এইটা কেন??? কথাটা শুনিয়া রহমান মিযা কেরামত চাচার আরও কাছাকাছি আসিলেন, কানের কাছে কান আনিয়া নীচু গলায় বলিলেন------- -চাচা কি বোকা নাকি? একেতো গরমকাল আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার!!এই দিনেই তো সাপ-খোপ রাস্তায় বের হয়!!একটা বসাইয়া দিলেই তো শ্যাষ!!! (বিদ্রঃ ছোটবেলায় শুনেছিলাম, আজ কেন জানি মনে পড়িয়া গেল তাই লিখিলাম ইহার সাথে বাস্তবের কোন ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই!!!)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।