আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিস্ময়কর ক্লোনিং!

এখানে যে কি থাকবে তা নিজেই জানি না। ক্লোনিং-(ক্লোন শব্দটি প্রথম বৃটিশ বিজ্ঞানী হে বি এস হালডন ১৯৬৩ সালে ব্যবহার করেন)-জীবকোষ থেকে নিউক্লিয়াস নিয়ে, তা ডিম্বাণুর সাথে নিষিক্তকরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অযৌন প্রক্রিয়ার উত্‍পন্ন হুবহু আরেক জীব । বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৮৮৫ সালে ফেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউসম্যাস ক্লোনিং গবেষণা শুরু করেন । পৃথিবীর প্রথম মানবক্লোন শিশুটি হল কন্যা ।

এর নাম দেয়া হয় ইভ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানব গবেষনা কেন্দ্র ক্লোনেইড সংস্থা কতৃক সৃষ্ট এই ক্লোনের মা হল আমেরিকান এক মহিলা(৩১)। ক্লোনটিকে রেইলিয়ান ধর্মগোষ্ঠীর অধিনে জন্মানো হয়। এর জন্ম হয় ২৬ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে। ক্লোনটির সর্বপ্রথম তৈরিকৃত প্রতঙ্গ টি ছিল নাক।

এটি ১৯০২ সালে জার্মান ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ হ্যান্স স্পিম্যান সৃষ্টি করেন। কিন্তু স্তন্যপায়ীদের মধ্যে এটিই প্রথম নয়। ১৯৭৭ সালে ড্যানিশ বিজ্ঞানি স্টিম ইউসল্যানডসেন এর জন্ম দেন। এ পর্যন্ত ৬ ধরনের স্তন্যপায়ি প্রাণীর ক্লোনিং সম্ভব হয়েছে-ভেরা, ইঁদুর, ছাগল, গরু, শূকর, বানর। বিশ্বে সর্বপ্রথম ভেড়ার (মেষ) ক্লোনিং করা হয় ।

বিশ্বের প্রথম ক্লোনিং ভেরার নাম হল ডলি(বিখ্যাত গায়িকা ডলি পারটনের নামানুসারে) । ড.ইয়ান ইউলমুট এই ক্লোনিং করেন। ৫জুলাই,১৯৯৬ সালে জন্ম হয় এর। পরে আর্থাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়। এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি,২০০৩ সালে মারা যায়।

দ্বিতীয় যে ক্লোন ভেরাটি তৈরি করা হয় তার নাম দেয়া হয় পলি(১৯৯৭) । আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে মানুষের জিন ব্যবহার করে এই ক্লোনিংটা করা হয় । ১৪ ফেব্রুয়ারিতে-ই আরেক ক্লোনের জন্ম হয়, তবে সেটা ২০০২ সালে। এটি ছিল একটি বিড়াল। এর নাম দেয়া হয়েছিল সিসি(কার্বন কপি) ।

এটি বেশিদিন বাচঁতে পারে নি। একই সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যায় বিড়ালটি । শেষ কথা হচ্ছে মানব ক্লোনিং-এ কিছু সমস্যা রয়েছে । যেমন: গর্ভপাত, নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুর জন্মদান, জিনগত, অস্বাভাবিকতা ও মৃত শিশুর জন্ম ইত্যাদি । কত খেলা দেখার যে বাকি আছে কে জানে! ( লেখাটি আমি আজকের বিশ্ব বই থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছি।

বিসিএস,ভর্তি পরিক্ষা, এরকম বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগবে। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।