কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :)
-আব্বা , বিয়া করুম !
আমি ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াইতেছি । কাছা বান্ধা দৌড় বলিতে পারেন । (গ্রামের লোকেরা লুঙ্গি সামনে থেকে পেছনে নিয়া , কোমরের কাছে গুঁজিয়া যে দৌড় দেয় । ) ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় বলিতে আমি রাস্তা ছাড়িয়া আকাশপানে চাহিয়া দৌড়াইতেছিলাম । দেড় হাতখানি জিহ্বা মুখের বাহিরে আসিয়া ঝুলিতেছে ।
আমি শতভাগ নিশ্চিত , আমার সে দৌড় দেখিলে উসাইন বোল্টও অপমান , ক্ষোভ এবং লজ্জায় আত্মাহুতি দিতেন । উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি । ছুম্মা আমিন ! পেছনে ধাওয়া করিতেছেন আমার শ্রদ্ধেয় পিতা । তাহার কাছার পানে চাহিবার সময় পাই নাই । তাই বলিতে পারিব না , তিনি কি ভাবে দৌড়াইতেছিলেন ।
-হারামজাদা । মাইয়াগো লগে পেরেম করস !!
-মাইয়াগো লগে প্রেম করুম না কি তয় পলাগো লগে করুম !!
আই জাতীয় বাক্যালাপ চলিতেছিল দৌড়ের সহিত ।
-আমার কি সখ আল্লাদ নাই ?
-হেইডা কি আমার মায়েরে দিয়া আপনের হয় নাই ? পেরেম আমার – বিয়া আমার । সখ আল্লাদ আপনে করবেন ক্যান ?
বলিয়াই বুঝিলাম , চরম ভুল করিয়া ফালাইসি । ধ্বস’ করিয়া আমার পিঠের উপরে আসিয়া কিছু একটা আছড়াইয়া পরিল ।
-ঝাড়ু !!
তাই বলিয়া ঝাড়ু ছুঁড়িয়া মারা ? বড়ই অপমানজনক !
বিদ্রোহী বিবেক আমার প্রতিবাদ করিয়া উঠিল । দৌড় থামাইলাম । ঘুরিয়া দাঁড়াইলাম । এই অপমানের বদলা আজ নিয়াই ছাড়িব । রুখিয়া দাড়াইব ।
শত হইলেও এলাকার চ্যালাপ্যালাদের নিকট আমার একটি বিশেষ ইজ্জত , সুনাম এবং সম্মান রহিয়াছে ।
শ্রদ্ধেয় পিতাকে দা হাতে লহিতে দেখিয়া মুখ তেতো হইয়া গেল । ঝাড়ুর বাড়ি খাইয়াছি । চলিয়া যাইবে । দা’য়ের কোপ খাইতে চাহি না ।
এক বাপের এক পুত আমি !!
(নিতান্তই একটা লেখা , বাবাকে বিয়ের কথা বলার কথা চিন্তা করলেই এহেন কিছু কেন যেন অকারনে কল্পনায় চলে আসে )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।