জীবনটা অনেক মজার! প্রতিভা ব্যাপারটা আসলে কী? পৃথিবীর ৮০% মানুষ বিশ্বাস করে যে, সবাই প্রতিভাবান নয়। কিন্তু এই ৮০% এর প্রায় সবাই বিশ্বাস করে যে তারা নিজেরা প্রতিভাবান। তাহলে সংজ্ঞাটা আসলে কী দাঁড়ায়? প্রতিভা কী দিয়ে বিচার করবে মানুষ? একজনের সাথে আরেকজনের তুলনার মাধ্যমে? কোনোকিছুরই মানদন্ড নাই। আচ্ছা, অবশ্যই কিছু কিছু মানুষ গড-গিফটেড ব্রেইন লাভ করে। কিন্তু আর বাকি সবাই কি তাহলে কর্মী মৌমাছি হয়ে জীবনীপাত করবে?
আসলে, সাফল্য অথবা সাকসেস মানুষের কনফিডেন্স যেভাবে বাড়ায়, অন্য কিছুই আর সেভাবে ইন্সপায়ার করতে সক্ষম নয়।
তবে ঐ সাফল্যের মূল চালিকাশক্তিটা কী ছিল? মেধাই তো? কেউ একজন সাফল্য অর্জনের মাধ্যমেই তার মেধাটাকে আবিষ্কার করে আর তখনই কেবল পরিশ্রম করা শুরু করে। তাহলে তো বলতেই হয় যে, সব মানুষের মধ্যেই কম-বেশি প্রতিভার আভাস পাওয়া যায়।
জগতে ৩ ধরনের মানুষ আছে। সংখ্যাটার কথা গ্রাহ্যে আনবেন না। যখন মানুষ কোনো হিসাব দিতে চায় আগে সংখ্যাটা বেছে নেয়, এর পর একটা কিছু বানিয়ে নেয়।
যাই হোক, এই ৩ প্রকারের মানুষের মাঝে, প্রথম ধরনের মানুষ হল এরকম যে, They start to live considering themselves as a failure.
এধরনের মানুষের জীবনটা হয় খুবই সাদাসিধে গোছের। তারা প্রতিভাবান মানুষকে ভাবে ধরা-ছোঁয়ার উর্ধ্বে, আর নিজেকে তো একেবারেই ছা-পোষা একজন ভেবেই জীবনটা পার করে দেয়! এরা মাঝারি মানের আমলা হয়েই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায়।
এবার আসি, ২য় ধরনের মানুষের সংজ্ঞা নিয়ে। ইনারা নিজেকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। আসলেই কি আমার মেধা আছে? আমি কি অন্যরকম? আমি কি অন্যদের চেয়ে বুদ্ধিমান? আমি কি খুব বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি? অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আর দোটানার কারণে তার যতটুকু বোধ-বুদ্ধি থাকে তা লোপ পায়।
এরকম সম্ভাবনাময়ীদের উচিৎ নিজের উপর বিশ্বাস রাখা। তুমি অবশ্যই বড় হবে, দেখো চারপাশের দিকে একটু তাকিয়ে, তোমার পরিবেশ আর আশেপাশের মানুষ এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখে। তারা তোমার অন্তর্দৃষ্টিকে সূক্ষ্ম করে তোলে, তোমার কমন সেন্স জাগ্রত করে, রুচিবোধের উন্মেষ ঘটায়। কিন্তু ঐ ভাল ছাত্রীটি কেবল পাঠ্য-পুস্তকের মধ্যেই সদা নিবিষ্ট থাকে। ফলে পারি-পার্শ্বিকের প্রতি তার জ্ঞান থাকে কম, থাকলেও তা কাজে লাগাতে সে আগ্রহী না।
জীবনের সোনার ফসল ফলানোর সময় কিন্তু ১২ বছর থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত। এই সময়ে তোমার ব্যক্তিত্ব যেভাবে তৈরি হবে, আর কোনো সময়ে কখনই তা সেভাবে তৈরি হবে না। তোমাকেই পারতে হবে নিজেকে উঁচু কিছুতে নিয়ে যেতে। আমরা কখনই অতীতে ফেরত যেতে পারব না, কোয়ান্টাম ফিজিক্সই তাই বলে। প্যারাডক্স তৈরি হবে।
কিন্তু তুমি কিন্তু এক প্রকার নিজের ভবিষ্যত নিজেই বানাচ্ছো। একটু ভেবে দেখ, তুমি যা চিন্তা করছ তাই একটু পর করছো, ধর, তুমি পানি খেতে ইচ্ছুক, পানি গ্লাসে ঢেলে তুমি খেলে, তুমি কি তাহলে এক প্রকার তোমার ভবিষ্যতটাকে গুছিয়ে নিলে না? নাকি কেবল ঈশ্বরই তোমাকে করিয়ে দিয়েছেন? এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। তুমি যদি কেবল ‘পানি খাব’ ভেবে বসে থাকতে তাহলে পানি খাওয়া আর হতো না। তেমনি ভাবে তুমি যদি খালি ‘অন্যরকম হব’ বলে শুয়ে-বসে কাটাও, নিজের সুন্দর সময় গুলোকে অর্থহীন কাজে অপচয় কর, তাহলে তোমার ভবিষ্যতকে তুমি চিন্তা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত করতে পারলে না। তোমার চিন্তা তখনই ভবিষ্যতে রূপলাভ করবে যখন তুমি তাকে সেই রূপ দিতে সচেষ্ট হবে।
এবার ৩য় রকমফেরের মানুষের কথায় আসি। এই ধরনের মানুষ খুব ভাল করেই জানে তারা প্রতিভাবান। তারা কারও consent প্রত্যাশী নয়, তবে এর পেছনেও ভাল যুক্তিযুক্ত কারণ আছে। জীবনে তাদের সাফল্যের হার অত্যধিক কারণ they have clear concept about their abilities and goals. আরেকজন কী ভাবলো তা নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করে না। They are more likely to believe in “Spend so much time improving yourself that you have no time left to criticize (or to think about) others.”
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।