আমি যার কথা লিখছি, তিনি কোন বরেণ্য ব্যক্তি নন। তাঁর নাম ইদ্রিস আলী, বাড়ি কিশোরগঞ্জ; মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য, তার বাবা মারা গেছেন ছোট বয়সে। হাফেজ-এ কুরআন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। ১৯৯৩ সালের দিকে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়াতে আমাদের মসজিদে এসেছিলেন, তা থেকে আমার সাথে পরিচয়।
২.৫ বছর বয়সে টাইফয়েড এর কারনে দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
তারপর থেকে সম্পূর্ণ ব্রেইল পদ্ধতিতে কুরআন পড়তে শিখেছেন এবং মুখস্থ করেছেন। অনেক অন্ধ হাফেজ আছেন যারা অন্যজনের মুখে শুনে মুখস্থ করেন। কিন্তু উনি নিজে পড়ে মুখুস্থ। প্রতিটি হরফ ও মাখরাজ এর উচ্চারণ খুবই শুদ্ধ। এবং চমৎকার স্মৃতিশক্তি, তাই পড়ায় ভুল হতো খুব কম ।
হাফেজি পড়ার পড় সাধারণ লেখাপড়া শুরু করলেন। এখানে তার "ব্রেইল-এর লেখা" পড়ার মত কোন শিক্ষক পেলেন না। Proxy Writer হিসেবে পরীক্ষার হলে নিয়ে যেতেন নিচের ক্লাসের স্টুডেন্ট । প্রশ্নের উত্তর উনি মুখে বললে সে লিখত। এভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে M.A পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করলেন।
এখন তিনি কি করছেন আমার জানা নেই। আশাকরি, ভালোই আছেন। কারন, তিনি একাধারে "মাদ্রাসা শিক্ষক", "ইমাম" অথবা সাধারণ কোন কাজের জন্য যোগ্যতাসম্পন্য। কিন্তু আজ থেকে ১৮ বছর আগে গ্রামে এত প্রতিকূলতার মাঝে বড় হয়ে এতোখানি অর্জন সত্যিই বিস্ময়কর। প্রবল ইচ্ছাশক্তি তাকে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।