অরুণালোক মেয়েটাকে যখন আমি প্রথম দেখি, তখনই আমার কেন যেন একটু ব্যতিক্রম মনে হলো। মনে হলো কী যেন লুকিয়ে রেখেছো ও। কিন্তু সেটা যে কী, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। আমি যে বাসায় পেইংগেস্ট হিসেবে থাকি, মেয়েটা ওদেরই একজন আত্মীয়া। ওরা খ্রিস্টান পরিবার, আমি মুসলিম।
মুসলিম হলেও আমার নামাজ কালাম ঠিক মতো পড়া হয় না। নামমাত্র মুসলমান। আমাকে মরতে হবে, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে, বেশ বুঝি। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনা থেকে নিজেকে ফেরাতে পারি না। আমার মতো মনে হয় অনেকেই আছে।
সে যাক। কথা প্রসঙ্গে বাসার বড়ো মেয়েটা বললো, ‘দাদা, আমার এ বোনটি অসম্ভব ভাল গান করে। আপনি শুনবেন?’ আমি ছেলেবেলা থেকেই গানের ভক্ত। একটা সঙ্গীত একাডেমির সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার যোগাযোগ। একাডেমিটার নাম “দোয়েল সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী, ধামরাই”।
আমার তবলার হাতেখড়ি ওখানকার উস্তাদ শেখ সাইদুর রহমান টিপু’র কাছে। দীর্ঘদিনের ছাত্র হলেও আমি তেমন ভাল বাজাতে পারি না। কোন রকম ঠেকা কাজ চলে আর কি। সে যাক, সুইটি (বাসার বড়ো মেয়েটা) ওদের মামাতো বোন (যে গান করে) টুম্পার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। পরিচয়ের শুরুতে গানের অনুরোধ জানাতেই মেয়েটা বসে গেল গাইতে।
ও প্রথম যে গানটা শোনালো সেটা “যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়/যে ছিলো হৃদয়ের আঙ্গিনায়/ সে হারালো কোথায় কোন দূর অজানায়/ সেই চেনামুখ কতো দিন দেখি নি/তার চোখে চেয়ে স্বপ্ন আঁকি নি........। শোনালো। এরপর একে একে শোনালো হৃদয় ছোঁয়া অনেকগুলো গান। খালি গলায়, বাদ্যযন্ত্র বলতে একটা কৌটা, যেটাকে সে তবলা বানিয়ে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে গাইতে লাগলো। পাঠক শুনবেন নাকি ওর গান.................আপনাদের জন্যই আমার এ আয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।