আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু অপ্রিয় সত্য কথা

ঢাকা শহরে অবসর সময়ে একটু নিভৃতে সময় কাটানর জায়গা খুজে পাওয়া আজকের দিনে একটু দুষ্কর হয়ে পরেছে। পার্ক গুলোর ভিতরে সুন্দর পরিবেশ এর অভাবে অনেকেই অমুখ হতে নারায। তাই ঢাকার মাঝে এমন একটি জায়গা যেখানে শান্তিতে একা কিংবা প্রিয় কোন মানুষ কে নিয়ে কিছু সময় কাটানর জন্য অনেকের কাছেই মিরপুর বেড়িবাঁধ জায়গাটি অনেকের পছন্দের। কিন্তু দুক্ষের বিষয় হল কিছু বিকৃত রুচির ছেলে মেয়ের কার্যকলাপে জায়গাটি ক্রমশই একটা নিষিদ্ধ স্থানের মর্যাদা(?) পেয়ে যাচ্ছে। আর এই সব যুবাদের প্রশ্রয়ের পিছনে শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততার পাশাপাশি সেখানের মাঝিদের অবদান অনস্বীকার্য।

তারা অল্প কিছু টাকার লোভে এমন একটি কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছে যাতে করে আমাদের মত যুবক শ্রেণীর ছেলে মেয়েরা সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ,নৈতিকতা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার মত কাজ করে যেতে দিন দিন আর বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। এটা সবার জন্য সত্য না হলেও বড় একটি অংশের জন্য সত্য। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল এ ধরনের কাজ যারা বেড়িবাঁধ এ করে থাকে তার বৃহৎ অংশ হল স্কুল কলেজ এর ছেলে মেয়েরা। নিজস্ব আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়ার পাশাপাশি ছোট্ট একটা জিনিস তারা মোটেও চিন্তা করতেছেনা যে তার পাশের মানুষটি (যে হয়ত তার অনেক পছন্দের) কে সে কতটা ছোট করতেছে। অবস্থা কতটা অসস্তিকর তা হয়ত একটি ঘটনার মাধ্যমে অল্প ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

আমি একবার বেড়িবাঁধ এ যখন নৌকায় চরে ঘুরতেছিলাম তখন মাঝি আমাকে বারংবার কিছু ঘৃণ্য ইঙ্গিত করে। আমি বেশ কয়েকবার এড়িয়ে যাবার পরেও সে শেষ পর্যন্ত আমাকে স্পষ্ট ভাষায় জিজ্ঞেস করে সে আমাদের নৌকায় একা রেখে কিছু সময়ের জন্য চলে যাবে কিনা। আমার সাথের বন্ধুটির কাছে আমাকে তখন কতটুকু ছোট হতে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেই মাঝি কে আমার তখন ঝাড়ি পর্যন্ত দিতে হয়েছে যাতে সে যেন চরে কোথাও নৌকা না থামিয়ে যাতে চলতে থাকে। এখানেই ঘটনার শেষ নয়।

যখন তাকে ভাড়া দেওয়ার সময় হয় তখন সে আমাকে শোনাতে ভুল করেনা যে কিছু যখন করবনা তাহলে কেন আমি ছইওলা নৌকা ভাড়া নিয়েছি। এ যেন অঘোষিত নিয়ম হয়ে গিয়েছে ওখানে শুধু ঐরকম মানুষ ই আনাগোনা করতে পারবে। কিন্তু কেন?এই ভুল কার?এর সমাধান আমাদের সকলেরই জানা কিন্তু প্রশ্ন হল তার সমাধানে আমরা সত্যি উৎসাহী কিনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.