বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ূ বড় জোর এক বছর। আঙ্গুর গাছের নিচে শেয়াল লাফালাফি করে যখন আঙ্গুর খেতে পারেনা, তখন নাকি সে আঙ্গুরকে টক ও বাজে ফল হিসেবে মেনে নেয় আর নিজে আত্ম প্রবোধ লাভ করে।
আমাদের দেশে এইরকম শেয়াল সদৃশ রাজনীতিবিদের অভাব নাই।
৯১ তে আমরা দেখি খালেদার আঁচলের তলে জামায়াতের প্রসব বেদনা, ৯৬ তে শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে জামায়াতের দুরন্ত শৈশব আর ২০০১ এ তো রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান !
শুধু জামায়াত নয় নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলই অধিকার রাখে পূর্ণ স্বাধীনতাই কার্যক্রম চালাতে, সমস্ত দল যখন গনতান্ত্রিক কার্যক্রম অবাধে চালাতে পারে তখনই বলা যায় দেশে গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা সু সংহত। কিন্তু আমাদের দেশে এখন তেমনটা দেখা যাচ্ছেনা।
আমার কথাটা হল এই যে শুধুমাত্র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ঢালাও ভাবে জামায়াতের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া ঠিক নয়, হয় তাকে নিষিদ্ধ করতে হবে (জানিনা কোন আইনে, ধর্ম নিরেপেক্ষতাবাদ/ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম - কোন ভাবে ?? দুই টাইতো সংবিধানে আছে! ) নতুবা গনতান্ত্রিক অধিকার দিতে হবে, জানিনা সংবেদনশীল রাজনীতিবিদরা এটা করার মত মানসিকতা রাখেন কিনা।
৯৬ তে জিল্লুর আমুর সাথে মুজাহিদরাও একসাথে মিটিং করেছেন এখন জিল্লুর সাহেব নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে তাদেরকে ডাকলেন না, এটা শুধু রাজনেইতিক প্রতিহিংসার জন্যই তা সহজেই অনুমেয়। তরিকত ফেডারেশনের সাথে আজ তিনি মিটিং করলেন কারন তরিকত নিবন্ধিত তাই। আর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার সমর্থন থাকা সত্ত্বেও জামায়াত আমন্ত্রিত হয়নি।
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এগুলো সুখকর হবেনা।
জামায়াতের ৭১ এর ভুমিকার জন্য তাকে রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করা উচিত। তা না হলে অনেকের মনেই এটা বদ্ধ মুল হবে যে রাজনেইতিক কারনেই জামায়াতের বিচার করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিষয়টা এখানে গৌণ। অথচও সাধারন মানুষের গন দাবি হল যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার।
যদি এভাবেই সাংবিধানিক আচরণ গুলো হেয় হয়ে যায় তাহলে আগামিতে হয়ত সংবিধান নিয়ে বড় গলায় কথা বলতে লজ্জা হবে।
আর আওয়ামী লীগ যদি এ থেকে বেরিয়ে না আসে তাহলে হয়ত আগামীতে একই আইনে তোফায়েল সহ আরও অনেকের মরণোত্তর বিচার হতে পারে, রক্ষী বাহিনীর জন্য।
!!!! আর কে না জানে ৭১ এর চেয়ে এই অপরাধ গুলোর সাক্ষী ও আলামত আরও বেশি তরতাজা।
সুতরাং আঙ্গুর ফলের দোষ দিয়ে লাভ নেই, বরং শেয়ালের ভং থেকে বেরিয়ে আসা ভালো।
স্বজনের রক্ত রাজনীতি বোঝেনা, শুধু ন্যায় বিচার বোঝে।
ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় রইলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।