ঈদ এর আর দুই দিন বাকি আছে। ঘর বাড়ি বন্ধু পরিজন ছেড়ে পানির মাঝে ঈদ করতে কেমন লাগবে সেটা নিয়ে মাথা বিরতিহীন ভাবে চিন্তা করে যাচ্ছে। দেশে থাকলে ঈইদ এর দিনের পরিবেশ টাই মনকে কেমন খুশিখুশি ভাব নিয়ে আসে। হয়ত এমন একটা বা আরও কয়েক বছর এমন নিঃসঙ্গ ঈদ কাটাতে হবে। একটা বা দুইটা দিনই কিন্তু সেই দিনটি পালন করতে কত আয়োযন।
নতুন পোশাক কিনতে হবে, ভাল কিছু খেতে হবে। প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে হবে, আরো কত কিছু। অনেক সময় পত্রিকায় দেখতাম “ নতুন পোশাক না পেয়ে ঈদ এ স্ত্রীর আত্নহত্না” এইধরনের খবর। খবর টা এইভাবে ছাপানো উচিত কি? একটা মানুষ এর অক্ষমতা কে আমরা খবর করছি, অনেকে সে খবর পড়ে আবার চুকচুক করছে।
যাকাত দেয়ার এদেশিয় ধনী দের একটা লোকদেখান ধরন আছে, কিছুটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে একদিন ট্রাকে করে যাকাতের যাকাতের শাড়ি লুঙ্গি কাপড় নিয়ে এসে দিতে শুরু করে।
যাকাত দিতে হয় সম্পদের পবিত্রতা আর গরীবের হক আদায় এর জন্য। কিন্তু সেখানে যুক্ত হয়েছে যাকাতের শাড়ি লুঙ্গি জাতীয় কিছু জিনিস যে গুলো ঠিক মত এক বার বা ২ বারের বেশি পড়া যায় না। দারিদ্র কে এখানে ব্যাঙ্গ করা ছাড়া আর কিছু করা হয় না। সেই কাপড় নিতে গিয়ে পদপিষ্ঠ হয়ে কিছু প্রান চলে যায়। এমন মানুষ দের প্রানের মুল্য খুবি কম এদেশে।
হয়ত পত্রিকার মাঝের পাতায় একটা খবর হয় এই শেষ। কেউ সেই খবর টি পড়ে তবে বেশিরভাগ মানুষেরই চোখ এ এ খবর টি পরে না।
লঞ্চ ডুবিতে শত শত মানুষ মারা যায়, অনেক সময় একটা গ্রামেই পঞ্চাশ ষাট টা কবর হয় এক দিনে কি ভয়ঙ্কর কথা অথচ অই শোক সন্তপ্ত পরিবার পায় দাফন কাফনের টাকা, হয়ত সামান্য কিছু টাকা অথবা অতি বুদ্ধিমান কেউ আবার তাদের কাছে ছাগল নিয়ে হাজির হয়।
৩০ লক্ষ মানুষ এর জীবনের আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেটা সবাই জানি। আমরা তাদের নানা ভাবে স্বরন করি মিছিলে আদের নামে গলা ফাটাই, বই এর পর বই লিখি কিন্তু ঐ মহান মানুষ গুলর আত্মত্যাগের কথা কি কখন ভাবি? স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র অথবা মানুষ নামক কোন পশু যখন তাদের শরীর এর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো চরম নিষ্ঠুরতায় ছিন্যভিন্য করেছে ঐ সময় তারা যে জন্ত্রনা পেয়েছে তা কি কখন আমরা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছি?
তারা কি তাদের জীবনের বিনিময়ে ভবিষ্যত জীবনের নিরাপত্যা চায় নি?
এই স্বাধীন রাষ্ট্র আজ আমাদের জীবনের নিরাপত্যার বদলে কাফনের কাপড় দেয়।
সড়ক দুর্ঘটনা, নৌ দুর্ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র হত্যা পত্রিকা খুল্লেই যেন লাশের মিছিলের শব্দ পাওয়াযায়। বাজার গুলোতে বিশ মেশান খাবার খেয়ে ধিরে ধিরে আমরা একটা ভয়ঙ্কর পরিনতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। কিছুদিন পর পর আবার জীন হাজির হচ্ছে তেনারা আমাদের আশ পাশ থেকে মানুষ দের অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের আমরা কোন হদিস পাচ্ছি না।
বাঙ্গালী পায়ে পরাধীনতার শিকল কখন মেনে নেয় নি। প্রতিবাদ করেছে রুখে দারিয়েছে অধিকার আদায়ে প্রান পর্যন্ত দিতে পিছপা হয় নি।
কিন্তু স্বাধীনতার হাত ধরে কখন আমরা পরাধীনতার মুখমুখি হই নি। আমাদের বেচে থাকার মউলিক অধিকার গুলও আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে হাসি মুখে আশা করতে পারি না। মন্ত্রী আমলা দের কথা শুন্মলে মনে হয় তাদের অতি দয়ায় আমরা বেচে আছি। যা পাচ্ছি এই যথেষ্ট। অবশ্ব তারা কখন স্বাধারন মানুষ এর সমস্যা গুলোর মুখমুখি হয় না।
তাদের অবস্থান থেকই তারা আর সব মানুষ কে বিচা র করে অতচ হয়া উচিত ছিল এর উল্টোটা। সরকারী হাস্পাতালে জীবন রক্ষাকারি ঔষধ পাওয়া যায় না, ডাঃ নার্সদের মুখে সামান্যতম সেবার মনভাব দেখা যায় না। সাধারম মানুষ আমরা সবি সহ্য করতে পারি, চোখের সামনে অসহায় নারীর উপর অত্যাচার, শত শত লাশ সব কিছু আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। সরকারী দল বিরোধী দল অলিক কিছু ব্যাপার নিয়ে রাজনিতীর মাঠ গরম রাখতে ব্যাস্ত। সাধারম মানুষ এর সাথে তাদের সংস্রব খুবি কম।
আমরা এক আজিব স্বাধীনতার পিঠে সওয়ার হয়েছি। এ ঘো;আ স্বাধীনতায় সাধারন মানুষ যেন চোখেও ঘোলা দেখছে। যে স্বাধীনতার জন্য আমরা ইংরেজদের হটিয়েছি, পাকিস্তানীদের হটিয়েছি সেই স্বাধীনতা আজ কিছু রাজনৈতিক ব্যাবসায়ী কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীর খেলার পুতুল। আমরা সেই পুতুল। যেমন খেলায় তেমন খেলি আর পাতা খেলার পাতার মত একবার এর ঘরে আর একবার ওর ঘরে যাচ্ছে দিক্বিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে।
তাদের ঐ ঘোর থেকে বের করবার কোন ওঝা নেই। তাদের স্বপ্ন দেখানোর কোন মানুষ নেই।
এর মাঝেও কিছু স্বপ্ন বাজ মানুষ আমাদের স্বপ্ন দেখায় কিন্তু সে স্বপ্ন স্পষ্ট হওয়ার আগেই এক অশুভ আলোয় তা থেমে যায়।
সব কিছু এমন জট পাকান যে জটছেড়া ছাড়া কোন গতি নেই। কিন্তু তাতে আমাদের যে কিছু ছিরবে না তা কে বলতে পারে।
সময় এর সাথে জট বেরেই যাচ্ছে। আমিও সাধারন মানুষ এর বাইরে নই তাই দেখা ছাড়া করনীয় কি আছে বুঝতে পারছি না। তাই চেয়ে আছি এই অভেদ্য জটের দিকে..................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।