ঘাটের এই পারে বসে আছি ঐ পারে যাওয়ার অপেক্ষা। মুসাফিরের ধূলোমাখা ব্লগ
এটা একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক। কিন্তু কৌতুকের মাঝেও কিছু না বলা কৌতুক রয়ে যায় আজ সেটাই বলার চেষ্টা করছি।
অফিসের হলরুম। সবাই চেয়ারে বসে আছেন।
এমন সময় বড়কর্তা মহোদয় অফিসে ঢুকে সামনের চেয়ারে বসা একজনকে বললেন-আজ এতো গরমেও আপনি টাই পড়ে এসেছেন?
বড়কর্তার কথা শেষহতে দেরী নেই। সবাই হোহো করে হাসি। হাসতে হাসতে একজনের গায়ে যেন আরেকজন পড়ে।
এরপর বড়কর্তা বললেন-শুধু টাই না। আপনি দেখি শার্টও পড়েছেন।
আবার তুমুল হাসি। হাসির রোল , হাসির ফোয়ারা ছুটছে যেন। কার থেকে কে বেশী হাসতে পারে। বড় কর্তা খুশীতে আর আহলাদে গদগদ। নিজের কথায় নিজেই চমৎকৃত।
দেই দেই করে নাচতে ইচ্ছে করছে। এরপর বড় কর্তা বললেন-বাহ! আপনার কোমড়েতো দেখি বেল্টু নাই। তাহলে গলার টাই কোমড়ে বাঁধলেই পারতেন। তাহলে আর সামনের ভূড়িখানা ভূপৃষ্ঠ স্পর্শ করতোনা। সবার এবার হাসিতে গড়াগড়ি যাওয়ার মতো অবস্থা।
শুধু একজন লোক চুপচাপ বসে আছেন একেবারে গম্ভীর হয়ে। এবার অন্য আরেকজন বললেন, কী ব্যাপার ভাই। স্যারের কথা শুনে সবাই হোহো করে হাসছে। আপনি যে একেবারে মুখ তালাবন্ধ করে বসে আছেন। ঘটনা কি? গতকালকেও তো দেখলাম আপনাকে বসের কথা শুনে সবচেয়ে বেশী হাসতে ।
লোকটি এবার বললো- আজকে এই অফিসে আমার শেষদিন। কালকে থেকে নতুন অফিসে যোগ দিবো। যা হাসার নতুন বসের কথা শুনেই হাসবো। এখানে আর আমার চামচামি না করলেও চলবে।
গতকাল সংসদ অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রীমহোদয় অনুপস্থিত।
উনার অনুপস্থিতে যিনি জবাব দিবেন সেই মন্ত্রীমহোদয়ও গরহাজির। আবার যিনি প্রশ্ন করবেন সেই মাননীয় সাংসদও অনুপস্থিত।
বাণিজ্যমন্ত্রী এ পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর দেয়ার জন্য দাঁড়ালে মাননীয় স্পীকার বলেন- "সকলের তরে সকলে আমরা , প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। "
উনার এ কথাটুকুই শুনে পুরো সংসদে হাসির ফোয়ারা। হাসতে হাসতে একেকজনের গায়ে যেন আরেকজন পড়ছেন।
স্পীকারও হাসেন, উপস্থিতমন্ত্রী মহোদয়রাও হাসেন, আর সাংসদরাতো আরো সরস।
একথার মাঝে আপনি কি আসলেই হাসির কিছু পেলেন?
প্রথম আলো পত্রিকাও বাকি থাকবে কেন?-তারাও একেবারে কাগজে ,কলমে, দোয়াতে কালিতে হেসেছে শিরোণাম করে-
#স্পিকারের সরস কথায় হাসির রোল পড়ে অধিবেশন কক্ষে# Prothom Alo
যখন এই হাসির ফোয়ারা সংসদের অপরুপ শোভাকে আরো সুশোভিত করে তুলছে,
ঠিক তখনিই ভয়াবহ পানির সংকটে তিস্তা, মাইলের পর মাইল শুকিয়ে চর পড়ে যাচ্ছে। পদ্মার বুকেতো হাহাকার লেগেই আছে। বিলুপ্তির পথে দেশের ছোট, মাঝারি ২৫টি নদি। ইছামতি নদীর ওপারে দুই কিশোরি বোন ওয়েস্ট বেঙগল বর্ডারের কাছে ধর্ষিতা হয়ে পড়ে আছে- এগুলো শুধুমাত্র এক মুহুর্তের প্রতিচ্ছবি।
হাসুন বেশী করেই হাসুন। হাসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এখন আপনাদের সময় আপনারা হাসবেন। তারপর অন্যদল আসবে । তখন উনারা হাসবে।
আর ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভিতর ভুলভাবে জন্মনেয়া কোনো বোন সীমান্তের পারে ধর্ষিতা হয়ে পড়ে থাকবে। ভালোইতো স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতায় কেউ হাসবে, কেউ ধর্ষিতা হয়ে পড়ে থাকবে। খবরদার! কেউ যেন কারো স্বাধীনতায় কোনোরুপ ডিস্টার্ব না করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।