আমরা একটি চমৎকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বাঙালিরা এখন এতই শক্তি শালি হয়ে গিয়েছে যে ধাক্কা দিয়ে সাড়ে আট তলা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলতে পারে। আগে বাঙ্গালিরা চায়ের দোকানে রাজা উজির মারতো, এখন রাজা উজিররাই নিজেদের বাক্যবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন। কাহিনীর দুর্বলতার জন্যে এখন হীরক রাজার দেশে জাতীয় সিনেমা কেঊ দেখছে না। মন্ত্রিরা এতই জনপ্রিয় যে সুযোগ পেলেই তারা জনতাকে বিনোদিত করছেন।
এখানে সত্যিকার অর্থেই ধর্ম নিরপেক্ষতা চলছে। কমিনিষ্টারাও ধর্মের গুরুত্তব অনুধাবন করতে পারছেন। পরমত সহিষ্ণুতা এখন শিল্পের পরযায়ে পৌছে গেছে। ভুল করে কারো মনে আঘাত দিয়ে ফেললে আমরা নিজেরাই আমাদের মিডিয়া বন্ধ করে দেই। আমাদের নিয়ম শৃংখলা বাহিনী চিরকালই ছিলো জনগণের রক্ষক।
এখন তারা আরও দায়িত্তবশীল হয়েছে। শত সমস্যা থাকা স্বত্বেও প্রায় তিন মাস ধরে শনগরের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ চৌরাস্তায় তারা এপিসি ( আরমারড পারসোনেল ক্যারিয়ার) নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। জনগণের প্রাণের দাবি আদায়ের জন্যে আমরা গলায় গামছাদিয়ে মাঠে নেমেছি। জনতাকে দাবি আদায়ে সাহায্য করার জন্যে পাহারা দিচ্ছে। তাদের মোটিভেশন ক্ষমতাও অনেক ভালো হয়েছে, তারা মাত্র ১০ মিনিটে লক্ষধিক মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে পথ থেকে রথে তুলে দিয়ে নন্দিত হয়েছে।
বিভিন্ন ঘটনায় আল্লাহ যাদের কে নিয়ে যাচ্ছেন, তদের জন্যেও এখন প্রায় ২০ হাজার টাকা পাথেয় বরাদ্দ করা হচ্ছে। শায়েস্তা খানের আমলে এই টাকায় ১ক লক্ষ ষাট হাজার মন চাল পাওয়া যেত। তবে ফিগার সচেতন বাঙালিরা তো এখন ভাতকে তেমন গুরুত্তব দিচ্ছে না।
গত সপ্তায় ৩ দিন বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদ পত্রের সংবাদ শিরোনাম হয়ে আমরা বিসশব জয় করেছি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।