আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লক্ষ্য হোক স্বপ্নপূরণ

মা-বাবা পাশে না থাকলে একটি ছেলে বা মেয়ের পক্ষে নিজের স্বপ্নপূরণ করা খুবই কঠিন। বেশিরভাগ মা-বাবাই চান, সন্তান তাদের নিজেদের পছন্দের পথেই বড় হয়ে উঠুক। আর সেখানে লাগে যত ঝামেলা। বাবা হয়তো বললেন, আমি আমার সন্তানকে ডাক্তার তৈরি করবো। কিন্তু ছেলে হয়তো চায় একজন গায়ক হতে।

দ্বন্দ্বটা বাধে এভাবেই। অবশেষে সন্তানরা যখন বাধ্য হয়ে মা-বাবার পছন্দের পথে চলতে শুরু করে, তখন মন থেকে মেনে নিতে না পারার ফলে হতাশ হওয়া ছাড়া তাদের আর কোনও পথই থাকে না। হয়তো কেউ তার মা-বাবার কথা অনুযায়ী বড় হয়ে কোনও লোভনীয় বেতনের ভালো কাজও জুটিয়ে নেয়, কিন্তু তারপর আশেপাশের অন্য ছেলেরা যখন তাদের পছন্দের পথে বড় হয়ে আনন্দে দিন কাটায়, তখন তাদের দেখে তার হিংসে হয়, দুঃখ হয় এবং মা-বাবার প্রতি একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর সেই ক্ষোভ থেকেই শুরু হয় অশান্তি। অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবার পছন্দ ছেলেমেয়ের পছন্দের সঙ্গে মিলে যায়।

কিন্তু যাদের কপালে এমন সুবিধে জোটে না, মা-বাবা তাদের পাশে না দাঁড়ালে, নিজেদের সেই বিশেষ গুণটা খুঁজে বের করা কিন্তু তাদের পক্ষে মুশকিল। সকলের মধ্যে কিন্তু একই রকম গুণ বা একই জিনিসের প্রতি আগ্রহ দেখা যায় না। কারও পড়াশোনা, কারও সংগীত, কারও খেলাধুলা বা কারও ব্যবসার পথে বড় হওয়ার ক্ষমতা থাকে। তাই সবকিছু মুখ বুঁজে সহ্য না করে মা-বাবাকে বলতে হবে -তোমরা আমাকে সাহায্য করলে আমি আমার স্বপ্নের পথে এগিয়ে তোমাদের দেখিয়ে দেবো, আমি কত সফল হতে পারি। কিন্তু নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমি চলতে পারবো না।

এই সাহস যারা দেখাতে পারবে, তারা জীবনে উন্নতি করতে পারবে, না হলে হতাশা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.