আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতের আন্দোলনের নেপথ্যে.........???

ভালবাসি মা-মাটি-দেশ। স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর সকাল। এক নতুন সূর্যোদয়ের। কওমি মাদ্রাসা হল দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচলিত প্রায় সম্পূর্ণ বেসরকারি অনুদানে পরিচালিত এক প্রকারের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কওম শব্দের অর্থ গোত্র বলেই হয়ত এর নামকরণ করা হয়েছে কওমি মাদ্রাসা।

এর কর্মকাণ্ডে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সরকারি মাদ্রাসার সনদ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে দেয়া হলেও কওমি মাদ্রাসার সনদ প্রদান করা হয় বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বা বেফাকুল মাদারিস দ্বারা। এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। যার শুরুটা হয়েছিল উপমহাদেশে ইসলামী শাসনের শুরু থেকেই। তবে মুঘল আমলে এর ব্যাপক প্রসার লাভ করে।

যদিও তখন মাদ্রাসা বলতে একটি পুর্নাংগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই বোঝাত যেখানে দর্শন, বিজ্ঞান, যুক্তি বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা এমনকি কারিগরি শিক্ষাও প্রদান করা হত। যা পরবর্তীতে দুর্ভাগ্যক্রমে অনেকটা ধর্ম শিক্ষায় রূপ নিয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বলছি এই জন্য যে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ধর্মীয় ও বিজ্ঞান মনস্ক এবং একইসাথে আধুনিক মানুষ গড়ার কারখানা তাই দিনে দিনে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রূপ পরিগ্রহ করেছে। যেখান থেকে সত্যিকারের মানব সম্পদ তৈরি হচ্ছে না। এ সব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মক্তবের হুজুর এই তাদের কর্মক্ষেত্র।

বলা বাহুল্য এসব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম প্রত্যাশীর ভিড় থাকে ফলে এদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই হয়ে যায় বেকার অথবা ছদ্ম বেকার। রমজানে তারাবীর নামাযে “খতম তারাবী” পড়াতে বা বিশেষ কোন কারণে কেউ কোরআন খতম দিতে চাইলে এবং মৃতের জানাজা ও বিশেষ সামাজিক অনুষ্ঠানেই কেবল তাদের ডাক পরে। প্রসঙ্গ ক্রমে বলতে হয় ১৮৬৬ সালে মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি চিন্তাধারা ও দ্বীনই শিক্ষাকে শক্তিশালী করার নিমিত্তে ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার যে ধারাটি দারুল উলুম দেওবন্দ নামে চালু হয়। আজো সেই মাদ্রাসাই উপমহাদেশের এই তরীকার মাদ্রাসার প্রধান স্কুল হিসেবে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশে যা কওমি, খারিজী বা ওয়াহাবি মাদ্রাসা নামে পরিচিত।

শুরুতে এই তরীকার মাদ্রাসাসমূহ এতটাই উদার ও আধুনিক ছিল যে তারা ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত ভারতের পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক দেশ বিভাগকে প্রত্যাখ্যান করে তারা তখন একটি প্রথাবিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন। যা দ্বিজাতিতত্ত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। এই মাদ্রাসাগুলি যদি তাঁর শুরুর ধারাটি ধরে রাখতে পারত তাহলে হয়ত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বও বজায় রাখতে পারত। বাস্তবতা হচ্ছে সেই মাদ্রাসারই শিক্ষার্থীরা আজ দেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মুল স্রোতের সাথে তাল মেলাতে চরম ব্যর্থ।

যদিও তারা কওমি মাদরাসা শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্দেশ করতে গিয়ে বলছেন; এ শিক্ষার আলোকে একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জ্ঞানে বলীয়ান হওয়ার সাথে সাথে আধুনিক বিশ্ব ও মনন সম্বন্ধে অভিজ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আশানুরূপ যোগ্যতা ও দক্ষতা লাভ করবে। আদতে তাদের শিক্ষা কারিকুলামের প্রয়োজনীয় আধুনিকায়ন না করায় সমাজ সভ্যতার আধুনিকায়নের সাথে কওমি মাদ্রাসাসমূহ তাল মেলাতে পারছে না। এদের চিন্তা চেতনায় একধরনের অনমনীয় একগুঁয়েমি এবং গোঁড়ামি প্রকট ভাবে চোখে পড়ে। এদের মাঝে দেখা যায় ধর্মের নামে উগ্র আচরণ। মাঝে মাঝে এরা জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিবাদে।

খুব সহজেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক এদের ব্যবহৃত হতেও দেখা যায়। সাধারণত কওমি মাদ্রাসাগুলি দেশের কোন না কোন পীর বা তাদের উত্তরসূরিদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারাই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রকের রাজনৈতিক আদর্শের দ্বারা মাদরাসা গুলিও প্রভাবিত হয়। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও ব্যবহৃত হয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য যে, এই মাদ্রাসার ছাত্ররা সাধারণত উঠে আসে সমাজের দারিদ্র-পীড়িত, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্য হতে। এরা অত্যন্ত সরল মনা এবং ধর্মপ্রাণ। সেইসাথে অসহায়ও বটে। এদের উপরে মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ প্রভাব যতটা কাজ করে পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব ততটা করেনা। কওমি মাদ্রাসাগুলির দেশের প্রচলিত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে না পারার এই ব্যর্থতা কোন গোষ্ঠিগত স্বার্থে মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ প্রভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে সৃষ্ট না বিভিন্ন সরকারের চরম উদাসীনতার ফলশ্রুতি তা আলোচনার দাবি রাখে।

বিএনপি-আওয়ামীলীগ উভয় দলই বিভিন্ন সময়ে একে মূল স্রোতে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। বেশিরভাগ কওমি মাদ্রাসাই নিজস্ব নিয়মে চলতে চায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোণও তত্ত্বাবধান বা মনিটরিং তারা চায় না। আলেমদের দম্ভ ও প্রভাব প্রদর্শন এর অন্যতম প্রধান কারণ হলেও একমাত্র নয়। ১৭/৪/১৩ ইং তারিখে প্রথম আলো’তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী “ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড”।

বিবৃতিতে বলা হয় আল্লাহ, রসুল (সঃ) , কোরআন ও ইসলাম সম্পর্কে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ কারীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আলেমরা যখন ইমান ও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ব্যস্ত, সেই মুহূর্তে দরবারি আলেমরা কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। এটাকে ‘মুলা ঝোলানো’ এবং চলমান আন্দোলনকে ব্যাহত করার ‘হীন ষড়যন্ত্র’ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। অথচ বর্তমান সরকার ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষা পদ্ধতির সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন নামে কওমি আলেমদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে ( দেখুন কওমি মাদ্রাসা খসড়া শিক্ষানীতি)। জনাব মাওলানা আহমদ শফী, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম, হাট হাজারী, চট্টগ্রাম; জনাব মাওলানা আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মাসঊদ, পরিচালক, ইকরা, বাংলাদেশ কে যথাক্রমে চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের যে কমিশন গঠন করা হয়েছিল। উক্ত কমিশনের প্রণয়ন কৃত খসড়া শিক্ষানীতি সম্পর্কে সর্বসাধারণের মতামত প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল ১ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত।

অতএব এটা স্পষ্ট যে, আন্দোলনের নামে হেফাজতের নেতারা যে অজুহাত তৈরি করছেন তাকে সত্য বলে ধরে নেয়ার কোন কারণ নেই। আসল কথা হচ্ছে তারা চান না কওমি মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাক। এখন এ প্রশ্নও সামনে এসে দাঁড়িয়েছে হেফাজতের চলমান আন্দোলনের পেছনে এ বিষয়টিও প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে কিনা। কারণ কওমি মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এলে শুধু যে আলেমদের দম্ভ এবং ক্ষমতাই খর্ব হবে তাই না। সেইসাথে আরও কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থ হানী ঘটবে।

যেমন- বিদেশ থেকে আসা সাহায্য কৃত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে আসবে ফলে এর আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারের নখদর্পণে চলে আসবে। তাছাড়া বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং দাতা সংস্থার তালিকাও সরকারের হাতে চলে যাবে। যা হয়ত এর নেতৃবৃন্দের স্বার্থ হানী ঘটাবে। কওমি শিক্ষার মান সাধারণ শিক্ষার সমমান করলে প্রশ্ন উঠবে শিক্ষকদের মান নিয়ে। ফলে বাদ পরতে পারেন অনেক শিক্ষক।

সর্বোপরি গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী দেশি বিদেশী জঙ্গিদের অভয়ারণ্যটি আর নিরাপদ থাকবে না। ২১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠের অনলাইন সংস্করণে “গোয়েন্দা নজরদারিতে রাজধানীর শতাধিক কওমি মাদ্রাসা। চোরাগোপ্তা হামলাকারী জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল” শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, “রাজধানীর শতাধিক কওমি মাদ্রাসার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে এসব মাদ্রাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়া হয়। মাদ্রাসার মতো স্পর্শকাতর স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে ইসলামী দলগুলোর তরফ থেকে প্রলুব্ধ করা হয়।

যাতে অভিযান চালালে ধর্মকে পুঁজি করে দেশে-বিদেশে প্রোপাগান্ডা চালাতে সুবিধে হয়। চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের গ্রেফতারে চলমান অভিযান অনেকটাই ব্যর্থ হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা অন্তত ৫শ’। ঢাকার অধিকাংশ কওমি মাদ্রাসা রাজধানীর চারদিকে বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী, গেণ্ডারিয়া, শ্যামপুর, পোস্তগোলা, শনির আখড়া, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, দক্ষিণ খান, উত্তরখান, উত্তরার আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর, তুরাগের কামারপাড়া, রানা ভোলা, খায়ের টেক, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, মিরপুর বেড়িবাঁধ, মিরপুরের সিন্নির টেক, গাবতলি, আমিনবাজার, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, লালবাগ, পোস্তা, আজিমপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। অত্যন্ত সু পরিকল্পিতভাবে এসব কওমি মাদ্রাসা রাজধানীর চারদিকে গড়ে তোলা হয়েছে।

জঙ্গিদের গ্রেফতার এড়িয়ে ঢাকায় অবস্থান করাতে এসব মাদ্রাসাকে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ইসলাম প্রচারের নামে বিদেশ থেকে আনা অর্থের একটি বড় অংশ খরচ করতেও এসব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব মাদ্রাসায় বিদেশী জঙ্গিদের বসবাস ও আনাগোনা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের হাত রয়েছে। তারা মাদ্রাসাগুলোতে মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান দিয়ে থাকে।

মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গিদের থাকা-খাওয়া ব্যবস্থা করা হয়। মাদ্রাসায় জঙ্গিদের হাল্কা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। ”। এমতাবস্থায় এর নেতৃবৃন্দ কওমি মাদ্রাসাকে সরকারী হস্তক্ষেপের বাহিরে রাখতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। বাধ সেধেছে বর্তমান সরকার যারা যেকোনো উপায়েই হোক চাচ্ছে একে নিয়ন্ত্রণে নিতে।

তাতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটা লাভবান হবে জানিনা তবে প্রায় বিশ লক্ষ ছাত্র যে উপকৃত হবে সন্দেহ নেই। স্বাধীনতার এত বছর পরে বর্তমান সরকার যে শিক্ষানীতিটি প্রণয়ন করেছে তার একমাত্র কলঙ্ক তিলক কওমি শিক্ষাকে এর আওতামুক্ত রাখা। অথচ দেশের নাগরিক হিসেবে এই শিক্ষার্থীরাও সমান সুযোগের দাবীদার। হয়ত সেই কলংক মোচনের তাড়নাতেই এই সরকার কওমি মাদ্রাসার ভেতরের লোকজন নিয়েই একটি কমিশন গঠন করেন। সরকারের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণও তাদেরকে প্রশ্নের সম্মুখীন করবে।

আবার একে মেনে নেয়াও কঠিন। এই উভয় সংকট থেকে বেড়িয়ে আসতে এমন একটি ইস্যুর প্রয়োজন ছিল যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার ও তৎপর বর্তী সময়ে প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন এবং জামাত-শিবিরের কোণঠাসা পরিস্থিতিই হয়ত তাদের গ্রন্থি বদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে তারা ১৩ দফার নামে এমন কিছু দাবী সামনে নিয়ে আসে। যা গ্রহণ করার কোন সুযোগ সরকারের নেই।

কওমি মাদ্রাসার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে জামাত ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললেও তাদের ১৩ দফায় মওদুদী বাদের বিরুদ্ধে কোন দাবী নেই। এমন কি আন্দোলনকে বেগবান কোরতে চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীদের সাথে নিতেও তাদের আপত্তি নেই। হেফাজতের আন্দোলন অবশ্যই হেফাজতের জন্য। তবে তা ইসলাম না কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ না জামাতকে হেফাজতের জন্য সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সুত্রঃ ব্লগ উইকিপিডিয়া, বাংলা নিউজ২৪.কম, দৈনিক জনকন্ঠ।

Click This Link. Click This Link Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.