টুইটারে আসেন, আড্ডা দেই। @smnawed
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ১৩ দফা দাবিতে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দাবিগুলো হলো:
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
আমার মত: আশা করি কোরআন-সুন্নাহপন্থী কোনও আইন দেশের কোনও ধর্মকেই আঘাত করবে না।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
আমার মত: ডেনমার্কেও কি এই আইন করা হয়েছিল?
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
আমার মত: যে কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে "কুৎসা রটনাকারী"কেই শাস্তি দেয়া হোক। স্বঘোষিত নাস্তিক যদি কোন ধর্মকে আঘাত না করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে সময় অপচয় করবেন কেন?
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
আমার মত: যদি তা কোনও মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষ করে, তাকে বুঝানোর দায়িত্ব আমাদের মত সকল মুসলমানের। আসেন, বিয়েতে অযথা অপচয় করা বন্ধ করা দিয়েই শুরু করি।
এর জন্য তো আইনের প্রয়োজন নাই।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
আমার মত: প্রাথমিক থেকেই যার যার ধর্ম তাকে পড়তে দেয়া উচিৎ। মানসিক এবং মানবিক গঠনের জন্য ধর্ম খুবই সহায়ক।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
আমার মত: ইসলামকে পরিষ্কার রাখতে এটা প্রয়োজন।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
আমার মত: ভাস্কর্য অনেক রকম হতে পারে। মানুষ না থাকলেই হয়। আর থাকলেও, সেটা কেউ পূজা না করলেই হয়।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
আমার মত: গীর্জা-মন্দিরে যেহেতু বাঁধা দেয়া হয় না, এখানেও বাঁধা থাকা উচিত না। ডেমোক্র্যাটিক রাইট।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
আমার মত: পুরোপুরি সহমত
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
আমার মত: আমি সেন্ট গ্রেগরী এবং নটরডেমে পড়েছি। কখনও আমাকে ধর্মান্তরিত হতে বলে নাই। আমরা আমাদের আচরনের মাধ্যমে ইসলামকে ফুটিয়ে তুলতে পারি আর কুরআনের কথা মানুষকে জানাতে পারি মাত্র। কারও-ই উচিৎ হবে না অন্য কাউকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
আমার মত: সকল প্রকার অশান্তিমূলক কার্যক্রম বন্ধে সরকারের জরূরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
আমার মত: সত্যবাদী ঈমামকে সত্য বলতে দেয়া উচিৎ। কিন্তু কে হুমকি দিচ্ছিল?
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
আমার মত: মিথ্যা মামলা হলে সেটা প্রমানের সূযোগ আছে কি? দুষ্কৃতকারী বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে সেটা পরিষ্কার না।
পত্র-পত্রিকায় তো দেখলাম বেশীরভাগ মৃত্যু ঘটেছে পুলিশের গুলিতে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।