আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... শিশুও সাপ চেনে, বাঙালিরও চেনার কথা জামাতকে;' কিন্তু মনে হয় বাঙালি শিশুর থেকেও নির্বোধ,
গোখরোর কামড় খেয়েও বাঙালি চেনে না সাপ কাকে বলে। বাঙলাদেশ ও তার বিভ্রান্ত রাজনীতি
দুধকলা দিয়ে পুষে আসছে কালজাতিটিকে, যার ছোবলে একদিন সম্পূর্ণ নীল হয়ে যেতে হবে বাঙালি জাতিকে।
-হুমায়ুন আজাদ।
সময় উপস্থিত, বাঙ্গালী আজও জামাতকে চিনতে ভুল করল, আজকে মাওলানা শফী বললেন
"আপনারা হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বদলে বুকে গুলি করে আমাকে মেরে ফেলুন।
এই ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনে ধৈর্য ধরে রাখতে পারি না।
কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। আপনারা নব্য জামায়াতবিরোধী,
নব্য মওদুদীবিরোধী। এই গোমরাহ গোষ্ঠীর জন্মলগ্ন থেকেই আমরা কওমি চিন্তার আলেমসমাজ তাদের বিরুদ্ধে
সতর্ক করে আসছি। জামায়াত ও মওদুদীর ইসলামবিরোধী সব তথ্য আমাদের মতো করে আর কেউ এত বেশি
জানে না। তাই দয়া করে আমাদেরকে জামায়াতের সঙ্গে তুলনা করবেন না।
"
যদি সত্যিই জামায়াতের সাথে হেফাজতের কোন সম্পর্ক না থাকত তাহলে হেফাজতের মঞ্চে সাইদীর মুক্তির দাবীতে
শ্লোগান দিল কার?? আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি হেফাজতে ইসলাম জামায়াতেরই অঙ্গ সংগঠন
হেফাজতে ইসলামকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে মীর কাশেম আলীর রাবেতা আল ইসলামী
রাজাকার মীর কাসেমের উত্তরসুরী হেফাজতে ইসলাম জামাতেরই অঙ্গ সংগঠন , লাইন বাই লাইন এভিডেন্স এবং রেফারেন্স সহ . . .
"হেফাজতে ইসলাম" নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, তাদের একমাত্র সমস্যা নাকি নাস্তিকরা . .
লক্ষ্য করুণ, বন্ধুরা একটু লক্ষ্য করুণ
যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে প্রচুর টাকা ঢালা একটি এনজিও হচ্ছে রাবেতা আল ইসলামী যার কান্ট্রি হেড ছিল জামাত নেতা রাজাকার মীর কাসেম আলী,
রাবেতার অঙ্গ সংগঠন মাসিক আল-হক্ব পত্রিকা, এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক এবং রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বর্তমান বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান
"আল্লামা সুলতান যওক নদভী"।
আর এই "আল্লামা সুলতান যওক নদভী" হচ্ছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর
এবার বুঝেন, কি বিচারই না তারা চান ! ! !
প্রত্যেকটা লাইনের একাধিক রেফারেন্স দেয়া হল, যার প্রায় সবগুলো জামাত সমর্থিত পত্রিকার লিংক নিজের চোখে পরখ করে নিন দয়া করে
**
পয়েন্ট নাম্বার একঃ “মীর কাসেম রাবেতা আল ইসলামীর কান্ট্রি হেড”
*
"..... ছাত্র শিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি হয় মীর কাশেম আলী।
এরপর রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে “রাবেতা আল ইসলামী” গড়ে তুলে। কক্সবাজারে এই রাবেতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আসে। “রাবেতা আল ইসলামী”র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে ছিল কাসেম আলী।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সাহায্যের নামে আনা এই টাকায় রাবেতা হাসপাতালও করা হয়েছে। যেখানে ইসলামী জঙ্গিসহ রোহিঙ্গা ইসলামী জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা জঙ্গিদেরকে দেশে প্রশিক্ষণ ও বিদেশে পাঠিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মীর কাসেম আলী সহায়তা করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। আর এই রাবেতার মাধ্যমে আসা কোটি কোটি টাকা দিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থ সহায়তা এবং জামাতে ইসলামীকে অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর জন্য মীর কাসেম আলী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে এমন তথ্য রয়েছে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও। ....."
তথ্যসূত্র :
মুক্তিযুদ্ধ কোষ/৩য় খন্ড (সম্পাদক : ড.মুনতাসীর মামুন)
*
"..... সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক সাহায্যপুষ্ট ‘রাবেতা আল ইসলামী’ নামে একটি এনজিও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ লাভ করেন এই জামাত নেতা রাজাকার মীর কাসেম আলী।
......."
তথ্যসূত্র :
http://www.amarblog.com/mamun311/posts/150639
*
এছাড়া গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে "True History Of Liberation War 1971" এবং "স্লোগান’৭১"এর পক্ষ থেকে বিলিকৃত লিফলেটে “রাবেতা আল ইসলামী” এর অঙ্গ সংগঠন
"রাবেতা-তাওহিদ ট্রাস্ট" কে জামায়াত ও শিবিরের সদস্য দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করে বর্জনের আহ্বান জানিনো হয়েছে
**
পয়েন্ট নাম্বার দুইঃ “রাবেতা আল ইসলামী এনজিও'র বিনিয়োগের একটা পত্রিকা মাসিক আল-হক্ব“
*
এবার লক্ষ্য করুণ
মাসিক আল হক্বের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক,দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক ও রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান আল্লামা সুলতান যওক নদভী
সুত্রঃ
*দৈনিক ইনকিলাবঃ "http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=92422&& page_id= 5"
*দৈনিক নয়া দিগন্তঃ "http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=122600"
*সাপ্তাহিক সোনার বাংলাঃ "http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=8506"
**
পয়েন্ট নাম্বার তিনঃ “মাসিক আল-হক্বের সম্পাদক এবং রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বাংলাদেশ ব্যুরোর বর্তমান প্রধানই হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর”
*
এই আল্লামা সুলতান যওক নদভী হচ্ছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর
সুত্রঃ
*দৈনিক সংগ্রামঃ "http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=110214"
*দৈনিক নয়া দিগন্তঃ Click This Link
এবার আপনারাই বলেন রাজাকার মীর কাসেমের উত্তরসুরী হেফাজতে ইসলাম কি জামাতের অঙ্গ কি না ?
আরেকটি মুখোশ খুলে গেল, জামাত শিবিরকে চিনুন রুখে দাঁড়ান
জয় বাংলা
ইমাম শাফি দাবি করেছেন যে লংমার্চে বাধা দিলে সরকার’কে ‘নাস্তিক’ ঘোষনা করা হবে। অর্থাৎ সরকার তাদের
লংমার্চ করতে দিলে সরকার ‘আস্তিক’ থাকবে। তারমানে দাঁড়ালো যে নাস্তিকতা এবং আস্তিকতার সংজ্ঞা তারা
নির্ধারণ করছেন তাকে সাফ কথায় বলে দেয়া যায় ‘হেফাজতের পক্ষ হলে আস্তিক এবং বিপক্ষ হলে নাস্তিক’
তাইলেই বুঝেন শফি সাহেব এখন নাস্তিক আস্তিকের সার্টিফিকেট দেয়া শুরু করসেন
কে এই শফি, কোথায় ছিলেন যুদ্ধের সময় ??
‘আল্লামা শফী ছিলেন ’৭১ মুজাহিদ বাহিনীতে’
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী একাত্তরে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সহায়তা করেন বলে দাবি
করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চবিরোধী হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীকে ‘রক্ষার’ অভিযোগ
আসার পর একাত্তরে সংগঠনটির আমিরের ভূমিকা তুলে আনলেন সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “একাত্তরে যখন পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসররা এ দেশে হত্যা,
ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছিল, তখন হেফাজতের নেতারা কোথায় ছিলেন?
“হেফাজতের নেতা আহমদ শফী একাত্তরে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকারদের
সব কাজে সহযোগিতা করেন।
”
আহমদ শফী এখন পাকিস্তানের দোসরদের রক্ষার ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন বলেও দাবি করেন জিয়াউল।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের ‘নাস্তিক’ আখ্যায়িত করে তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সম্প্রতি সোচ্চার
হয় হেফাজতে ইসলাম। গণজাগরণ মঞ্চের চট্টগ্রামে সমাবেশেও বাধা দেয় তারা।
চট্টগ্রামে হেফাজতের সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে স্লোগানও দেয়া হয়।
সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি বলেন, “জামায়াত নেতা গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান এবং
বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও আব্দুল আলিম গংরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল।
“ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা যে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠরাই মুসলমান ছিল। ”
একাত্তরের ওই গণহত্যাকারীরা বাঙালি জাতির ও ইসলামের চিরদুশমন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পবিত্র কুরআনে গণহত্যার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন,
“আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের নামায-রোজা যেভাবে ফরজ করে দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই দলমত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের
বিচার করাও পবিত্র কুরআনের বিধান অনুযায়ী আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। ”
‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করায় সরকারকে সাধুবাদ জানালেও যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিভিন্নভাবে ধর্মীয় উস্কানি ছড়াচ্ছে
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী জোটের নেতা।
তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবিরের ব্লগ ও ব্লগাররা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, যদিও এরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে অন্যের
নামে ভুয়া একাউন্ট খুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
”
“পবিত্র কাবা শরীফের গিলাপের অপব্যবহার করে সাঈদীর মুক্তির ভুয়া মানববন্ধনের ছবি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরেও
কাবা শরীফের অবমাননার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। ”
ধর্ম রক্ষার নামে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি ইসলাম ও কোরআনের বিরোধী বলে মন্তব্য করেন এই মাওলানা।
তিনি বলেন, “তারা মাওসেতুংয়ের মতাদর্শের লংমার্চের ধারক ও বাহক। পবিত্র কোরআন ও ইসলামকে আল্লাহ নিজেই
হেফাযত করার ঘোষণা দিয়ে ১৫ নং সূরা হিজরের ৯নং আয়াতে চিরস্থায়ীভাবে বিধান দিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ইন্না নাহনু নাযযালনাজ যিকরা ওয়া ইন্না লাহু লা-হা-ফিজুন, অর্থাৎ ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক’। ”
সেখানে আল্লাহর দায়িত্ব পালনের কথা শয়তান ছাড়া কেউ বলতে পারে না, মন্তব্য করেন তিনি।
লিঙ্কঃ Click This Link
এবার বোঝা গেল ?? হেফাজতে ইসলাম নিসঃন্দেহে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন, তাই আজ আমাদের প্রতিহত করতে হবে এসব ধর্ম ব্যাবসায়িদের ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।