যুবকদের মাদক থেকে বিরত রাখতে
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরী
মাদক গ্রহণে নেশা শুরুর উপকরণ সিগারেট ও তামাক ব্যবহার কমানো সম্ভব না হলে যুবদের মাঝে মাদক নিয়ন্ত্রণও কঠিন হয়ে পড়বে। মাদক ব্যবহার নিয়ে আমাদের উৎকণ্ঠা থাকলেও, তামাক নিয়ন্ত্রণে দেশে এখনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। দেশের তরুণ, যুব সমাজের মাঝে মাদক ও তামাক ব্যবহার কমাতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করি সরকার কোম্পানির প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করবে। আজ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, প্রত্যাশা, একলাব, নাটাব ও এইড সংস্থার আয়োজনে রোগ ও মৃত্যু কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা এ দাবি জানায়।
অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, এইড এর নির্বাহী পরিচালক, সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসরাম বকুল, নাটাবের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ খলিল উল্লাহ, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন এর নির্বার্হী পরিচালক এনাম আহমেদ, মানবিকের প্রোজেক্ট অফিসার মাসুদ রানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ।
সিরাক- বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে দূর্বলতার কারণে কোম্পানিগুলো বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। কোম্পানিগুলো অল্প বয়স্কদের মাধ্যমে যুবদের মাধ্যমে সিগারেটের প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ধরনের প্রচারণা নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিনামূল্যে লাইটারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে তরুণদের কোম্পানির সিগারেট ব্রান্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
দেশের যুব সমাজকে রক্ষায় তামাক কোম্পনীর এধরনের কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এইড সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার স্বার্থে বিভিন্ন ভ্রান্ত তথ্যের মাধ্যমে আইন সংশোধন ও কর বৃদ্ধির বিরোধীতা করছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে মানুষের স্বাস্থ্য। তামাক ব্যবহার বাড়লে মানুষ ক্যান্সারসহ নানা মরণ ব্যধিতে আক্রান্ত হবে। তাই তামাক কোম্পানির কোন কথায় কর্ণপাত না করে তামাকের ব্যবহার কমাতো সরকারকে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হোক সরকারের এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। সভায় বক্তারা আর বিলম্ভ না করে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক সংবিধানে প্রদত্ত বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব বরছে। সংবিধান অনুযায়ী মানুষকে নীরব মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। তামাকজনিত মৃত্যুর মিছিল প্রতিহত করতে অবিলম্বে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী, সব পাবলিক প্লেস শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা সহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।