অসামাজিক জীব প্রথমেই বলে রাখছি আমি খুব উঁচু মানের কোনও লেখক বা ব্লগার নই। তাই এই লেখাটায় মাঝে মাঝেই হয়তো ছন্দ হারিয়ে যাবে। তবে যে বিষয়টা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি তা খুবই জরুরী।
একটা ঘটনা দিয়েই শুরু করা যাক ....
বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা। রোজার শুরুর দিকে।
সকালবেলা অফিসে যাচ্ছিলাম। এম ই এস থেকে ২৭ নম্বর বাস এ বিশ্বরোড নামবো। বাসের একটু পিছন দিকে বসেছিলাম। বিশ্বরোড আসতে নামার জন্য এগিয়ে আসছিলাম। সামনের দিকে একটু ভিড় বেশী হওয়ায় মানুষজনের গায়ে গা ঘেষে নামতে হচ্ছিলো।
এদের মধ্যে একজন আবার আমাকে ইচ্ছাকরেই চাপ দিয়ে আগে নামতে চাচ্ছিলো। আমার মেজাজ একটু খারাপ হয়ে গেলো। যেখানে সবাই নামছে সেখানে এতো ধাক্কাধাক্কি করার কি আছে? আমিও তাই ভাবলাম তাকে আগে নামতে দিবোনা। উনাকে ধাক্কা দিয়ে আমিই আগে নামতে গেলাম। আমার ঠিক পিছনেই ওই লোকটা।
আমার এক পা রাস্তায় আর এক পা তখনো গাড়িতে। অভ্যেস মত অবচেতন মনেই প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দেখি আমার মোবাইল খানা উধাও। আমি না নেমে ঘুরে গিয়ে বললাম আমার মোবাইল নিয়ে গেছে কে যেন! আমি ঘুরে যাওয়ার সাথে সাথেই ছোট্ট একটা আওয়াজ পেলাম আর আমার পিছনের লোকটা আমাকে পাশ কাটিয়ে নেমে গেলো। আমি লোকটার এক হাত ধরে ফেললাম। দেখি তার হাতে তার মোবাইল আর প্যান্টের পকেটেও কিছু নেই।
ওই লোকটাকে ছেরে দিয়ে আবার বাসে উঠতে গেলাম। তখন বাসের দরজার পাশ থেকে (যেখানে সাধারনত মহিলারা বসেন) এক লোক আমার মোবাইল বের করে দিলেন।
উনাকে ধন্যবাদ দিয়ে বাস থেকে নেমে ওই লোকটাকে ধরলাম। ব্যাটা ভদ্রলোকের মতো বলে, ভাই কি হইছে? আমিও তার দিকে একটু তাকিয়ে থেকে অসহায়ের মত বললাম, না ভাই কিছুনা। আপনি যা্ন।
পরে চিন্তা করে দেখলাম লোকটা ইচ্ছা করেই আমাকে ধাক্কা দিচ্ছিলো। আর নামার সময় আমি টের পেয়ে যাওয়াতে সাথে সাথে মোবাইলটা দরজার পাশে ফেলে দেয়। আমাদের দুজনেরই ভাগ্য ভালো। আমার ভাগ্য ভালো যে আমি একটুর জন্য মোবাইলটা খোয়াইনি আর ওই লোকটার ভাগ্য ভালো যে একটুর জন্য ধরা পড়েনি।
এখন যার জন্য এই পোষ্ট দেয়া।
যেহেতু আর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ঈদ তাই এ ধরনের চক্র কিন্তু সবজায়গাতেই সক্রিয় আছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ যেখানেই যান না কেন নিজের মোবাইল মানিব্যাগ এবং দরকারি জিনিসপত্র সাবধানে রাখবেন। আল্লাহ না করুন যদি কোনও কিছু হারায়, হয়তো ওটা দামি নাও হতে পারে। কিন্তু নিজের শখের ছোট্ট একটা কিছুও যদি এভাবে হারায় তাহলে যা কারোরই খারাপ লাগার কথা।
আরেকটা ব্যাপার শেয়ার না করলেই নয়।
যদি সম্ভব হয় তো ঘর হতে বের হওয়ার আগে রাস্তাঘাটে হেফাজতে চলার কোনও দোয়া জানা থাকলে পড়ে বের হবেন। আমার মা আমার মানি ব্যাগে একটা দোয়া লিখে দিয়েছেন। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি সেই দোয়ার বরকতেই আল্লাহ আমাকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন।
সবাই ভালো থাকবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।