অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
Click This Link
মানস একটু শইলে আব্রু কইরা কথা কন মিয়া- পাব্লিক কেনো কোনো আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকে কিংবা কেনো থাকে না এইটা নিয়া আপ্নের একটা নৃতাত্বিক বিশ্লেষণ থাকাটা অবশ্যসম্ভাবি- এইটাই আপ্নের পেশা- তয় একটা সত্যও আছে এইগুলার সাথে যেইটা আপ্নে চামে আড়াল কইরা যাইতেছেন- ক্ষমতাসীনেরা কি চাইতেছে কি চাইতেছে না এইটার চেয়ে বড় হইলো সাধারণ মানুষ কি চাইতেছিলো- কিংবা কি চাইছিলো কিংবা কি চাইছে-
যদিও আউট অফ কনটেক্সট মনে হইতে পারে এর পরেও কই সবচেয়ে বড় বিচারের রায় হইলো জনতার রায়- পাবলিক অপিনিয়নের একটা গুরুত্ব আছে- রাইসু যেইটারে কইছে জনতার রায় মাঝে মাঝে ভীষণ রকম অনৈতিক অভব্য হইতে পারে সেই জায়গাতে দাঁড়ায়া- আমি এই নেতিকে স্বীকার কইরাও কই- গণপিটুনি কিংবা গণরোষ সব সময় জনতার মতামত না- এইটা একটা তাৎক্ষণিক মত্ততা- কয়দিন আগে এক ধর্ষিতারে দোররা মারবার সিদ্ধান্ত এবং এর প্রতিবাদ এবং এ সংক্রান্ত সকল ঘটনাই সব সময় জনতার মতের প্রতিফলনের জায়গা হইতে পারে- যদি দোররা মারাটাকে জনতার রায় বলি তাইলে এর বিরোধিতার জায়গাটাকেও জনতার মতই কইতে হয়-
তবে সম্মিলিত ভাবে জনতা যখন একটা বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করে তখন সেটাকে আদালতের রায়ের চেয়ে বড় বিষয় মানতে হবে- মেলোড্রামাটিক ইভেন্টের মতো আদ্ভুত ঘটনার সন্নিবেশ ঘটায়া এইটারে অহেতুক রং চাড়ানোর আদত বাদ দিলে আলোচনার সুবিধাটা হয়-
তাই কইতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রথম সমাবেশ এবং গণ অনশন হইছে ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৭২- সেই সময় জনগন এইটারে যৌক্তিক ভাবছিলো-
রাষ্ট্রনীতি - পররাষ্ট্রনীতি- দাতাগোষ্ঠী বন্ধু দেশ এইসব আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ বিষয় বাদ দিয়ে দিলে জনতার রায়টা কি পরিস্কার হয়?
জনতার রায় পরিস্কার না হইলে আবারও বলা যায় এই নিয়ে আন্দোলন, ৭৫ এর পরের আওয়ামী নেতাদের সুবিধাবাদী অবস্থান এবং কৌশলে ধর্মীয় রাজনীতির পুনরুদ্ধারের গল্পের সাথে ক্ষমতার যোগাযোগ ছিলো- এইখানে জনতার অংশগ্রহন কি ছিলো?
জনতা অনুপস্থিত এইটার মানে এই না যে জনগণ সমর্থন করছে, মৌন সমর্থন দিয়া গেছে- মুখ বাইন্ধা ধর্ষণ কইরা যদি কন ধর্ষিতা কোনো ভাবেই অসম্মতি জানায় নাই তাইলে অবশ্য এইটা সত্য- কারণ আদতেই ধর্ষিতা কোনো অসম্মতি জানায় নাই আর তাই এই ধর্ষণ আসলে ধর্ষণ নয় বরং তাতে মেয়েটার মৌন সম্মতি ছিলো-
আপ্নের জন্য আরও একটু তথ্য যোগ করি- ঘাদানিকের আন্দোলনে সব সময় অংশগ্রহন করা এবং ঢাকার বিশাল সমাবেশে সার্বিক ঝুঁকি নিয়া সমাজের কাছে নিগৃহীত হইবো বুইঝাও যেই ৪ ধর্ষিতা মহিলা যারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতেছিলো তারা সেই সংসার এবং তাদের কন্যা এবং পুত্রদের সংসার ভাংবার সমস্ত ঝুঁকি নিয়াই সেই সময় নিজেদের উপরে করা অত্যাচারের বিবরণ দিয়াছে- দোষিদের শাস্তির দাবি জানাইছে- মহিলাগুলা ছিলো বগুড়ার বাসিন্দা- চাইলে অবশ্য সেই সময়ের পেপার খুইল্যা পড়তে পারেন- এইটা হইতাছে জনতার দাবি- জনতা যা চায় আর জনতা যা চাইছে সব সময়-
এখন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতা কিংবা মুক্তিযোদ্ধার বিরোধিতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধিতা- (আপ্নে উর্ধাঙ্গ অনাবৃত জোকার ) যদি এই আদর্শটাও বুঝতে চান তাইলে সেই প্রবাসী সরকারের শপথের আগে পঠিত বানিটা পইড়া লন- এবং এই দাবিগুলারে আত্তীকরণ কইরাই সংবিধানের উৎপত্তি আর এই সংবিধানের দাবি লইয়াই এখন বাক স্বাধীনতা- নাগরিক অধিকারের নানান কীর্তন চলতাছে-
আপনের সুশীল হোগা দিয়া নানাবিধ বাক্য রচিত হইতাছে- নানাবিধ যুক্তিবোধ- আর ঘটনা এবং দুর্ঘটনার পূর্বাভাষ আইতাছে এই ব্লগমুল্লুকে-
যাউক গা রাইসু যে প্রশ্নটা উঠাইছে আর আপ্নে যে প্রশ্নটা তুলছেন সেইটার বিপরীতে আমি কইতে পারি- ওয়ামীরে ব্যান করছে যেই ধারায় সেই ধারাটা আসলে প্রয়োগযোগ্য কি না এইটা আমি বুঝি নাই- মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলাটা আসলে তেমন অন্যায় বিবেচিত হইতে পারে কি? আপ্নে মহান মানুষ আপ্নে বিবেচনা কইরা কন- আমরা আবেগে চলি- আবেগে ছিনতাইকারী পুড়াইয়া মাইরা ফেলি- আমাগোর বিবেচনায় অনেক অবিচারই হওন সম্ভব-
তয় সামগ্রীক মূল্যবোধ আর মানসিক অভিঘাতের একটা ধারাও আছে এইখানে ঐটাও পইড়া নিয়েন- আপ্নেরা যেই বালটা ছিড়তে পারেন আর কি- ভিন্ন পাঠ দিয়া দেখতে পারেন-
আমার মতে এই সব ছুড়ি কাঁচি থাকবার কোনো দরকার নাই- কিন্তু রাইসু ভাবে এইটা থাকা দরকার- এইটা নিয়া আমি আর রাইসু ভিন্নবাসী তবে রাইসুর এই প্রশ্নরে আমার তেমন আবঝাব লাগে নাই- রাইসুর এই বিতর্ক উত্থাপন এবং বিতর্ক অনুসন্ধানের প্রচেষ্টারে সাধুবাদ জানাই-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।