আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টানে কিশে মজা

সামহয়ােরেলখহর্িচ্ছা টানে কিশে মজা ? প্রশ্ন আকারে শব্দ কটি হঠাৎ উচ্চারণ করলে কেউ কেউ থমকে যাবেন। ধূমপায়ীদের কেউ হয়তো বলবেন , সময়ে সময়ে সিগারেটে টান দিতে পারলে খুব মজা । আর গাঞ্জাসেবী গাজার কল্কিতে একটি টান দিতে পারলেই বেশ মজা বলে দাবী করবে । বৃহত্তর ময়মনসিংহের অনেক মানুষ যারা শব্দ ক'টির মজা জানে তারা উপরের প্রশ্নে (?) তামাকে যায় না, বরং টানে নয়-এ প্রশ্নেই মজা পায়। এক সময় অবশ্য কথাটা একটু অন্যভাবে বলা হতো- টানে কি মজা ! মানে টাঙ্গাইল , নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুর ( টা-নে-কি-ম- জা) ।

অর্থাৎ তদানীন্তন ময়মনসিংহ জেলার ৫ মহকুমা । এখন অবশ্য বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে মানুষ এবং বাইরের যারা বিষয়টি জানে তাদের কাছে এ অঞ্চলের বর্তমান জেলাগুলোর নাম সংক্রান্ত মজার অনুষঙ্গের পরিবর্তিত রূপ হচ্ছে ঃ টানে কিশে মজা ? কারণ জেলার এককালে মহকুমাগুেলা পরপর পৃথক পৃথক জেলায় উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি তদানীন্তন জামালপুর মহকুমার শেরপুর নামের থানাটিও পৃথক জেলায় উন্নীত হয়েছে। মহকুমাগুলো বা বর্তমানের জেলাগুলোর নাম মনে রাখার সহজ ও মজার উপায়ও এটি। ময়মনসিংহ জেলাটি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ও ভারতের জেলাগুলোর মধ্যে ছিল সবচেয়ে বড়। ১৭৮৬ সালের ২৫ এপ্রিল এই ময়মনসিংহ জেলা গঠিত ও ঘোষিত হয় এবং তখন এটির আয়তন ছিল ১৬ হাজার ৬৭২ বর্গকিলোমিটার।

বৃহত্তম জেলা হিসাবে এটির অবস্থান প্রথম খর্ব হয় ১৯৬৯ সালে ১ ডিসেম্বর । ঐদিন এ জেলার পাঁচটি মহকুমার অন্যতম বৃহৎ মহকুমা তিন হাজার ৪১৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের টাঙ্গাইল ১৯তম জেলা হিসাবে উন্নীত হয়। দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ সালে ৪ জানুয়ারী ময়মনসিংহের আরেকটি মহকুমা জামালপুরকে ( আয়তন ২,০৩২ বর্গ কিলোমিটার) দেশের ২০তম জেলায় উন্নীত করে জিয়াউর রহমান সরকার । জামালপুর স্বাধীন বাংলাদেশে সৃষ্ট প্রথম জেলা । সে সময় জামালপুরের শেরপুর থানাকে উন্নীত করা হয় মহকুমায় ।

পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে অক্টোবর মাসে এরশাদ সরকার প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাসের মাধ্যমে দেশের ২০ জেলার অন্তর্ভুক্ত বাকী মহকুমাগুলোকেও পৃথক পৃথক জেলায় উন্নীত করে এবং দেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪ তে। এ সময় ময়মনসিংহের অন্য দুই মহকুমা নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এবং জামালপুরের অপর মহকুমা শেরপুর জেলা হিসাবে ঘোষিত হয় । এভাবে মোট ছয়টি জেলা সৃষ্টি হয় বৃহত্তর জেলা ময়মনসিংহ হতে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।