আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাংলাদেশ ইতিবাচক

ধর্র্মীয় স্বাধীনতা, শ্রদ্ধা, অন্তর্ভুক্তি ও সহনশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০১১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ প্রশংসা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য গঠিত কল্যাণ ট্রাস্টে সরকার তহবিল বাড়িয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়।

জাতীয় সংসদে সম্প্রতি খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০১১ পাস করে সেখানে তহবিলের পরিমাণ এক কোটি থেকে চার কোটি টাকা করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে তহবিলের পরিমাণ তিন কোটি থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করতে সরকার প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বলা হয়। এছাড়া ফতোয়া নিষিদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রুল, নারী অধিকার রক্ষায় উত্তরাধিকার আইনে আরো সমতা আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। গত বছর বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের ‘কোনো খবর’ পাওয়া যায়নি এবং কোথাও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে বলেও এতে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ রোধসহ ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আরো অগ্রগতি আনা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশের ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান এবং রাষ্ট্রীয় নীতি ধর্র্মীয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করে যা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের একটি প্রধান উপাদান। “দেশের আদর্শসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি প্রয়োজন। ” বাংলাদেশ সরকার ১৯৪৮ সালের ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অন হিউম্যান রাইটস’ (মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা) এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইট্স’ (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি) এ স্বাক্ষরকারী। এ দুটি সনদের প্রতি বাংলাদেশের দায়বদ্ধতার সঙ্গে সরকারের এসব পদক্ষেপ সঙ্গতিপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.