দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মতদ্বন্দ্বে তৃতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগের দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে এই আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে সিনেট কমিটির চেয়ারম্যানের ভাষ্য তুলে ধরে এক সাংবাদিক এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মূল্যায়ন জানতে চান।
উত্তরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেন, জনগণ মতের প্রতিফলন ঘটাতে পারবে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনমূলক সংলাপে বসাটা খুবই জরুরি।
“সহিংসতার যে খবর আমরা পাচ্ছি, তা কোনো বিচারেই সমর্থনেযোগ্য নয়। এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নয়।
এটা গ্রহণযোগ্য নয়, এটা এখনি থামানো প্রয়োজন। ”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘সর্বদলীয়’ সরকার গড়ে নির্বাচনের পথে এগোলেও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
গত দুই সপ্তাহে ১০ দিন অবরোধে সংঘাত-সহিংসতায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর শনিবার থেকে পুনরায় ৭২ ঘণ্টার জন্য একই কর্মসূচি শুরু করেছে ১৮ দল।
অবরোধে প্রাণহানির জন্য সরকার বিরোধী দলকে দায়ী করলেও বিএনপির বক্তব্য, দাবি উপেক্ষা করে সরকারই তাদের এই পথে ঠেলে দিয়েছে।
মেরি হর্ফ বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সব দলেরই মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে, তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। দুই পক্ষকে সংলাপে বসাতে ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো।
তার এই সফর সঙ্কট অবসানে বাংলাদেশের রাজনৈতিকদের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ বলে মনে করছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।