যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ স্থানে মুসলমানেরা আজ মঙ্গলবার ঈদের জামাত আদায় করেছেন। স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা না দেখা নিয়ে এক পক্ষ অবশ্য বুধবারে ঈদ করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও আছেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জামাইকা মুসলিম সেন্টারে।
এখানে পর পর তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ব্রুকলিন, ব্রংকস, অ্যাস্টোরিয়া, ওজন পার্কসহ অন্যান্য বাংলাদেশি বহুল এলাকায় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ঈদের জামাতে যোগ দেন লোকজন। নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়াসহ অন্যান্য নগরেও প্রবাসীরা একাধিক ঈদের জামাতে যোগ দেন। অন্যন্য মুসলিম অধিবাসীদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নারীরাও ঈদের জামাতে যোগ দেন। কর্ম দিবসে ঈদের দিন পড়ায়, অনেকেই নামাজ পড়ে ছুটতে হয়েছে কাজে কর্মে।
স্কুল কলেজ খোলা থাকায় উত্সব আনন্দে একটু ভাটা দেখা দিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী অবশ্য ঐচ্ছিক ছুটি গ্রহণ করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন।
নিউইয়র্কেও আবহাওয়ায় এখন শীতের ভাব। তারপরও প্রবাসী পরিবারগুলো মেতে উঠেছে দেশ ছাড়া প্রবাসের ঈদ আনন্দে। একে অন্যের বাড়িতে যাচ্ছেন।
দেশিয় পিঠা-পুলির আয়োজনেও কোনো কমতি নেই। সুযোগ পেলেই প্রবাসীরা দেশের ঈদ আনন্দ নিয়ে আফসোস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন অনেকেই খামারে গিয়ে নিজ হাতে পশু জবাই করে কোরবানি দিয়ে থাকেন। পেনসেলভেনিয়া, নিউজার্সি, নিউইয়র্কের পশু খামারে কোরবানির আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন অনেকেই। ঈদের জামাত শেষে তাদের ছুটতে হয়েছে খামারের দিকে।
বাংলাদেশি গ্রোসারি দোকানগুলো এক মাস আগে থেকেই কোরবানির বুকিং নিয়েছে। নিউইয়র্কের বনফুল গ্রোসারির সোহেল আহমেদ জানালেন, বিকেল চারটার মধ্যেই কোরবানীর অংশ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।