আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদকদ্রব্য

( বৃদ্ধ রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে - ডাক্তার: এখনো আপনার শারীরিক অবস্থা যা তাতে আরো ১০ বছর বাঁচবেন। তবে আপনাকে মদটা ছাড়তে হবে। রোগী: তাহলে আর বেঁচে থেকে লাভ কী?) ওয়াইন, তাড়ি, বিয়ার, ভদকা, সিসা, মহুয়া (মদ), হাঁড়িয়া, গাজা,ইয়াবা, ফেনসিডিল । যীশু জলকে মদে পরিণত করেছিলেন৷ এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, কোনো অনুষ্ঠানে প্রভূ যীশু মদ খেতেন । মদ আসলে পাপের কারন নয়৷ডাক্তাররা অল্প পরিমানে মদ খাওয়ার কথা বলেন শরীরের উপকারের জন্য, বিশেষভাবে হৃদয়ের জন্য৷ মদ হারাম কোরানে সে কথা নেই ।

মদ ,জুয়া ,মূর্তি পূজার বেদী এসব শয়তানের কাজ, এদের বর্জন কর (নিষিদ্ধ নয়)। আল্লাহ্ আমাদের যা বর্জন করতে বলেছেন তাই কি হারাম ? এক হাদীসে পাই- যে ব্যক্তি হালাল মনে করে মদ্যপান করে বা যেনা ব্যভিচার কিংবা যে কোন পাপ সম্পাদন করে তবে সে কাফির বলে গণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশের মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। যার অধিকাংশই শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। ধর্মগ্রন্থে বিয়ার, মদ, অথবা অন্য কোনো পানীয় যাতে অ্যালকোহল আছে, তা খাওয়ার বিষয়ে খ্রীষ্টানদের নিষেধ করা নেই৷ আসলে, কিছু ধর্মগ্রন্থ মদ খাওয়াকে ভালো দিক থেকে বর্ণনা করা হয়েছে৷ তবে, বাইবেল মাতাল হওয়া এবং এর প্রভাব থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয় ।

শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে?(আল-কুরআন, সূরা আল বাক্বারাহ, সুরা নং ২,আয়াত নং ২১৯,) বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে। পরবর্তীতে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসতে শুরু করে। এই ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হবার কারণে উচ্চবিত্তদের মাঝেই এটি মূলত: বিস্তার লাভ করে। মদ খেয়ে বা মদের নেশায় অস্বাভাবিক আচার-আচরণ যাকে সোজা কথায় ‘মাতলামি’ বলা হয়, কেউই সহ্য করতে চান না।

যারা অ্যালকোহল খায় তাদের প্রায় ২০% এর অপকারিতার শিকার হয়, তারা নিজেদের সংযত করতে পারে না, অ্যালকোহলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বিপদ ডেকে আনে। সুতরাং মদ বা অ্যালকোহল যে খায় তাকে ‘দুষ্ট স্বভাবের মানুষ’ না মনে করে ‘অসুস্থ’ ভাবলে সহানুভূতির সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। রাজধানীর বানিজ্যিক এলাকা মতিঝিল সংলগ্ন গোপীবাগ রেললাইনের পাশে সরকারি জমির উপরে গড়ে উঠেছে টিটিপাড়া বস্তি। এই বস্তিতে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ হাজার হাজার টাকার মাদকদ্রব্য। রিকশা চালক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক এখানে এসে মাদক সেবন করে।

এই মাদক ব্যবসা অনেক বছর আগ থেকেই দিনের পর দিন প্রকাশ্যে চলে আসছে। মিরপুরের যেসব এলাকাকে মাদক ব্যবসার স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দারুস সালাম ও শাহআলী থানা এলাকা, শাহআলী শপিং কমপ্লেক্সের পাশে ইদ্রিসের ফেন্সিডিলের স্পট, লালকুঠি এলাকায় পুলিশের কথিত সোর্স রাজা, বাদশা, নেংড়া কবিরের ফেন্সিডিলের স্পট, গাবতলী বাঁধের ওপর আমেনা বেগমের ফেন্সিডিলের স্পট, তৃতীয় কলোনী বায়তুল ফালাহ মসজিদের পাশের গলিতে রয়েছে মাকসুদের হেরোইনের স্পট, শাহআলী স্কুল রোডে বাবুর গাঁজার স্পট, কবরস্থান বস্তিতে রয়েছে ঝুনুর ফেন্সিডিলের স্পট। আরামবাগ বস্তিতে গণির মার দেশি-বিদেশি মদের স্পট, চলন্তিকা ক্লাবের পিছনের বস্তিতে তপনের গাঁজার স্পট। অনেকে সিগারেট খেলে কি আর এমন হবে বলে ধূমপানের নেতিবাচক দিকটি এড়িয়ে যেতে চান। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেটের নিকোটিনও একটি মাদকদ্রব্য, যা হেরোইন ও কোকেনের মতো নেশাজাতীয় বস্তু।

এসব বস্তু যেমন তরুণ-তরুণীদের নেশাগ্রস্ত করে তুলতে পারে তেমনি সিগারেটের নিকোটিন ও তাদের নেশাগ্রস্থ করে তুলতে পারে। ঢাকায় দেড় শতাধিক সিসা লাউঞ্জ রয়েছে। এসব লাউঞ্জে সব সময়ই ভিড় লেগে থাকে তরুণ-তরুণীদের। গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানম-ি, মোহাম্মদপুর, বেইলি রোড, উত্তরার অধিকাংশ রেস্টুরেন্টেই সিসা লাউঞ্জ রয়েছে। প্রতি সেশনের জন্য নেয়া হয় চার থেকে পাঁচশ’ টাকা।

এছাড়া সিসা লাউঞ্জের আড়ালে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। স্টিলের তৈরি কারুকার্যময় কলকের মধ্যে সিসার উপাদান রাখা হয়। কলকের নিচের অংশে থাকে বিশেষ তরল পদার্থ। এটি দেখতে অনেকটা দেশীয় হুক্কার মতো। তবে এটি অনেক বড় আকারের এবং একাধিক ছিদ্রযুক্ত।

বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নেশা দ্রব্য পাওয়া যায় না । আপনি যদি সুন্দরবনে জান সেখানেও সব ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য পাবেন । জেলখানাতেও সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় । প্রতিটা বাস এবং রেল স্টেশনে অবাধে মাদক বিক্রি হয় । ঢাকার প্রতিটা পার্কে এবং বস্তিতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক বিক্রি হয় ।

মাদক বিক্রির ক্ষেতে মহিলারা এগিয়ে আছেন। শাহ বাগ ছবির হাটে সারা দিন নানান রকম মাদক বিক্রি হয় তারা মাদক সেবন করে সেখানেই নেশায় চূর হয়ে থাকে । মনে রাখা দরকার- মাদক কখনোই জীবন ধারনের জন্য দরকারী জিনিষ নয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.