বিজ্ঞানী শিমুল আটচল্লিশখানা চেলির বারি যখন গেদু চোরের পিঠে পড়ল, তখন সে একটু নেতিয়ে পড়ল। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য সে কোনভাবেই চুরির অপবাদ নিতে রাজি নয়। এমন পিটুনি যদি আমার পিঠে এক ঘা পড়ত তাহলে আমি হর হর করে সব বলে দিতাম।
শেষপর্যন্ত আরও বায়ান্নখানা চেলির বারি গেদুর পিঠে পড়লো। রসুখা গেদুর কাণ্ড দেখে একেবারেতো পিলে চমকে গেছে।
একি করে হয়! এতোগুলো পিটুনি খেয়েছে তারপরেও স্বীকার না করা বড়ই তাজ্জিব ব্যাপার।
কি আর করা রসুখা গেদুকে ছেড়ে দিতে বলল। তার লোকজন গেদুর বাঁধন খুলে রেখে চলে গেলো।
সবাই চলে যাওয়ার পর আমি গেদুর কানের কাছে মুখ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কিহে গেদু সত্যি কথাটা বলে দিলেই পারতে। ”
জবাবে গেদু কি বলেছিল জানেন?
>
>
>রসুখা বলেছিল, “আমি চোর, তাই বলেকি আমার কোন আত্মসম্মান নেই? তাছাড়া আমিতো চুরি করেছিলাম ওই বোটকা চেলিয়ালের আদেশে।
আমি যদি সত্যি কথা বলে দিতাম তাহলে বোটকা চেলিয়াল আমারে আরও পাঁচশ বারি বলন দিত। যখন সে বারি দিচ্ছিল তখন সে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে চেয়ে বার বার বলছিল যদি সত্যি কথা বলি তবে আরও পাঁচশ ঘা বারি বেশি পড়বে।
বুঝলাম ব্যাপারখানা। অর্থাৎ যে এতখন পেটাচ্ছিল সে ই হল এই চুরির আদেশ দাতা। এই হল যে কোন ধরনের রিমান্ডের প্রকৃতি।
এমন পিটুনি দেয় যে, যাহা সত্য তাহাই মিথ্যা, যাহা মিথ্যা তাহা মহামিথ্যা। সত্য বলিয়া কোনরূপ শব্দ আর থাকেনা। এরকম পিটুনি খাইলে সুস্থ মানুষও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
আরও কয়েকমাস পর আবারো গেদু চোরকে নতুন এক চুরির দায়ে মজলিশে বিচারের জন্য হাজির করা হল। এইবার তাকে পাঁচশ জুতার বারি উপঢৌকন দেয়া হল।
এইবার গেদু চোরা মহা খুশি।
আমি কানের কাছে মুখ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কিহে গেদু আজ এত খুশি কেন?”
গেদুর জবাব, “পাঁচশ চেলির বারি আমার কিছু করতে পারলনা, আর এই সামান্য কয়টা জুতার বারিতে আমার কিছু হবেনা। আমার বরঞ্চ আরামই লাগবে। ”
মোরালঃ এরকম অনেক বাস্তব চরিত্র আছে আমাদের মাঝে। এদের কেউ বেহায়া, কেউ দোষী, কেউ নির্দোষ।
কিন্তু, সবাই অপরাধী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।