বা
গেদু মিয়া খাইছে ধরা ... এবার কিও করবার পারবি না।
গেদু মিয়া প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানি।
মহাজনদের ব্যক্তিগত জীবন একটু উল্টাপাল্টা হয়। গেদু মিয়া সাধু নয়। তবে ভন্ড নয়।
সে বৈজ্ঞানিক ভাবে যা কিছু প্রমাণিত তাতে কখনো বিশ্বাস স্থাপন করতে দ্বিধা বোধ করে না। এই যে মহাবিশ্ব তা সে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে এখানে অবাধ বিস্তারের মেলা। একটি ফুল পরিপূর্ণ রূপ নিতে কতগুলো রেণূর প্রয়োজন হয়? একটি কীটের পায়ে লেগে থাকে অসংখ্য রেণু , তার থেকে মাত্র একটি রেণুই পরাগায়নে অংশগ্রহণ করার সফলতা দেখাতে পারে।
তো আমাদের আলোচনা এই সব বৈজ্ঞানিক তথ্যকথা নয়। গেদু মিয়া এই সব অবাধ বিস্তারের একটি নমুনা দেখতে পেয়েছেন তার ব্যক্তিগত জীবনে।
একটি প্রাণী হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছে সে আর একথা সে খুব ভালভাবেই জানে যে তার ভিতরে এক প্রবণতা রয়ে গেছে যে সে তার একটি অনুরুপ রেখে যেতে চায় বংশ বিস্তারের মাধ্যমে। আর মানুষের যে প্রক্রিয়া এ ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল তা হচ্ছে যৌনতা। আর সারা পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় এক উচ্চারণ প্রেম তা যে এই যৌন প্রক্রিয়ারই একটি প্রগ -প্রতিক্রিয়া তা গেদু মিয়া ভালভাবেই জানে। তাই সে প্রেম ট্রেমের ধার না ধরে যৌনতাকে জীবনের অন্যতম প্রধান ক্রিয়া হিসাবে দেখে নিয়েছে। একজন বিজ্ঞানী অবৈজ্ঞানিক আবেগ যার নাম দেয়া হয়েছে প্রেম তার সন্ধান কোন দিন করতে পারে না।
এখানেই গেদু মিয়া অনন্য।
এক্ষেত্রে তার পরিবারে পক্ষ থেকে যখন বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় তখন সে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। সে যে কেবল সন্তান জন্ম দানের জন্য বিয়ে করেছে আর যৌনতা ছাড়া আর কোন ব্যাপারই তার কাছে কোন গুরত্বই বহন করে না, এ কথা জানার পর বোকা মেয়ে মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু বাঘ যেমন একবার মানুষের মাংসের স্বাদ পেয়ে মানুষখেকু হয়ে উঠে তেমনি গেদু মিয়া বিবাহের স্বাদ গ্রহণ করার পর যখন বউহারা হয়ে উঠে তখন তাকে একটু উল্টাপাল্টা পথ ধরেই চলতে হয়।
তারই ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসাবে যেখানেই অবৈধ যৌনাচারের অখড়া তৈরি হয়েছে সেখানেই তাকে দেখা যেতে থাকে। তো একবার হলো কি, এক অনন্য সুন্দরী যৌনকর্মীর বিচিত্র কর্মকান্ড খ্বুই সারা ফেলে দিল। তার কথা হচ্ছে যে যত উপভোগ করবে তার বিল তত বেড়ে উঠবে। সে ঘোষনা করলো প্রতি ইনের জন্য তাকে পাঁচ টাকা পে করতে হবে আর অনুরূপ প্রতি আউটের জন্য পাঁচ টাকা পে করতে হবে। তাই ব্যাপারটা এমন দাড়ালো যে ইন-আউট দশ টাকা।
তো সারা পরে গেল চারিদিকে। সকলে লাইনে দাড়িয়ে আছে। এক একজন অন্দরমহলে প্রবেশ করে আর ইন-আউট ১০ টাকা হিসাব করে পে করে চলে যায়। এক্ষেত্রে একটি সুবিধা হলো যে কেউ আর বেশি সময় থাকতে পারে না। আর যৌনকর্মী সারা রাত ধরে তার উপার্জণের পথ খোলা থাকে।
গেদু মিয়া লাইনে দাড়িয়ে আছে। তার সামনে মাত্র দুইজন আর ভিতরে একজন। গেদু মিয়া হিসাব করলো মাত্র কয়েক মিনিট পরই তার অন্দরমহলে ঢুকার সুযোগ হবে। কিন্তু বিধি বাম। যে লোকটি ভিতরে গেল তাকে অনেক দুর্বল মনে হচ্ছিল আর সে যে খুবই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে এতে সকলে সন্দেহতুক্ত ছিল।
কিন্তু সে ঢুকলো তো ঢুকলো আর বেড়িয়ে আসার কোন লক্ষ্যন খুজে পাওয়া গেল না। সকলেই অস্থির হয়ে উকি মারতে থাকলো এবং দেখা গেল লোকটি ইন পজিসনে স্থির হযে আছে। চিত্কার চেচামেচি শুরু হয়ে গেল, সকলেই বলতে লাগল , বেড়িয়ে আয়। প্রথম দিকে কোন জবাব না দিলেও শেষ পর্যন্ত বলল ভাই সাহেবেরা আমার কথা শুনেন .... প্রতি ইনেতো ৫টাকা আর আউটে ৫টাকা তো আমি যে টাকা নিয়া আইছি তা ইনে এসে শেষ হয়ে গেছে এখন যদি আমি আউট হই তবে যে পাচ টাকা দিতে হবে তা আমার কাছে নেই। তাই আমি বের হয়ে আসতে পারছি না।
তুমুল হৈ চৈ পড়ে গেল। সকলেই বলতে লাগল মাপ করে দেয়া হোক। কিন্তু যৌনকর্মী তার হিসাবে অটুট .. সে বলতে লাগল ... ইন করবার সময় মনে ছিল না!!!!!
শেষ পর্যন্ত থানা-পুলিশে পৌছে গেল ব্যাপারটা।
পুলিশ এসে যৌনকর্মী সহ সকল কাষ্টমার ধরে নিয়ে গেল থানায়। গেদু মিয়া সন্মানি লোক সে বার বার চেষ্টা করছে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায়।
কিন্তু থানার বড় কর্তা অনড়। কিছুতেই ছাড়বে না। এরই মাঝে পত্রিকার লোকজন এসে ছবি উঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলো। গেদু মিয়ার মতো স্বনামধন্য লোকের ছবি যদি এভাবে ছাপানো যায় তবে রু রু টা টা । এক নিমিষেই প্রত্রিকা শেষ।
গেদু মিয়া একবার ডানে যায় একবার বামে। একবার সামনে একবার পিছনে। সে বারবার থানার বড়বাবুকে ইশারায় বলতে থাকে সে ডাইনে যেতে চায়...
বড়বাবু কন... নো ... ডাইনে
গেদু ..... বামে যাই
বড়বাবু.... নো বামে
গেদু ..... সামনে
নো.......
পিছনে????
..... নো
গেদু শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে বলে উঠে .... তবে আমি কি করব???
বড়বাবু কন.... তুই কি ও করতে পারবি না।
গেদু দাড়িয়ে থাকে যেমন ছিল তেমন।
পরদিন সকালে প্রত্রিকা দেখতে পায় কতগুলো যৌনকর্মীর মাঝখানে দাড়িয়ে গেদু মিয় দাড়িয়ে আছে আর হেডিং ছাপা হয়েছে.....
গেদু মিয়া খাইছে ধরা ... এবার কিও করবার পারবি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।