[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রষ্টীয় বৃটিশ সম্রাজ্যবাদ।
জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। "Confession of British Spy and British enmity against Islam" গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ।
তৃতীয় পর্ব
আমার বন্ধুরা, আমার আগেই লন্ডনে ফিরে এসে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন নির্দেশ লাভ করে। আমিও ফিরে আসার পর নতুন নির্দেশ পাই। তবে দুঃখজনকভাবে আমরা মাত্র ছয়জন ফিরে আসি। সচিব বললেন, বাকী চারজনের একজন মুসলমান হয়ে মিশরেই রয়ে গেছে।
তথাপি সচিব সন্তুষ্ট ছিল কারণ সে মিশরে রয়ে গেলেও বিশ্বাসঘাতকতা করে কোন গোপন তথ্য ফাঁস করেনি।
দ্বিতীয়জন রাশিয়া চলে যায় এবং সেখানে থেকে যায়। জন্মগতভাবে সে ছিল রাশিয়ান। সচিব তার জন্য খুব দুঃখ পেল। সে রাশিয়া গিয়ে আর ফিরে আসেনি বলে দুঃখ পায়নি।
দুঃখ পেয়েছিল এ কারণে যে, সে রাশিয়ার হয়ে উপনিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির চালিয়েছে এবং মিশন শেষে সে দেশে ফিরে গেছে।
তৃতীয়জন, সচিব যা বললেন, বাগদাদের পাশ্ববর্তী শহর ‘ইমরায়’ প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। চতুর্থজন ইয়েমেনের সানায় অবস্থানকালীন সময় পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং বছরখানেক সময় ধরে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠায়; পরবর্তীতে তার রিপোর্ট পাঠানো বন্ধ হয়ে যায় এবং হাজার চেষ্টা করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। চারজনের এভাবে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ছিল মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় বিপর্যয়। কেননা, লোক সংখ্যায় আমরা কম হলেও দায়িত্ব পালনের দিক থেকে আমরা ছিলাম একটা জাতি।
সে জন্যে প্রত্যেকের উপর আমাদের খুব হিসেব নিকেশ করে কাজ করতে হয়। রিপোর্টের কিছু অংশ বিশ্লেষণ করার পর, আমাদের চারজনের রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য সচিব এক সভা আহবান করেন। আমার বন্ধুরা যখন তাদের রিপোর্ট দিল, তখন আমিও আমার রিপোর্ট পেশ করলাম। আমার রিপোর্ট থেকে তারা কিছু কিছু নোট নিল।
মন্ত্রী, সচিব ও অন্যান্য যারা সভায় যোগ দিয়েছিল সবাই আমার কাজের প্রশংসা করলো, কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে আমি হলাম তৃতীয়।
আমার বন্ধুদের মধ্যে জর্জ বেলকাউড হয়েছিল প্র্রথম এবং হেনরি ফেনস হয়েছিল দ্বিতীয়। সন্দেহ নেই যে, তুর্কী ও আরবী ভাষা, কুরআন ও শরীয়ত শিখে আমি বড় সফলতা অর্জন করি কিন্তু অটোম্যান সম্রাজ্যের দূর্বল দিকগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়কে কোন রিপোর্ট দিতে পারিনি।
দু’ঘণ্টা ধরে সম্মেলন চলার পর সচিব আমার ব্যার্থতার কারণ জানতে চাইলে, আমি বললাম, “আমার প্রধান কাজ ছিল ভাষা, কুরআন এবং শরীয়ত শিক্ষা করা। আমি অতিরিক্ত কিছুর জন্য কোন সময় ব্যায় করতে পারিনি। কিন্তু আপনি যদি আমার উপর আস্থা রাখেন তবে এবার আপনাকে খুশী করতে পারবো।
”
সচিব বললেন যে, আমিও সফলতা অর্জন করেছি তবে তিনি আশা করেছিলেন আমি প্রথম হব। তিনি বলতে লাগলেন, শোন হেমপার, পরবর্তী মিশনে তোমাকে দু’টো কাজ করতে হবে।
(১) মুসলিমদের দূর্বল জায়গাগুলো খুজে বের করতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা তাদের দেহে প্রবেশ করে তাদের শরীরের জোড়াগুলো আলাদা করে ফেলবো। নিশ্চয়ই, শত্রুকে আঘাত করার এটাই পথ।
(২) যেই মুহূর্তে এসব দূর্বল অবস্থানগুলো সনাক্ত করতে পারবে এবং যেভাবে বললাম সেভাবে কাজ করতে পারবে (অন্যভাবে বলতে গেলে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করে তাদের পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারবে), তখন তুমি হবে সবচেয়ে সফল এজেন্ট এবং মন্ত্রণালয় থেকে মেডেল অর্জন করবে। আমি ছয়মাস লন্ডনে অবস্থান করেছিলাম এবং সে সময়ে আমার চাচাতো বোন ‘মারিয়া ইসভয়’কে বিয়ে করি। তখন আমার রয়স ছিল ২২ এবং মারিয়ার ২৩ বছর। মারিয়া ইসভয় ছিল অত্যন্ত সুন্দরী। তবে তার বুদ্ধ বিবেচনা গড়পড়তা এবং সাধারণ সংস্কৃতিমনা মহিলা।
তার সঙ্গে যতটুকু সময় কাটিয়েছি তা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুখময় এবং মধুর সময়। আমার স্ত্রী যখন গর্ভবতী এবং আমরা একজন নতুন অতিথির অপেক্ষায় তখনই বার্তা পেলাম যে আমাকে ইরাকের উদ্দেশ্য যাত্রা করতে হবে। আমাদের সন্তান আসার সময়ে এ রকম বার্তা পেয়ে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তবে ছেলের বাবা কিংবা কারো স্বামী হবার যে আবেগ আমার ছিল তার চেয়েও আমার কাছে আমার নিজের দেশ এবং বিশেষত আমার সহকর্মীদের মধ্যে প্রথম হবার গৌরবের বিষয়টি আমার কাছে বেশী গুরুত্ব পায়। ফলে বিনা দ্বিধায় আমি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করি।
আমার স্ত্রী চেয়েছিল সন্তান ভুমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত যেন আমি মিশন স্থগিত রাখি।
তথাপি আমি তার কথাকে উপেক্ষা করি। আমরা যখন একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলাম, দু’জনেই ফুপিয়ে কাঁদছিলাম। আমার স্ত্রী বললো, আমাকে চিঠি লেখা বন্ধ করোনা। আমি তোমাকে আমাদের নতুন সংসার সম্পর্কে লিখবো যা সোনার মত দামী।
তার সে সকল কথা আমার হৃদয়ে ঝড় তুলে। আমি প্রায় বাতিল করে দিতে চাচ্ছিলাম আমার সফর। তবু আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি এবং বিদায় জানিয়ে চুড়ান্ত নির্দেশ নিতে মন্ত্রনালয়ের দিকে যাত্রা করি। ছয় মাস পরে আমি ইরাকের বসরা নগরীতে পৌছি। এই নগরীর অধিবাসীদের আংশিক সুন্নী এবং আংশিক শিয়া।
বসরায় ছিল আরবী, পারসী এবং স্বল্প সংখ্যক খ্রীষ্টান গোত্রের বসবাস। জীবনে আমি তখন পারসিয়ান লোকের দেখা পাই।
যাই হোক প্রথম এবারে শিয়া ও সুন্নী মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। শিয়াদের মতে তারা আলী বিন আবু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর অনুসারী। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আপন চাচাতো ভাই।
শিয়ারা বলে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে খলীফা নিযুক্ত করেন এবং আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর পরে খলীফা হবার জন্যে তাঁর বংশের আরো বারোজনকে ইমাম নিয়োগ করেন। যতটুকু আমি বুঝতে পেরেছি, খলীফা হবার ব্যাপারে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উপযুক্ত গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
ইসলামের ইতিহাস পড়ে যতটুকু বুঝতে পেরেছি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন বৈশিষ্টমন্ডিত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এবং প্রগার জ্ঞানের অধিকারী। আবার হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে খলীফা নিযুক্তের বিষয়টিও ছিল সঠিক।
তবে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ছেলে এবং আটজন দৌহিত্রকে খলীফা নিযুক্ত করার বিষয়টি আমার নিকট সন্দেহজনক প্রতীয়মান হয়েছে।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাতের সময় হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন বালক এবং তিনি কি করে জানতেন যে, তাঁর আটজন দৌত্রের আগমন হবে? যদি হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্যি সত্যি নবী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ্ পাক-এর ওহীর মাধ্যমে ভবিষ্যত জানতে পারেন।
যেমনটি ঈসা আলাইহিস সালাম ভবিষ্যতের ব্যাপারে জানতেন। তথাপি খ্রীষ্টানদের কাছে হযরত মুহম্মদ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নবী হবার বিষয়টি সন্দেহের উর্দ্ধে নয়। মুসলমানদের দাবী, হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আল্লাহ পাক-এর নবী এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তম্মধ্যে, কুরআন শরীফ অন্যতম।
আমি নিজে কুরআন শরীফ পড়েছি। নিশ্চয়ই, কুরআন শরীফ অত্যন্ত উঁচুস্তরের কিতাব।
এমনকি ইহা তাওরাত শরীফ এবং বাইবেলের চেয়েও উন্নত। এতে রয়েছে নীতি, বিধান ও নৈতিক নিয়ম-কানুন ইত্যাদি। আমার কাছে এটা একটি বিস্ময়ের ব্যাপার, কেমন করে হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত উন্নতমানের কিতাব আনয়ন করলেন; কেমন করেই বা তিনি এতসব বুদ্ধি বৃত্তি এবং ব্যাক্তিত্ত্ব সম্পন্ন হতে পারলেন যা একজন অতি জ্ঞানী এবং ব্যাপক দেশ বিদেশ ভ্রমণে অভিজ্ঞ ব্যক্তির পক্ষেও কোনদিন সম্ভব নয়।
আশ্চার্য্যরে কিছু নেই যে, হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নবুওয়াতের প্রমাণের জন্য এগুলোই যথেষ্ট।
হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নুবুওওয়াতের সত্যতা খুঁজে বের করতে আমি প্রচুর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণাকর্ম চালিয়েছি। একবার লন্ডনে এক পাদ্রীর নিকট আমার এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করি কিন্তু তার উত্তর ছিল একগুয়েমি, গোড়া আর বিশ্বাসের অযোগ্য। যখন তুরস্কে ছিলাম, আহমেদ আফেন্দীকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, তখনও আমি কোন সন্তোষজনক উত্তর পাইনি।
সত্যি বলতে কি, আহমেদ আফেন্দীকে আমি সরাসরি এ বিষয় সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করা থেকে বিরত থেকেছি পাছে তিনি আমার গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি আঁচ করে ফেলেন।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আমি বহু ভেবেছি, নিঃসন্দেহে তিনি আল্লাহ পাক-এর রসূলগণের একজন এবং এ প্রসঙ্গে বই পুস্তক পড়ে দেখেছি। কিন্তু কি করা, আমি একজন খ্রীষ্টান, তাই তাঁর নুবুওওয়াতের ওপর এখনো ঈমান আনিনি।
সন্দেহহাতীভাবে, তিনি সকল মনীষীদের চেয়ে অনেক উর্দ্ধে। অন্যদিকে সুন্নীদের আক্বীদা হচ্ছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাতের পর, পর্যায়ক্রমে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হচ্ছেন খলিফাতুল মুসলিমিন।
সব ধর্মেই এ জাতীয় মতবিরোধ আছে, বেশী আছে খ্রীষ্টধর্মে।
যেহেতু হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কেউ দুনিয়াতে নেই, কাজেই এমন মতবিরোধ নিয়ে, এখন আর কোন ফায়দা নেই। আমার মতে, অতীতকে বাদ দিয়ে বর্তমান নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করাটাই মুসলমানদের যুক্তিসঙ্গত কাজ। শিয়াদের মতে, খিলাফত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সুন্নী মতে, তার প্রয়োজন তেমন একটা নেই, ইংরেজ যুব সমাজ ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে পার্থিব বিষয়কে শিখাতে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে মুসলমানগণ বিজ্ঞান প্রযুক্তি, গণিত, স্থাপত্যকলা, ও চিকিৎশাস্ত্রে উন্নতি লাভ করেছে।
বিখ্যাত ইটালীয় জ্যোতিবিজ্ঞানী গ্যালিলিও যখন বললেন, পৃথিবী ঘুরছে, নিঃসন্দেহে এই তথ্য তিনি মুসলমানদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মযাজরা তাকে বিশ্বাসচ্যুত করল এবং শুধু তাই নয় কারাগারেও নিক্ষেপ করলো। তিনি যখন তার মত পাল্টালেন এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে বললেন “পৃথিবী ঘুরছে না” তখনই শুধু রক্ষা পেলেন। মুসলমানগণ ইসলাম ও ঈমানের ব্যাপারে কেবল কুরআনুল কারীম, হাদীছ শরীফ অনুসরণ করে থাকে। খ্রীষ্টানদের মত, যা আক্বলে আসেনা তার অপব্যাখ্যায় লিপ্ত হন না।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এথান থেকে পরুন পর্ব- এক
এথান থেকে পরুন পর্ব- দুই ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।