[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রষ্টীয় বৃটিশ সম্রাজ্যবাদ।
জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। "Confession of British Spy and British enmity against Islam" গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ।
১০ম পর্ব
মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব বললো, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন উপদেশের মাধ্যমে। আমি বললাম, “জিহাদ যদি ফরযই হবে তাহলে মৌখিকভাবে বললেই কেন হবে?” সে বললো, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধও করেছেন। ” আমি বললাম, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন আত্মরক্ষার জন্যে। কেননা, কাফিররা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করতে চেয়েছিলো।
” সে সম্মতি প্রকাশ করলো। অন্য এক সময় বললাম, “মুতা বিবাহ শরীয়ত সম্মত। ”
(মুতা বিবাহ হচ্ছে একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মিলিত হবার চুক্তি। ইসলামে এ ধরনের বিবাহ নিষিদ্ধ। )
সে প্রতিবাদ করলো, “না তা নয়।
” আমি বললাম, “আল্লাহ পাক ঘোষণা দিয়েছেন, তোমরা তাদেরকে ব্যবহারের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তাদের মোহর প্রদান করবে। ”
নজদের মুহম্মদ বললো, “হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর খিলাফতের সময় দু’টো মুতা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিরেন। যে মুতা বিবাহ চালু করবে তাদের তিনি শাস্তি দেবার কথা বলেছিলেন। ”
আমি বললাম, “আপনি বলেছেন আপনি উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আবার বলছেন তাঁকে অনুসরণের কথা।
অপরদিকে যেখানে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বিষয়ের অনুমতি দিয়েছেন তা জানার পরেও হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তা নিষিদ্ধ করলেন। ”
(মুতা বিবাহ আজকাল.... রক্ষিতা রাখার মত। শিয়াদের মতে এটা জায়িয। হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এমন কথা বলেননি। আর সব খ্রিষ্টানদের মতই এই গুপ্তচরও হযরত ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো এবং এই সুযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছে মাত্র।
‘হুজাজ-ই-কাতিইয়া’ কিতাবে লিখা আছে, হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, আখিরী রসূর, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুতা নিকাহ নিষিদ্ধ করে গেছেন। যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নিষিদ্ধ তিনি তা চালু করতে অনুমতি দেননি। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সবাই এক্ষেত্রে খলীফার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। সে সময় হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও ছিলেন। এক্ষেত্রে “ডকুমেন্ট অব রাইট ওয়ার্ড” প্রণিধানযোগ্য।
)
সেক্ষেত্রে আপনি কেন আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথাকে পাশ কাটিয়ে হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কথা মানতে চাইছেন? সে কোন উত্তর দিলো না। আমি বুঝলাম সে আমার কথায় সন্তুষ্ট হয়েছে। আমি আঁচ করতে পারলাম নজদের মুহম্মদের একটা বিয়ে দরকার। কেননা সে তখনও একা। আমি তাকে বললাম, “চল আমরা দু’জনেই মুতা বিবাহ করে স্ত্রী গ্রহণ করি।
তাহরে তাদের সাথে আমাদের ভাল সময় কাটবে। ” সে মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করলো। সেটা ছিল আমার জন্য বড় সুযোগ। সুতরাং আমি তাকে বিয়ের জন্য একজন মহিলাকে খুঁজে দেবার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলাম। সে শর্ত দিলো, আমি যেন বিষয়টা কেবল আমার এবং তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি।
এমনকি মেয়েটির কাছেও তার নাম গোপন রাখি। আমি তখন দ্রুত খ্রিস্টান মহিলাদের কাছে ছুটে গেলাম। মুসলিম যুবকদের প্রলুব্ধ করার জন্যেই ঔপনেবিশিক মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে নিযুক্ত করে সেখানে পাঠানো হয়েছিলো।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এথান থেকে পরুন পর্ব- এক
এথান থেকে পরুন পর্ব- দুই
এথান থেকে পরুন পর্ব- তিন
এথান থেকে পরুন পর্ব- চার
এথান থেকে পরুন পর্ব- পাঁচ
এথান থেকে পরুন পর্ব- ছয়
এথান থেকে পরুন পর্ব- সাত
এথান থেকে পরুন পর্ব- আট
এথান থেকে পরুন পর্ব- নয় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।