ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র বিমান প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ বিভাগের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির-আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটিই ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ফলে, ইরানের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো মার্কিন ঘাঁটি কয়েক মিনিটের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। এ ছাড়া, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র অনায়াসে ইহুদিবাদী ইসরাইলে হামলা করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, বিদেশি আগ্রাসনের প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই মার্কিন ঘাঁটিগুলো ধ্বংসের পদক্ষেপ নেয়া হবে। ‘মহানবী ৭’ নামের সামরিক মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র কল্পিত শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে পেরেছে।
বাইরের কিছু দেশ মধ্যপ্রাচ্যে যেসব বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে এসব লক্ষ্যবস্তু দেখতে তেমনই ছিল বলে জানান তিনি। ইরানের অন্যান্য মহড়ার সঙ্গে ‘মহানবী-৭’ সামরিক মহড়ার পার্থক্য তুলে ধরে জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, এ মহড়ায় কেবল একটি স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়নি বরং ইরানের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র একটি মাত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় সেমনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত তিন দিনের এ মহড়া আজ শেষ হয়েছে।
মহড়ায় আইআরজিসি দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। গতকালের মহড়ায় ইরানে তৈরি যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার অন্যতম হলো- শাহাব বা উল্কা ১, ২ ও ৩, খালিজ ফার্স বা পারস্য উপসাগর, তোনদার বা বজ্র, ফতেহ বা বিজয়, জিলজাল বা ভূমিকম্প এবং কিয়াম বা জাগরণ।
শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র দু’হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে অনায়াসে আঘাত হানতে পারে। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইআরজিসি পারস্য উপসাগরের কাছাকাছি মধ্য-ইরানে ওয়াল ফাজর নামে একটি সামরিক মহড়া চালায়। একই মাসে 'হামিয়ানে বেলায়েত' নামের অন্য একটি মহড়া চালায় আইআরজিসি। ওই মহড়ায় প্রতিকী কমান্ডো অভিযান ও বিমানযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া, হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালানো এবং হেলিকপ্টার হামলা প্রতিহত করার বিষয়টিও ছিল ওই মহড়ার অংশ।
পাশাপাশি গত জানুয়ারি মাসে 'খোরাসান রাজাভি' প্রদেশে 'শোহাদায়ে ওয়াহাদাত' নামের মহড়া চালায় আইআরজিসি'র স্থলবাহিনী। ইরান বলছে, শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য এসব মহড়া চালানো হচ্ছে এবং সামরিক মহড়ার মাধ্যমে তেহরান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছে শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে চায়। ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষাখাতে চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্য অর্জন করেছে এবং অস্ত্র ও সামরিক সাজ-সরঞ্জাম নির্মাণে অর্জন করেছে স্বনির্ভরতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।