আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে দ্বীপে পা দিলেই হৃদপিন্ডের গতি বাড়ে, মন চঞ্চল হয়ে ওঠে

বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ... আজ বলছি এক অদ্ভুদ দ্বীপের কথা। ডারউইনের কথা নিশ্চই জানেন আপনারা, তবে ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে লিখছি না। ডারউইন যে দ্বীপপুঞ্জে তার বিবর্তনবাদের তত্ব সম্পর্কে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলছি সেই গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট দ্বীপের কথা। দক্ষিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের ঠিক পাশেই প্রশান্ত মহাসাগরের এ অংশে তেরোটি দ্বীপ নিয়ে গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জর অবস্থান। তেরোটি দ্বীপের মধ্যে একেবারেই আলাদা বাল্ট্রা নামের এই ছোট্ট দ্বীপ।

এই দ্বীপের আয়তন মাত্র একশ মিটার। সান্তা ক্রুজ দ্বীপের ঠিক পাশেই এর অবস্থান। দুই দ্বীপের মাঝখানে আছে কয়েক ফুট চওড়া এবং তিন ফুট গভীর একট খাল। সান্তা ক্রুজ ও বাল্ট্রার মাঝখানে যে খালটার অবস্থান, সেখানে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হলেও রহস্যজনক কারনে বাল্টা অংশে জল কোনভাবেই প্রবেশ করে না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার এই দ্বীপের মাটিতে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথাটা একবারেই হালকা হয়ে যায় পর্যটকদের, হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যায়, অস্থিরতা কাজ করে, মন চঞ্চল হয়ে ওঠে।

এখানেই শেষ হলেও কথা ছিল। এই দ্বীপ থেকে চলে আসার পরও ঘটে মজার ঘটনা। মাথারভ ভেতর এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে। টানা ৩ দিন না ঘুমালে নেশাগ্রস্থের মত যে ঘোর কাজ করে ঠিক সেই রকম ঘোর কাজ করে। বাল্ট্রা দ্বীপে এলেই ঘড়ির কাটার মতো কম্পাসও অস্বাভাবিক আচরণ করে।

[আমার অনার্স সাবজেক্ট উদ্ভিদবিজ্ঞান হওয়ায় ডারউইন সম্পর্কে পড়েতে হয়েছে সেই সাথে অসংখ্যবার পড়েছি গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ সম্পর্কে ] পত্রিকা লিঙ্ক- যে দ্বীপে পা দিলেই হৃদপিন্ডের গতি বাড়ে, মন চঞ্চল হয়ে ওঠে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।