............................................................................................................................................................. গত ১৮ মে কালের কন্ঠের সম্পাদকিয় কলামে ইমদাদুল হক মিলনের 'নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়' ছাপা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে তার লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম। মাছের মায়ের পুত্র শোকের মত করে তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মায়াকান্না কেদেছেন। নর্থ সাউথের সাথে তার ঘনিষ্টতা বুঝাতে অনেক ইন্টারন্যাল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছেন, আফসোস - তিনি সঠিক তথ্য পাননি।
প্রথমে ২টো ভুল তথ্য ঠিক করে দিইঃ
১) আব্দুল হান্নান চৌধুরী বিবিএ'র ডীন নন, ডিরেক্টর।
২) মীর ওবায়দুর রহমান, এমবিএ'র ডীন নন, ডিরেক্টর।
স্কুল অফ বিজিনেসের ডীন আব্দুল হান্নান চৌধুরী। তাঁর নামের আগে প্রফেসর/ড. লেখার সৌজন্য দেখান নাই ইমদাদুল হক মিলন। যেমন লেখেন নাই ওবায়দুর স্যারের নামের আগে। কিন্তু, মিলন ঠিকই ড. লিখেছেন নাশিদ কামালের নামের আগে।
নাশিদ কামাল আবার মিলনের বাল্যবন্ধু। নর্থ সাউথের জনপ্রিয় টিচার হিসাবে মিলন খসরু মিয়া স্যারের নাম লিখেছে, এঁর নামের আগেও ড. লিখতে ভুলে গেছেন মিলন। ড খসরু মিয়া সিনিয়র টিচার, সম্মানিত লোক, কিন্তু কতটা জনপ্রিয়? হান্নান স্যার সহচর হিসাবে খসরু স্যারকে সবাই চিনে। এত কিছু জানেন মিলন, তার কানে কি JK/MDM/MHM/RYA/FCY/SFR/MDH/FRMএর মত জনপ্রিয় টিচারদের কথা কেউ বলল না?
মিলন একজন সম্পাদক, সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তার আছে কিনা জানি না, তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট না হলে নাশিদ কামালের অতীত ইতিহাস স্মরন করতে পারেন। এরশাদের রক্ষিতা হিসাবে নাশিদ কামালের কান্ডকীর্তি মিলন কি ভূলে গেছেন? খুব অতীত নয়, দু বছর আগে নাশিদ কামাল কেন ইন্ডিপিন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, সে খবর কি মিলন পাঠকদের জানাবেন? মিলনের ভাষায় "বহুগুণে গুণান্বিত" নাশিদের পাব্লিক ইমেজ কেমন সেটা মিলন জানেন কি? ইমদাদুল হক মিলনের সাথে আমার একবারই দেখা হয়েছে, কালের কন্ঠের সম্পাদক হিসাবে নূতন জয়েন করেছেন তিনি।
নর্থ সাউথে যাবেন "শুভসংঘ"এর প্রচারণায়। ক্লাবের পক্ষ থেকে যেকজন ছাত্র মিলনকে রিসিপশন থেকে ভিসি স্যারের অফিস পর্যন্ত অভ্যর্থনা দিয়েছিলাম, তাদের মাঝে আমি একজন। মিলন সেদিন নর্থ সাউথের অনেক প্রশংসা করেছেন। নূতন ক্যাম্পাসের আর্কিটেকচারাল সৌন্দর্য্যের কথা বলেছেন। তিনি খুব সুন্দর করে কথা বলেন।
আমার খুব ইচ্ছা ছিল তসলিমা নাসরিন 'ক' আত্মজীবনীতে মিলনকে নিয়ে যা লিখেছেন তা সত্য কিনা জিজ্ঞেস করার। কিন্তু ঐদিন মিলনের আচরণে ব্যক্তিত্বে এতই মুগ্ধ হয়েছিলাম - সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তসলিমা সব মিথ্যা লিখেছে। কিন্তু, দিন দিন মিলনের আসল রুপ প্রকাশিত হতে থাকছে। গত ৬ মাস বসুন্ধরা গ্রুপের ৩টি পত্রিকা নর্থ সাউথের পেছনে কুৎসিতভাবে লেগে থাকার কারণ কি? ভর্তি বনিজ্য নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে স্বাগত জানাই। কিন্তু - হিজবুত তাহরিরের সাথে, ও ছাত্রলীগের কোন্দলের সাথে নর্থ সাউথকে জড়িয়ে মিথ্যা খবর প্রচারের কারন কি? প্রায় ৩ বছর হল- নর্থ সাউথে পড়ছি, আল্লাহর নামে কসম কেটে বলতে পারি এখানে ছাত্রদল-ছাত্রলিগ নেই।
হিজবুত তাহরির এক সময় থাকলেও এখন নাই। মিলনের চাকরিদাতা বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা কেন এসব লেখে?
কারণ, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক ভুমিদস্যু আকবর সুবাহান নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডে ঢুকতে চেয়েছিল।
এই এক ক্ষোভ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকাগুলো নর্থ সাউথ নিয়ে কাল্পনিক (আই রিপিট, ভর্তি বানিজ্য সম্পর্কিত রিপোট ছাড়া) প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
আজ এর সাথে মিলন নিজেও যোগ হল। ছি! কী লজ্জা!! মিলনের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন-
আপনি এক সময় অনেক টাকা পইসার কষ্ট করেছেন।
জার্মানিতে না খেয়ে ছিলেন, দেশে এসে টাকার জন্য সুড়সুরি দেয়া উপন্যাস লিখেছেন; এসব কথা আপনি নিজেই স্বিকার করেছেন। অনেক তো হলো- আর কত? বসুন্ধরা গ্রুপ আপনাকে মাসে ৩ লাখ টাকা বেতন দেয়। এজন্য আপনি মালিকের আজ্ঞাবহ কুকুরের মত প্রথম আলোকে কামড় দিচ্ছেন, ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফুর রহমানকে কামড় দিচ্ছেন, আশিয়ান গ্রুপকে কামড় দিচ্ছেন। এখন বিষ দাঁত বসাচ্ছেন- নর্থ সাউথের ওপরে? বুলেট হিসাবে ব্যবহার করছেন শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, আর আমাদের সেরা শিক্ষক ড হান্নান স্যারকে!! আপনার পত্রিকার স্লোগান আংশিক নয়, পুরো সত্য। জনাম মিলন , পুরো সত্য বলুন।
বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরগিরি করে মিথ্যা কলাম লিখে লিখে আপনি একদিন ইতিহাসের ডাস্টিবিনে নিক্ষিপ্ত হবেন। আপনার প্রতি জনমানুষ ঘৃনার থুতুই দিবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।