আমার এক সহকর্মী বসুন্ধরার একটি প্রকল্পে প্লট কেনেন দুই বছর আগে। নিয়মিত তিনি কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন। আশায় বুক বেধে ছিলেন মতিঝিল থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে গিয়ে একদিন স্বপ্নের বসত গড়বেন। কিন্তু তার স্বপ্ন সম্ভবত ফেল করতে যাচ্ছে। কারণ কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন, বসুন্ধরার ওই প্রক্ল্পটি পুরোটাই নাকি সরকারি জায়গা দখল করে বানানো।
বসুন্ধরাও বিষয়টা স্বীকার করে এবং তারা সরকারের জমি সরকারের কাছে বুঝিয়ে দেবে বলে জানায়।
এ অবস্থায় আমার সহকর্মী ভাই তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আপনি কিস্তির টাকা দেওয়া চালিয়ে যান। আপনাকে অন্য প্রকল্পে প্লট দেওয়া হবে। কিন্তু কোন প্রকল্প, সেখানে দাম কেমন, বা অন্যান্য বিষয় কিছুই জানানো হয়নি। তারপরও আমার সহকর্মী তাদের কথায় অবিশ্বাস করেননি।
কিন্তু এখন তিনি কিছুটা চিন্তিত। কারণ আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে, বসুন্ধরার গ্রুপের অপরাধ-দুর্নীতির কাহিনী। কোম্পানীটি হয়তো ফেঁসে যাচ্ছে। যারা প্রকল্পের জন্য টাকা দিয়েছিলেন, তারা হয়তো জমিও পাবেন না, দেওয়া টাকা ফেরতও পাবেন না। কিন্তু তাদের অপরাধ কী, তারা এখন কার কাছে যাবে? আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব, খু্ব শিগগিরই ভুক্তভোগীদের জন্য কিছু করুন।
প্রথমত তাদের মানসিক কষ্ট ও যন্ত্রনা থেকে রেহাই দিন। তারা খুবই চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।