আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোধুলী লগ্নের কাব্য গাথা

রাজ্য শুধু হাটছিলো। চারদিকে এতো মানুষ তবুও যেনো সে একা। ভুভুজেলার প্রচন্ড শব্দ। এই শব্দটা যেনো সরাসরি তার বুকে গিয়ে লাগছে। বলছিলাম রাজ্যের কথা।

প্রচন্ড রকমের চুপচাপ একটি ছেলে । কথা বলেনা বললেই চলে। আজ তার সাথে একজনের দেখা করার কথা। মেয়েটির নাম রিজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে।

এইবারই ভর্তি হয়েছে। রাজ্যের সাথে তার পরিচয় মাসচারেক। পরিচয় হয়েছে ফেসবুকে। তারপর দেখা করার সিদ্ধান্ত । তারা দেখা করার জন্য বেছেনিলো বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে।

রিজা এতো মানুষের চিৎকারের কারনে মোবাইলে কিছুশুনতে পাচ্ছেনা। তাই সে রাজ্যকে এসএমএসে বলল “আজ বাদ দাও পড়ে একদিন দেখা হবে”। রাজ্যেরমোবাইলটা হঠাত করে কেপে উঠলো তারপর সে মোবাইল বের করে দেখলো মোবাইলে একটা এস এমএস। তারপর দেখলো রিজার এই এস এম এস। রাজ্য মেনে নিতে পারলো না।

কারন তার সাথে অনেক বন্ধু বান্ধব এসেছিলো রাজ্য সকলকে বিদায় করে দিয়েছে শুধুমাত্র রিজার সাথে দেখা করবে বলে। রাজ্য বুঝতে পারলো যে এতো মানুষের মাঝে মোবাইলে কথা বলাটা প্রায় অসম্ভব এবং রিজাকেও খুজে পাওয়া সম্ভব না। তবুও কেনো যেনো রাজ্য কথা গুলো মেনে নিতে পারলোনা। রাজ্য রাগ করে বাসায় চলে আসলো। রাজ্য অনেকমন খারাপ করলো।

তারপর রাজ্য রিজাকে ফেসবুকে একটা মেসেজ দিলো। তাতে লেখা ছিলোঃ আজকে তুমি আমারে মনে কষ্ট দিলে । হ্যা আমিতো গরীব মানুষ আমি পিচ্চি আমার সাথে দেখা করবা কেন । চেয়েছিলাম দেখা করবোতোমার সাথে । সেজে গুজে আসছো তোমাকে দেখতাম ।

ছবি তুলতাম । এইরকম সময় হয়তো আরকোনদিনও আসবে না । আমার বন্ধুবান্ধবসবাইকে বিদায় করে দিয়া ঘন্টা দেড়েক একা একা হেটেছি । তোমাকে খুজেছি। তবুওতোমার সাথে দেখা করতে পারলাম না ।

তুমি আজকে আমারেঅপমান করলা কষ্ট দিলা । আমি মনে অনেক অনেককষ্ট পাইছি আজ । তোমার বন্ধুদের সাথেই ঘুরোগে । আমাকে মাত্র পাচ মিনিট সময় তুমি দিতে পারলানা । হয়তবা আমাদের কোনদিনও দেখা হবেনা ।

তবুও দোয়া করি ভালোথাকো সুখে থাকো । মেসেজেপিচ্চি বলার কারন রাজ্য রিজার থেকে তিন মাস ২৬ দিনের ছোট। এবং রাজ্য মাত্র ইন্টারেপড়ে। তারপর রিজা ফেসবুকে এসে এই মেসেজ দেখলো এবং রাজ্যকে অনেক বার স্যরি বলল । কিন্তু রাজ্যের মন তাতেও সায় দেয়না।

রাজ্যবুঝতে পারছে না ওর থেকে সিনিয়র একজন মেয়ে যার সাথে কিনা রাজ্যের এখনো দেখাহয়নি,কথা হয়েছে মাত্র ৮/১০ বার। তার প্রতি রাজ্যের এতো আবেগ কেনো। যাই হোক অনেক মান অভিমানের পর রাজ্য রিজাকে আবার একদিন আসতে বলল দোয়েল চত্বরের মোড়ে যেখানেরাজ্যের সাথে রিজার দেখা করার কথা ছিলো। শর্ত হলো রিজাকে সেই দিনের মত সেজে গুজেআসতে হবে । যা যা পোশাক পরেছিলো রিজা ঠিক সেইভাবেই আসতে হবে।

রাজ্যও সেইভাবে আসলো । তারপর তাদের দেখা হলো ,সারা বিকেল ছিলো এক সাথে। অনেক কথা হলো তাদের মাঝে। একে অপরকেবুঝতে শিখলো। তারপর রাজ্য রিজার হাত ধরলো তাদের দুজনের মনেই এক অজানা শিহরন সাড়া দিয়ে গেলো।

তাদের আর তখন মনে রইলো না যে তাদের মধ্যে কিছু বাধা নিষেধ আছে। তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক গড়ে ঊঠলে তা সমাজ,পরিবার কখনই মেনে নিবে না। তবুওতারা একে অপরের পাশাপাশি রইলো। তারপরসময় বুঝে রাজ্য একদিন রিজাকে প্রপোজ করে বসলো । রাজ্য বলল রিজাকেঃ “দেখো রিজা আমি প্রেমে বিশ্বাসী নই সরাসরিবিয়েতে বিশ্বাসী,আমি জানি আমাদের মধ্যে কিছু ঘাটতি আছে,তবে আমরা চাইলেই তা পুরনকরতে পারি,আমি তোমাকে এখনই কিছু করতে বলছি না,শুধু জানতে চাইছি এখন থেকে কয়েক বছরপর আমি যখন প্রতিষ্ঠিত হবো তখন যদি তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবো তখন কি তুমি আমারপ্রস্তাবে সাড়া দিবে? “” রিজাবলল "সেইটা সময়ই বলে দিবে।

" তারপরতারা গোধুলী লগ্নে একে অপরের হাতে হাত রেখে অজানা এক ভবিষ্যতের দিকে হাটতে লাগলো। আমারকথাঃ আসুন আমরা মন থেকে চাই যাতে রাজ্য এবং রিজার একটা সুন্দর মিলন হয়। সকল বাধানিষেধ তারা দুর করে ভালোবাসাকে জয় করুক। উৎসর্গঃ শাওলিন বারী নামক আমার এক অতি প্রিয় নারীকে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.