আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত ফিলিপাইনের ম্যানিলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে দেশে ফেরত আসতে নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রফিকুন নেসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে রয়েছে পুরনো দেখিয়ে পতাকবাহী গাড়ি বিক্রি এবং ছেলের পড়ালেখা বাবদ ভুয়া বিল দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়।
জানা গেছে, রফিকুন নেসা দূতাবাসের পুরনো পতাকাবাহী গাড়িটি কোনো কমিটি না করে এবং টেন্ডার না দিয়ে নিজেই ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। বিক্রির আগে কোনো ধরনের সমস্যা না থাকলেও মেরামত বাবদ ভুয়া বিল জমা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাত্ করেছেন।
গাড়িটি পুরনো দেখিয়ে সরকারি টাকায় নিজের জন্য নতুন পতাকাবাহী গাড়ি কিনেছেন, কিন্তু পুরনো গাড়িটি বিক্রি না করে রাষ্ট্রদূতের ছেলেমেয়ে বোন ও স্বামী ব্যবহার করতেন।
তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তিনি তড়িঘড়ি করে গাড়িটি বিক্রি করে ফেলেন। রাষ্ট্রদূতের জন্য নতুন গাড়ি ক্রয় করার পর তিনি কেন পুরনো গাড়িটি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় মেরামত করতে গেলেন, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর চিঠিও দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রদূত রফিকুন নেসা ছেলের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে কয়েকগুণ বেশি টাকা ভুয়া বিল দেখিয়ে আত্মসাত্ করেন। তার ছেলে ফিলিপাইনের ফার ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছেলের সেশনপ্রতি খরচ ২ লাখ টাকা হলেও গত সেশনে দূতাবাসের ফান্ড থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা ভুয়া বিল দিয়ে উত্তোলন করে নিয়েছেন। চলতি সেশনেও রাষ্টদূত প্রায় ১৩ লাখ টাকার ভুয়া বিল জমা দিয়েছেন।
বিল প্রস্তুত করতে তিনি দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অব্যাহত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতের চাপের মুখে এবং নিজের চাকরি বাঁচাতে বিল প্রস্তুত করতে টালবাহানা করে সময় পার করার চেষ্টা করছেন বলে খবর বের হয়।
এর আগে রফিকুন নেসার বিরুদ্ধে গাড়ি বিক্রি এবং ছেলের লেখাপড়ার খরচে দুর্নীতিসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত করে দুর্নীতির সত্যতা পায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মাসে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ফিলিপাইনে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তদন্ত রিপোর্ট ১২ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পেশ করা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।