আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুইক রেন্টাল নিয়ে আনিসুল হকের চিটিংবাজির জবাব

সম্প্রতি গার্মেন্টস মালিক কাম কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ ব্যাবসায়ী,”দেশ এনার্জি”র মালিক আনিসুল হক দাবী করেছেন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত না হলে “দেশে প্রতিদিন ১০ রিখটার স্কেলে অর্থনৈতিক ভূমিকম্প হতো”। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের আমলে ৩১০০ মেগাওয়াট(!) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে দাবী করে তিনি বলেছেন ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ স্থাপন না করলে আমাদের জিডিপির আকার “১৪-১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হতো। ” আমরা এখানে কুইক রেন্টালের অপরিহার্যতার সম্পর্কে জনাব আনিসুল হকের বক্তব্যের যথার্থতা বিচার করবো। ছবি: আনিসুল হক তার লেখায় কুইক রেন্টাল না থাকলে ১০ মাত্রার অর্থনৈতিক ভূমিকম্পের আশংকা করে উপরের কথাগুলো লিখেছেন প্রথমত, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হওয়া এবং না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কত কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়ে সেটা নানা ভাবেই হিসেব নিকেশ করা যায়।

আনিসুল হক তার মতো করে একটা হিসেব করেছেন(সে হিসেব সম্পর্কে পড়ে আসছি)। কিন্তু কুইক রেন্টাল বিতর্কে এই হিসেব অপ্রাসঙ্গিক। কেননা যখন আমরা কুইক রেন্টালের বিরোধীতা করছি তখন বলছি না যে বিদ্যুৎ উৎপাদন দরকার নেই, আমরা বলছি “কুইক রেন্টালের মাধ্যমে” বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষতিকর দিকের কথা এবং বিকল্প কি উপায়ে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্রুত উৎপাদন করা যেত তার কথা। ফলে এখানে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে অর্থনীতির লাভক্ষতির হিসেব দেখাতে হলে দেখাতে হবে বিশেষ ভাবে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়েছে এবং অন্য পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে কি প্রভাব পড়তে পারতো, অন্য পদ্ধতিতে না করার ফলাফল কি এবং সবশেষে দেখাতে হবে এইসবের মধ্যে কোনটি অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর ছিল। আনিসুল হক তার “গবেষণায়” এই তুলনা করার কাজটিই করেন নি,তিনি স্রেফ বলে দিয়েছেন:”আওয়ামি লীগ সরকার যদি স্বল্প মেয়াদি তৈল ভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প স্থাপন না করে শুধু দীর্ঘ মেয়াদি বেইজ লোড বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প স্থাপন করার পরিকল্পনা করতো তাহলে এই আড়াই তিন বছরে নতুন কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হতো না।

” অথচ নষ্ট ও পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামত ও সংস্কার করে এবং গ্যাস উৎপাদন সামান্য বাড়িয়েই কুইক রেন্টালের চেয়ে বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ স্বল্প সময়ে এবং বিপুল ভর্তুকীর বোঝা চাপানো ছাড়াই অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখতে পারতো কি-না সে বিবেচনাটি তার “গবেষণায়” আমরা দেখি না। ফলে যে হিসেবটি তিনি করেছেন সেটি যদি সঠিক হয় তাহলে সাধারণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি না হলে অর্থনীতিতে কি কি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তার একটি হিসেব হতে পারে বড়জোর কিন্তু বিশেষ ভাবে কুইক রেন্টালের অর্থনৈতিক অবদান হিসেব করতে হলে সম্ভাব্য বিকল্প উপায় গুলোর অপরচুনিটি কস্ট হিসেব না করে কুইক রেন্টালের অর্থনৈতিক অবদান হিসেব করা সম্ভব না। দ্বিতীয়ত, আনিসুল হক রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি বা কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিকে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলাফল ধরে সম্ভাব্য ক্ষতির হিসেব করেছেন । এভাবে অর্থনীতির কোন খাতে প্রবৃদ্ধিকে শুধু বিদ্যুৎ বা এরকম অন্য কোন একক ফ্যাক্টরের অবদান হিসেবে ধরে নেয়া ভুল। আবার পাশাপাশি তিনি, নেক্সেন্ট (Nexant) কোম্পানির করা গবেষণার সূত্র ধরে প্রতি কি:ও: ঘন্টার অসরবরাহকৃত বিদ্যুতের অর্থনৈতিক মূল্য(অপরচুনিটি কষ্ট) ৩৫ টাকা ধরে কুইক রেন্টাল দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদিত না হলে গোটা অর্থনীতিতে ২৭,৫২৫ কোটি টাকার নেতিবাচক প্রভাবের হিসেব দিলেন।

তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে আবার রপ্তানিখাত থেকে ৫৬,২৫০কোটি টাকা এবং কৃষি খাত থেকে ৯২৩১ কোটি টাকা টাকা, জিডিপি ১,১২,৫০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য কম উৎপাদনের দাবীর যৌক্তিকতা কি? গোটা অর্থনীতিতে কি “রপ্তানি খাত”, “কৃষি খাত” ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত নয়? হয় আলাদা আলাদা খাতের হিসেবগুলো সঠিক অথবা ৩৫টাকা/কি.ওঘন্টা হিসেব ধরে অপরচুনিটি কস্টের মাধ্যমে ২৭,৫২৫ কোটি টাকার হিসেবটি সঠিক। ব্যাবসায়ী হিসেবে এক মুরগী একাধিক জায়গায় বেচার স্বভাবটি কথিত এই গবেষণাতেও ত্যাগ করতে পারেননি জনাব আনিসুল হক! তৃতীয়ত, আনিসুল হকের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির হিসেব বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে প্রতারণা মুলক। কারণ তিনি বিদ্যুৎ “উৎপাদন ক্ষমতা” কে বিদ্যুৎ “উৎপাদন” বলে চালিয়ে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ “উৎপাদন ক্ষমতা” তার দাবী অনুসারে ৩ হাজার ১শ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেলেও তিনি দেখান নি এই ক্ষমতার কতটুকু কাজে লেগেছে অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন আসলে কত বেড়েছে! অথচ স্থাপিত বা প্রকৃত “উৎপাদন ক্ষমতা” আর প্রকৃত “উৎপাদন” এক নয়। আনিসুল হকের লেখাতে দাবী করা হয়েছে: "বর্তমান সরকারের আমলে আজ অবধি স্থাপিত(ইনষ্টলড ক্যাপাসিটি) ও প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা(ডিরেটেড ক্যাপাসিটি) দাড়িয়েছে যথাক্রমে ৮৮১৯ ও ৮১৪৯ মে:ও:”।

প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতার এই তথ্যটি ঠিক নয়। পিডিবি’র জেনারেশান রিপোর্ট অনুযায়ী আজকে পর্যন্ত প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ৭৫৫১ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রকৃত “উৎপাদন ক্ষমতা” যাই হোক, প্রশ্ন হলো প্রকৃত “উৎপাদন” কত এবং সেখানে কুইক রেন্টালের অবদানই বা কত? এবং সেইটুকু কুইক রেন্টাল ছাড়া অন্য কোন উপায়ে একই সময়ে উৎপাদন বাড়ানো যেত কি-না? আনিসুল হক লিখেছেন: “বর্তমানে দেশে গড়ে ৫২০০ মে:ও: বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে”। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো পিক আওয়ারে ৩৪৯২ মেগাওয়াট, ১০ জানুয়ারি ৩৫৩৭ মেগাওয়াট অর্থাৎ গড়ে প্রকৃত উৎপাদন ৩৫০০ মে:ও: ধরলে প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে (উৎপাদন ক্ষমতা যাই বাড়ুক না কেন) বেড়েছে ৫২০০-৩৫০০ = ১৭০০ মেগাওয়াট। অথচ আনিসুল হক দাবী করছেন ৩১০০ মেগা্ওয়াট বিদু্যঁ উঁপাদন বেড়েছে!! এখন দেখা যাক এই ১৭০০ মেগাওয়াটের মধ্যে কুইক রেন্টালের অবদান কত? ১২ই জুনের জেনারেশান রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, ৩২টি কুইক রেন্টালের ২০৩৪ মে:ও: প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও কুইক রেন্টাল থেকে ১১ই জুন বিদ্যুত উৎপাদিত হয়েছে ১৩৮৭ মে:ও: এবং ১২ই জুন ১৩৩৫ মেগাওয়াট।

২২শে মার্চ যেদিন সর্বোচ্চ ৬০৬৬ মে:ও: রেকর্ড পরিমাণ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, সেদিন কেবল কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৫৯৫ মেগাওয়াট। আবার গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ৭৫৫১ মে:ও: থাকলেও গড়ে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৪৮০০ মে:ও:। ফলে এপ্রিল মাসের হিসেবে বর্তমান সরকারের আমলে প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে ৪৮০০-৩৫০০= ১৩০০ মেগাওয়াট যার মধ্যে কুইক রেন্টালের অবদান গড়ে ১১২৫ মে:ও:। কুইক রেন্টালের মধ্যে তেল ভিত্তিক ও গ্যাস ভিত্তিক দুই প্রকারই অন্তর্ভুক্ত। ১১২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেশির ভাগটাই ঐ সময় এসেছে গ্যাস ভিত্তিক কুইক রেন্টাল থেকে কারণ তেল ভিত্তিক কুইক রেন্টাল বেশির ভাগই বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো যদিও আনিসুল হকের মতো মালিকরা উৎপাদন ক্ষমতার ভাড়া বাবাদ “ক্যাপাসিটি চার্জ” ঠিকই পাচ্ছিলেন! তাহলে দেখা যাচ্ছে কুইক রেন্টাল থেকে গড়ে ১১০০ থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদুৎ পাওয়া যাচ্ছে অথচ আনিসুলক হক ৩ হাজার ১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার মিথ্যা হিসাব দেখিয়ে অর্থনীতিতে কুইক রেন্টালের অবদান হিসেব করছেন।

অবশ্য আনিসুল হকদের “ইনষ্টলড ক্যাপাসিটি”তেই খুশী থাকার কথা কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক তারা উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে “ক্যাপাসিটি চার্জ” ঠিকই পাচ্ছেন! চতুর্থত, কুইক রেন্টালটা যতটা কুইক বলা হয়েছিলো, বাস্তবে ততটা দ্রুত ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সেগুলো উৎপাদনে আসেনি। যাও এসেছে নষ্ট ও পুরাতন যন্ত্রপাতি ব্যাবহারের কারণেই কাঙ্খিত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় নি। সেই সাথে পিডিবি’র পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অবহেলায় আরো নষ্ট হয়েছে। ফলে দুই বছর শেষে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছিলো মাত্র ১৮৯ মেগাওয়াট। আনিসুল হকের দেয়া হিসেবে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫১৬৬ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত উৎপাদন ৩৫০০ মেগাওয়াট।

দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা বলে কুইক রেন্টাল স্থাপনের তোরজোড় করা হলেও দুই বছর পর ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসেও আমরা দেখছি প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৫৭৭৭ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত উৎপাদন ৩৬৮৯ মেগাওয়াট অর্থাৎ ২বছরে অর্থনীতি ধ্বংসকারী কুইক রেন্টালের অবদান মাত্র ৫৭৭৭-৫১৬৬= ৬১১ মেগাওয়াট প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রকৃত উৎপাদন বৃদ্ধি মাত্র ৩৬৮৯-৩৫০০=১৮৯ মেগাওয়াট! ২০১১ সালের জুন মাসের ১ তারিখে প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ৬৮৫৯ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত উৎপাদন সর্বোচ্চ ৪৫১২ মেগাওয়াট হয় অর্থাৎ আড়াই বছর শেষে উৎপাদন বাড়ে ৪৫১২-৩৫০০=১০১২ মেগাওয়াট। অথচ কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কুইক লুটপাটের ধান্দা বাদ দিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিলে দুই বছরও লাগতো না, ৬মাস থেকে ১বছরের মধ্যে ১২০০-১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সস্তায় পাওয়া যেত। চতুর্থত, অপরচুনিটি কষ্ট হিসেব করার ক্ষেত্রে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ একই সময়ে অন্য কোন উপায়ে উৎপাদিত করা সম্ভব ছিল কি-না এবং করা গেলে সেক্ষেত্রে খরচ কত হতো তার হিসেব করেন নি জনাব আনিসুল হক। আনিসুল হক কেবল নতুন বেজ লোড বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের অসম্ভাব্যতার কথা বলেছেন বাস্তবে নতুন বেজ লোড বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুই বছরেই নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। সবচেয়ে বড় কথা আসল বিকল্পটিই আনিসুল হক তার লেখায় বিবেচনা করেন নি- তা হলো পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামত, সংস্কার, সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কে ডুয়েল সাইকেল এ রুপান্তর এবং গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন : কুইক রেন্টাল কি আসলেই অপরিহার্য ছিল? পঞ্চমত, আমরা যদি এখন ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তুলনামূলক অনেক কম অর্থে পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কার না করে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ আনিসুল হকের হিসেবে মোট ১৬ হাজার ৬শ কোটি টাকা বা বিডি রহমতুল্লাহর হিসেবে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচের মাধ্যমে করার নেতিবাচক প্রভাবটি খেয়াল করি তাহলে দেখব কুইক রেন্টালের কারণে দেশের অর্থনীতির ধ্বংসের মুখে পৌছেছে, জনগণের জীবন বিপর্যস্ত হযে পড়েছে। কুইক রেন্টালের ভর্তুকীর খরচ যোগাতে গিয়ে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হলো, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য বাড়লো, যাতায়াত ও পরিবহন খরচ বাড়লো, কৃষির উৎপাদন খরচ বাড়লো- এই সব নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই আনিসুল হক কথিত ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির সুফল আমরা ভোগ করতে পারতাম যদি কুইক রেন্টালের বদলে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত নষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হতো,পুরাতন প্ল্যান্টের ইফিসিয়ান্সি বাড়ানো হতো, যদি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুপান্তর করা হতো এবং বাপেক্সের মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হতো। উপরোক্ত আলোচনার পর গার্মেন্টস মালিক কাম বিদ্যুৎ ব্যাবসায়ী কাম কুইক লুটেরা আনিসুল হকের উদ্দেশ্যে আমাদের বলার কথা একটাই : দালালি আর করিস না রে, পিঠের চামড়া থাকবে না রে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.