আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্রের অর্থনীতি ধ্বংসকারী প্রতিক্রিয়া

কখগ সংগৃহীত দেউলিয়া পিডিবি বিপিসি : কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্রের অর্থনীতি ধ্বংসকারী প্রতিক্রিয়া বিশেষ প্রতিনিধি কুইক রেন্টাল এবং রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক) বিদ্যুেকন্দ্রের কারণে মহাসঙ্কটে দেশের জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত্ খাত। বেসরকারি খাতের এসব বিদ্যুেকন্দ্র বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসিকে) গিলে খাচ্ছে। তেলভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রে ভর্তুকি দিতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুটি দেউলিয়াত্বের মুখে পড়েছে। বিশাল ক্ষতির ভার বইতে গিয়ে দেশের অর্থনীতিও এখন নাজুক অবস্থায়। বর্তমানে ভর্তুকির টাকা জোগান দেয়ার ক্ষমতাও সরকারের নেই।

সরকার অস্বাভাবিক হারে ঋণ নেয়ায় ব্যাংকগুলোও পড়েছে সমস্যায়। তেলনির্ভর কেন্দ্রগুলো থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ কিনতে গিয়ে দিন দিন এই খাতে লোকসানের বোঝা বাড়ছে। তেল-বিদ্যুত্ খাতে সংস্থা দুটি যে লোকসান দেয়, সেটাই রাষ্ট্রের ভর্তুকি। সরকার বিপিসিকে সরাসরি ভর্তুকি দিলেও পিডিবিকে দেয় ঋণ। এই ঋণের টাকায় লোকসান সামাল দিতে গিয়ে পিডিবির এখন দেউলিয়া অবস্থা।

বিপিসিরও একই অবস্থা। চারদলীয় জোট সরকারের প্রথম তিন বছরে এই দুই খাতে যেখানে মোট দুই হাজার ৪০১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ভর্তুকি বা লোকসান দিতে হয়েছে, সেখানে চলতি অর্থবছর শেষে বর্তমান মহাজোট সরকারের তিন বছরে এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৭৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা বিএনপি সরকারের সময়ের চেয়ে ১৪ গুণেরও বেশি। লোকসানের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরেই এই দুই খাতে আরও ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল থেকে সরকার উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ কিনে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী-শিল্পপতিকে মুনাফা লোটার সুযোগ করে দেয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে গ্রাহকের কাছ থেকেই এই ভর্তুকির টাকা আদায় করা হচ্ছে।

রেন্টালের ভর্তুকি সামাল দিতে দফায় দফায় শুধু বিদ্যুতের মূল্য নয়, বাড়ছে জ্বালানি তেলের দামও। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পুরো মেয়াদকালে যেখানে একবার মাত্র বিদ্যুতের দাম বাড়ে, সেখানে বর্তমান সরকারের তিন বছরে এরই মধ্যে চার দফা বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। আবারও মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির পর সরকার আবারও তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। অপরদিকে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বিদ্যুতের বিশাল ঘাটতি মোকাবিলা করে জনগণের জন্য বিদ্যুত্ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এর বিকল্প ছিল না।

পিডিবি চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির বলেছেন, চলতি অর্থবছরের পর আর কোনো রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক) বিদ্যুেকন্দ্র উত্পাদনে আসবে না। এরপর যেগুলো আসবে সেগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুেকন্দ্র (আইপিপি)। রেন্টালের দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় আইপিপি থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিদ্যুত্ কেনা যাবে। তিনি আরও জানান, রেন্টাল কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুত্ কেনার চুক্তি ৩ থেকে ৫ বছরমেয়াদি।

এই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভর্তুকির পরিমাণও অনেক কমে আসবে। জ্বালানি তেল খাতে কেন এতটা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে—জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক আমার দেশকে বলেন, বিদ্যুেকন্দ্রে আগের চেয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ভর্তুকি মূল্যে তাদের তেল সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে ভর্তুকি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। অস্বাভাবিক হারে ভর্তুকি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুত্ খাত নিয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল নীতি ও দুর্নীতিই দায়ী।

ভর্তুকি যে হারে বেড়েছে সেটা একেবারেই অস্বাভাবিক। দাম বাড়িয়েও সহসা এই ভর্তুকি খুব বেশি কমানো সম্ভব নয়। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ প্রকল্প গ্রহণ করা ঠিক হয়নি। বিদ্যুত্ নিয়ে সরকার ভুল পরিকল্পনা নিয়েছে, যার খেসারত দেশবাসী দিচ্ছে। এ অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী বলে তারা মনে করেন।

তাদের অভিযোগ, সরকারি বিদ্যুেকন্দ্রের চেয়ে বেসরকারি খাতের কেন্দ্রের দিকেই সরকারের বেশি আগ্রহ। বিশেষ করে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল কেন্দ্রের মাধ্যমে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী-শিল্পপতিকে সুবিধা দিতে গিয়ে যে বিরাট অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তা জনগণের কাঁধেই চাপছে। জনগণ এখন বেশি দামে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি তেল কিনলেও রেন্টাল বিদ্যুতের মূল্য হিসেবে বাড়তি টাকা যাচ্ছে ওই উদ্যোক্তাদের পকেটে। এভাবে এত বেশি সংখ্যক তেলভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র না বসিয়ে গ্যাসের পাশাপাশি কয়লানির্ভর বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন না করলে এ অবস্থা হতো না। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও অস্বাভাবিক হারে বাড়ত না বলে তারা মনে করেন।

বৃহত্ কেন্দ্রে বিদ্যুত্ উত্পাদন খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম আড়াই বছর রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্র নিয়েই ব্যস্ত ছিল। এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ কিনতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়ে। এ অবস্থায় হুশ ফেরে পিডিবির। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বৃহত্ বিদ্যুেকন্দ্র প্রকল্প গ্রহণ করা শুরু হয়। তাও বেসরকারি খাতকেই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

তবে আগে অভিজ্ঞতা নেই এবং আর্থিকভাবে দুর্বল—এমন উদ্যোক্তাকেও বিদ্যুেকন্দ্রের কাজ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতের ২০টি কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল কেন্দ্রের জন্য চুক্তি সই হয়। এসব কেন্দ্রের বেশিরভাগই তেলভিত্তিক। এর মধ্যে চালু হয়েছে ১৭টি।

বাকি তিনটি এখনও উত্পাদনে আসতে পারেনি। সরকারি খাতে নেয়া পিকিং কেন্দ্রের মধ্যেও বেশকিছু কেন্দ্র তেলনির্ভর। এছাড়া ১৪টি বেসরকারি বিদ্যুেকন্দ্রের (আইপিপি) জন্য চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এর ১১টিই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগের ভূমি উন্নয়ন কাজ এখনও শুরুই করা হয়নি।

১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টির জন্য এখনও অর্থের সংস্থান হয়নি। উদ্যোক্তারা ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ঋণ পাচ্ছেন না। বিশ্বব্যাংকসহ বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণ দিতে চাচ্ছে না। বিদ্যুত্ খাতে স্বচ্ছতার অভাব এবং এ খাতে ঋণ দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় তারা এ বিষয়ে অনাগ্রহী। এর ফলে সরকারের নেয়া এসব আইপিপি প্রকল্প ঝুলে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় পিডিবিও প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যত্ নিয়ে সন্দিহান। এর ফলে আগামী বছর লোডশেডিংমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সরকারি পরিকল্পনারও হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে চুক্তি হওয়া ১৩টি আইপিপির জন্য মেঘনাঘাট ও বিবিয়ানার দুটি বাদে অন্য ১০টিই চলবে ফার্নেস অয়েলে। জামালপুরের একটি মাত্র কেন্দ্রে দ্বৈত জ্বালানি (গ্যাস ও তেল) ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে। তেলনির্ভর হওয়ায় এসব কেন্দ্রের বিদ্যুতের দামও বেশি পড়বে।

এ কারণে এসব কেন্দ্রের জন্যও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, ফার্নেস অয়েলনির্ভর বিদ্যুেকন্দ্র হওয়ায় বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিতে কিছুটা অনাগ্রহী। তাদের মতে, এ জ্বালানিনির্ভর কেন্দ্রে কিছুটা পরিবেশ দূষণ হয়। চারদলীয় জোটের প্রথম তিন অর্থবছরে ভর্তুকি : জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত্ খাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট আমলের প্রথম তিন অর্থবছরে সরকার ভর্তুকি দেয় দুই হাজার ৪০১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া হয় ৬৫৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

আর জ্বালানি তেলে এক হাজার ৭৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বিদ্যুত্ খাতে দেয়া ভর্তুকির মধ্যে ২০০১-০২ অর্থবছরে পিডিবি লোকসান দিয়েছে ৩৭৫ কোটি ১১ লাখ টাকা; ২০০২-০৩ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ১১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। একই সময়ে জ্বালানি তেলে বিপিসি ২০০১-০২ অর্থবছরে লোকসান দিয়েছে ৭৮০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০০২-০৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ মাত্র ৭ কোটি ৬১ লাখ টাকায় নেমে আসে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ৯৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর উদ্যোগ নেয়ায় চারদলীয় জোট আমলে এই দুই খাতে সরকারকে অনেক কম লোকসান দিতে হয়েছে। এর ফলে তখন দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মহাজোটের প্রথম তিন অর্থবছরে ভর্তুকি : জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত্ খাতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট আমলের তিন অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৭৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতে ১১ হাজার ১৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং জ্বালানি তেলে ২২ হাজার ৫৭১ কোটি ২২ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়। বিদ্যুত্ খাতে তিন অর্থবছরের ভর্তুকির মধ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে পিডিবির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

বেশ কিছু তেলনির্ভর রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্র চালু হওয়ায় পরের অর্থবছরেই এটা সাত গুণেরও বেশি বেড়ে যায়। ২০১০-১১ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটিকে ভর্তুকি দিতে হয় চার হাজার ৬২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডলারের বিপরীতে টাকার মান এবং জ্বালানি তেলের দাম একই থাকলে এবং তেলনির্ভর কেন্দ্রে স্বাভাবিক উত্পাদন থাকলে চলতি অর্থবছর (২০১১-১২) শেষে বিদ্যুত্ খাতের ভর্তুকির পরিমাণ ৫ হাজার ৯৩০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে পিডিবি কর্মকর্তাদের ধারণা। তেলনির্ভর বিদ্যুেকন্দ্রে ভর্তুকি মূল্যে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করতে গিয়ে বিপিসির লোকসানও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিপিসির হিসেবে ২০০৯-১০ অর্থবছরে তারা লোকসান দেয় দুই হাজার ৫৭১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

২০১০-১১ অর্থবছরে এর পরিমাণ তিনগুণের বেশি বেড়ে যায়। গত অর্থবছর বিপিসির লোকসান হয় ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ডলারের বিপরীতে টাকার মান এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম একই থাকলে চলতি অর্থবছর (২০১১-১২) শেষে জ্বালানি তেল খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রের মাধ্যমে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী-শিল্পপতিকে সুবিধা না দেয়া হলে সরকারকে এই পাহাড়সম ভর্তুকি দিতে হতো না। আর এখন দেশের অর্থনীতিও এতটা নাজুক হতো না।

ভর্তুকি আরও বাড়বে : জ্বালানি তেলনির্ভর রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্রই সরকারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কেন্দ্রের বাইরে আরও পিকিং ও আইপিপির জন্য সরকার চুক্তি করেছে। এসব কেন্দ্রের বেশিরভাগই চলবে জ্বালানি তেলে। এসব কেন্দ্র উত্পাদনে এলে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়বে। বর্তমানে মাঝেমধ্যেই একটি-দুটি করে তেলনির্ভর বিদ্যুেকন্দ্র চালু হচ্ছে।

আর সরকারের ওপর ভর্তুকির বোঝা চাপাচ্ছে। কারণ বেসরকারি মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে কিনে কম দামে ওই বিদ্যুত্ জনগণের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ভর্তুকির বোঝা বহন করতে গিয়ে গোটা অর্থনীতির এখন নাকাল অবস্থা। এ অবস্থার মধ্যে আগামী দেড় বছর যে ২৬টি বিদ্যুেকন্দ্র চালু হওয়ার কথা রয়েছে তার বেশিরভাগই বেসরকারি খাতের জ্বালানি তেলনির্ভর কেন্দ্র। ফলে এ অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ দুরবস্থার কথা স্বীকার করে সরকার বলছে, আমরা জেনেশুনেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। জনগণের বিদ্যুতের দুর্ভোগ কমাতে এ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। যেভাবেই হোক ভর্তুকি দিয়ে এ বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। সরকারের বক্তব্য : কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই রেন্টাল পাওয়ার ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টের অনুমোদন দেয়ার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই দ্রুত বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যে ওইসব বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে দেয়া ওইসব বিদ্যুেকন্দ্র থেকে সরকার উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ কিনছে, এতে রাষ্ট্রের কতটুকু লাভ হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারের দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুত্ ঘাটতি ছিল, এখন তা নেই।

বিদ্যুত্ পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এতে ওইসব বিদ্যুেকন্দ্রেরও ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়ে ওইসব বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত্ না কিনে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোকে সচল করে অধিক পরিমাণ বিদ্যুত্ উত্পাদন করা যেত কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টে সরকার কোনো বিনিয়োগ করেনি। যারা ওই প্লান্ট নির্মাণ করেছে ক্ষতি হলে তাদেরই হবে। তারা যদি খারাপ যন্ত্রপাতি এনে টার্গেটের চেয়ে কম বিদ্যুত্ উত্পাদন করে তাহলে তাদেরই ক্ষতি হবে।

তাছাড়া কেউ যদি টার্গেট অনুযায়ী বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করারও বিধান রয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে বিদ্যুত্ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত বৈঠকের আগে আমার দেশের এ প্রতিনিধির এ প্রশ্নগুলোর জবাব দেন তিনি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক আমার দেশ-কে জানান, কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টগুলোর জন্য তেলের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও দেশের সেচের পরিধি ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেও জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা জ্বালানি তেল আমদানি করে মজুদ করেছি।

জ্বালানি তেল আমাদানিতে সরকারের ভুর্তকি বেড়েছে। বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ওইসব বিদ্যুত্ কেন্দ্রের মালিকরা তেল কোম্পানিগুলোর কাছ একই দামে জ্বালানি কিনে নিচ্ছে। রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টের জ্বালানির জোগান দিতে গিয়ে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে পিডিবি চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর কবির জানান, বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টগুলোতে উত্পাদিত বিদ্যুত্ উচ্চমূল্যে কিনতে হচ্ছে। এতে করে পিডিবি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার মূলত পিডিবিকে কোনো সাবসিডি দেয় না, যা দেয় সেটি হচ্ছে ঋণ।

গত সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে যেগুলো বিদ্যুেকন্দ্র আসবে সেগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুেকন্দ্র (আইপিপি)। রেন্টালের দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় আইপিপি থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিদ্যুত্ কেনা যাবে। তিনি আরও জানান, রেন্টাল কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুত্ কেনার চুক্তি ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদি।

এ মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভর্তুকির পরিমাণও অনেক কমে আসবে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য : সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান আমার দেশ-কে বলেন, রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্টের কারণে সরকারকে অতিরিক্ত টাকা ভুর্তকি দিতে হচ্ছে। আর এর বোঝা চাপছে জনগণের ওপর। সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করে কিছুটা হলেও ঋণের বোঝা কমানোর চেষ্টা করছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বোঝা জনগণকে কেন বহন করতে হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।

সরকার যদি অধিক পরিমাণ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের দিকে না ঝুঁকে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর উত্পাদন বাড়ানো এবং বিদ্যুেবার্ডের কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নিত সেটাই হতো যুক্তিযুক্ত। দেশের অর্থনীতিও এতটা ভঙ্গুর অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াত না। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয় সরকার কোনো ধরনের হিসাব-নিকাশ না করেই রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট স্থাপনের মতো একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাড়াভিত্তিক ওইসব বিদ্যুেকন্দ্রের জন্য অর্থের জোগান দিতে গিয়ে সরকারকে ব্যাংক লোন নিচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এখন ব্যাংক লোন পাচ্ছেন না।

নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন ও শিল্প উত্পাদন কমে গেছে। সার্বিকভাবে এ চিত্র দেশের জন্য কোনো অবস্থায় কল্যাণকর নয়। সরকার এসব ব্যয়বহুল বিদ্যুেকন্দ্রের দিকে না ঝুঁকে যদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুেকন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করত, তাহলে বিদ্যুতের এতটা ভোগান্তি হতো না। তাছাড়া এত পরিমাণ অর্থও ব্যয় হতো না। এছাড়াও সরকারের পক্ষেই হয়তো গত তিন বছরে বড় ধরনের আরও দু-একটি বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব হতো।

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে এখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে বলা যায়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট ও কুইক রেন্টাল পাওয়ারপ্লান্ট কোনোটাই উপযোগী নয়। দেশের বিশাল বিদ্যুত্ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সমাধানে সরকারের সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ মোটেও যৌক্তিক ছিল না। ভাড়া বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে, এ ধরনের আশঙ্কা অর্থনীতিবিদরা আগেই করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কায় সত্য হলো। তিনি বলেন, ভাড়া বিদ্যুেকন্দ্র কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।

তার চেয়ে পিডিবির অধীনে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুেকন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও উন্নত যন্ত্রপাতি সংযোজন করে আধুনিকায়ন করা হলে খরচ অনেক কম হতো এবং বিদ্যুত্ও আরও বেশি উত্পাদন হতো। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুত্কন্দ্রগুলোকে অনেকটা অকেজো রেখে বেসরকারিখাতে বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে সরকার উত্সাহিত করার ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ ভর্তুকির অর্থ সমন্বয় করার জন্য দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে। অপরদিকে জনগণও প্রাইভেট সেক্টরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে।

সরকারের এ নীতির পরিবর্তন না হলে সামনে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে এবং ভর্তুকির পরিমাণও বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মোহাম্মদ বলেন, রাষ্ট্রীয় বিদ্যুেকন্দ্রগুলোকে অকেজো ও দুর্বল রেখে বিনা টেন্ডারে ও নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে ভাড়া বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোকে দেয়াই হয়েছিল সরকারের কিছু লোককে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য। সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্র আজ শুধু অর্থ শূন্যই নয়, উল্টো ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এর চাপ পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। ভর্তুকির টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।

বেসরকারি খাতের ভাড়া বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি তেল আমদানি করতে গিয়ে বিপিসি দেউলিয়া হচ্ছে আর ভাড়া বিদ্যুেকন্দ্র থেকে অতি উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ কিনতে গিয়ে পিডিবি দেউলিয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংগুলোকেও সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে। শিল্পোদ্যোক্তরা এখন ব্যাংক লোন পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির এ চরম সঙ্কটের জন্য বিদ্যুত্খাত নিয়ে সরকারের ভুল নীতি এবং দুর্নীতিই দায়ী। সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আমার দেশ-কে বলেন, বিদ্যুত্ সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেসরকারিখাতে ওইসব বিদ্যুেকন্দ্রগুলো স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।

কিন্তু এটা ছিল একটা সাময়িক উদ্যোগ। ভাড়াভিত্তিক ওইসব বিদ্যুেকন্দ্রের জ্বালানি ও এগুলোতে উত্পাদিত বিদ্যুত্ উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে সরকারকে বিশাল অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এতে করে বেসরকারিখাত সমস্যাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুেকন্দ্রগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করলে অনেক কম অর্থ খরচ হতো। পাশাপাশি সরকারকে হয়তো এত পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হতো না।

আর অর্থনীতির ওপরও এতটা চাপ পড়ত না। প্রসঙ্গত, পিডিবির হিসাব অনুযায়ী, আগামী দেড় বছরে নতুন আরও মোট ২৬টি বিদ্যুেকন্দ্র চালু হবে। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি কেন্দ্র সরকারি খাতের। বাকি কেন্দ্রগুলো বেসরকারি খাতের। এর মধ্যে ১৭টিই জ্বালানিনির্ভর।

বাকি ৯টি কেন্দ্রে গ্যাসের পাশাপাশি তেলে চালানোর ব্যবস্থা থাকছে। এসব কেন্দ্র তেলে চললে পিডিবি ও বিপিসির লোকসান আরও বাড়বে। ২৬টি কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে মোট ২ হাজার ১৩৬ মেগাওয়াট। এসবই পিডিবিকে কিনতে হবে বেশি দামে। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুত্খাতে সরকারকে লোকসান দিতে হবে আরও প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।

একই সময় পর্যন্ত বিপিসির লোকসান হতে পারে আরও ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, এটা প্রাথমিক হিসাব। কিন্তু ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমতে থাকলে এবং জ্বালানি তেলের মূল্য আরও বাড়লে বিদ্যুত্ ও তেলে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়বে। ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হলে কিছুটা সমন্বয় করা যাবে। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, কোনো সরকারই মেয়াদের শেষ দিকে এসে তেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মতো অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে চায় না।

এটা হলে ভর্তুকির যে হিসাব করা হয়েছে, তা খুব বেশি একটা হেরফের হবে না বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.