আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহাম্মদ মুরসি চেয়ার জিতলেও ক্ষমতা পাবে না, আহমদ শফিক জিতলে লাশের বন্যা বইবে.....

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ কি হবে কি হবে না, কেউ জানে না কেউ জানে না। মিসরের রাজনীতিতে গা না ভিজিয়ে যারা মিসরের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছেন তারা সবাই চাইবেন আর যেই প্রেসিডেন্ট হোক শুধু মোবারকের সাথে সংশ্লিষ্ট কেহ না হোক। আরব বসন্তের যেই ধারা শুরু হয়েছে সেটা বজায় থাকুক। দীর্ঘদিনের স্বপ্নের স্বাধীন গনতন্ত্র ফিরে আসুক নিল নদের দেশে।

সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু হটাৎ সেনাবাহিনীর উলংগ পক্ষপাতিত্ব এখন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হবে, নাকি আমেরিকা ও ইজরাইলের হাতে আরেকবার গণতন্ত্র ধর্শিত হবে। ঘন্টা খানেক আগে শেষ হলো দুইদিনের নির্বাচন, এখন শুধু অপেক্ষার পালা। কিন্তু কতক্ষন অপেক্ষায় থাকতে হবে তার যেন কোন সিমারেখা নাই। তাই মানুষের মনে জল্পনা কল্পনার চেয়ে আতন্কই বেশি।

সাধারণ মানুষ হিসেব কসছে যে, কতটুকু পরিমান ব্যাবধান হলে কারচুপি করে ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব। সেনাবাহিনীর যেই অবস্থা তাতে ১৮ কে ২০ বানানো ছু মন্তর ছু। কিন্তু চিন্তা হলো, ১৫ কে কি ২০ বানানো সম্ভব হবে কি না? প্রথম পর্বের ফলাফলের হিসেবে আহমদ শফিক ৪০% এবং মোহাম্মদ মুরসি ৬০% ভোট পাবার কথা। কিন্তু নানা আতন্ক ও অবহেলার কারণে হয়ত মুরসির ৫% ভোট কাস্ট হতে নাও পারে সেক্ষেত্রে ৪৫% ও ৫৫% খুবই কাছাকাছি একটা হিসেব। সেনাবাহিনী এটি যদি পরিবর্তন করতে চায় তবে রেজাল্ট প্রকাশ করতে অনেক সময় নিতে হবে।

পরিস্থিতি অনুযায়ি, মুহাম্মদ মুরসি ১০০% কনফিডেন্ট, সতুরাং যদি তার দল হেরে যায় তবে তারা কোমরে কাপড় বেঁধে প্রতিবাদে নামবে। এবং রেজাল্ট প্রত্যাক্ষান করবে। যদি পরিস্থিতি এমনই হয়, তাহলে সেনাবাহিনীও পুর্ব ঘোষনা দিয়ে রেখেছে যে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর কোন রকম বিক্ষোভ মেনে নেয়া হবে না, এমনকি সেটা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছে যে যদি আহমদ শফিক নির্বাচনে জয়ী হয়েই যায় তবে ব্রাদারহুডের হাজার হাজার নেতাকে জেলবন্দি করা হবে। এবং তাহরীর স্কয়ারে লাশের সিরিয়াল পরবে।

রেজাল্ট আসা শুরু হয়েছে, মনে হচ্ছে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিকে, যদি ব্রাদারহুডের মুহাম্মদ মুরসি নির্বাচিত হয় তবে বাহ্যিকভাবে মিসরের পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে, কিন্তু অভ্যান্তরিন কোন্দল রয়ে যাবে সেনাবাহিনী ও ব্রাদারহোডের মাঝে। কারণ, সেনাবাহিনী অলরেডি কিছু আইনকরে ফেলছে যাতে নির্বাচিত সরকারের হাতে সম্পুর্ন ক্ষমতা না যায়। তাই বলাহচ্ছে, মুরসি চেয়ার জিতলেও ক্ষমতা পাবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।