আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৃষ্টি আকর্ষণ: সময় হয়েছে সংসদে,সংসদ সদস্যদের আচরণ বিধির লঙ্ঘনের জন্য আইন প্রণয়নের।

এই ব্লগে এমন অনেকেই আছেন যারা তার ছাত্র, কোন পেশায় তার ছাত্র ছাত্রী নেই সাংবাদিক থেকে কবি সাহিত্যিক ডাক্তার থেকে ব্যবসায়ী শুধু তাই নয় বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠজনদের অনেকই তার ছাত্র এবং গুণগ্রাহী । সদা হাস্যজ্জল ,সত্যভাষী , সদাচারণকারী এবং সৎ একজন মানুষ তিনি যাকে শুনতে পারা একটি ভাগ্যের বিষয় । জি আমি জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইয়েদ স্যার এর কথা বলছি খারাপ লাগে যখন দেখি একজন দেশ বরেণ্য মহান ব্যেক্তিকে অপমান করা হচ্ছে,অপদস্ত করা হচ্ছে তাও আবার তাদের দ্বারা যাদের হাতে আমরা তুলে দিয়েছি দেশের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব , মান-সম্মান । সংসদে বসে নেক্কারজনকভাবে তার নিন্দা করা হয়েছে বিগত কয়েকদিন যাবত তাও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে । কারণ ছিল স্যার তাদের মান হানি হয় এমন কিছু কথা বলেছেন যা পত্র পত্রিকায় এসেছে ।

কিন্তু তাই বলে ঘটনার কোনো সত্যি মিথ্যা যাচাই না করে এই ভাবে অশোভন আলোচনা করতে হবে সংসদের মত একটি স্থানে । প্রায় একদিন চুপ থাকার পর গতকাল টি এই বির সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুধু এত টুকু বলেন যে তার কোনো কষ্ঠ নেই এই দুর্ব্যবহারের জন্য কিন্তু কোনো বিষয় যেটা তাকে কষ্ঠ দিয়েছে তা হলো তাকে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাস করা হলো না একটিবার । তার উপর সংসদ সদস্যদের অভিযোগ ছিল তিনি নাকি বলেছেন তারা দুর্নীতিগ্রস্থ অথচ ভিডিও রেকর্ড দেখে এটা স্পষ্ঠ যে তিনি বলছেন যে কিভাবে একজন মন্ত্রী কিংবা জন প্রতিনিধি দুর্নীতিগ্রস্থ হন অথবা কিভাবে তারা তাদের নীতি থেকে সরে আসলে দুর্নীতির আশ্রযে চলে আসেন। বস্তুত এই কথাটিকে বিকৃত ভাবে পত্রিকায় চাপানো হয় কিন্তু তার জন্য কি সংসদ সদস্যরা এমন একজন সম্মানিত লোক যার সাথে দেশের সম্মান জড়িত তার ব্যাপারে এমন আলোচনা করতে পারেন সংসদে ? যাই হোক ধরে নিলাম স্যার নন একজন নাগরিক হিসেবেই আমি বা আপনি সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করলাম যেটা কিনা আমার সাংবিধানিক অধিকার তার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে এটা কোন আইনে আছে ?তাদের ধৃষ্টতা দেখুন তারা শুধু এই দুর্ব্যাবহারেই ক্ষ্যান্ত হননি তারা দাবি করেছে স্যার কে ক্ষমা চাওয়ার আদেশ দেয়ার জন্য এ কোন বর্বরতা? এ কোন হীনমনতা ? সুলতানা কামাল স্পস্থই বলেন কোনো সংবিধানে এটা লিখা নেই যে কেও সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করতে পারবেননা । কিন্তু দেখুননা এটা এখন স্পস্থই যে সরকারের সংসদ যে কিছু অপরিপক্ক ,অযোগ্য এবং অসৎ লোক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এবং তা আবার প্রমানিত হলো তাদের ব্যবহারের মাধ্যমে বলেনা চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ।

.যাই হোক আমি মনে করি স্যারের সাথে তাদের এহেন আচরণের জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত জাতির উদ্ধেস্শে কেননা তারা জাতির সম্মানের দিকে আঙ্গুলি উঠিয়েছেন যা কিনা আমাদের সম্পদ । এই ব্যক্তি আমাদেরকে হাসতে শিখিয়েছেন আমাদেরকে দিয়েছেন অনেক আর আপনারা নিয়েই গেলেন যখন দেবার পালা আসে তখন এমন করেই আমাদের অপমান আর গ্ল্হানি উপহার দেন । ভালো কিছু করতে পারেননা ঠিক আছে আমরা আশাও করি না অন্তত মুখটাও কি বন্ধ রাখতে পারেননা ? তাই বলছি আইন হওয়া উচিত সংসদে সংসদ সদস্যদের আচরণ বিধির লঙ্ঘনের জন্য । অনেক কিছু বলে ফেললাম স্যার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার জায়গা থেকে আশা করব স্যার তার উদার মন দিয়ে এইসব অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.