আমার লেখা পড়ে.................. দৃষ্টি আকর্ষণ! দৃষ্টি আকর্ষণ !! দৃষ্টি আকর্ষণ !!!
যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ কাকা, আমাদের লজ্জা ও ঋণ মুক্তির সুযোগ ।
==================================
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
। সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে ।
তার বয়স এখন ৭৪ । তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে । শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই । সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ।
ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে । কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই । পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে । কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ । দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন।
এরপর চলে গেছে অনেক বছর । জীবনে করতে পারেন নি কিছুই । কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা । আজ তার বয়স ৭৪ । এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে ।
তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই । আমার সমাধি যেন হয় এদেশে । বড় ধনী মানুষ । আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ।
জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই । দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন । স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক ।
হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও । আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো । পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো । হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব ।
সেই মত চেষ্টা চলছে । কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না । কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না । তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে ।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি । পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা । যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন । তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না ।
বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না । যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন । আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন । কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন । তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ । আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা । পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
।
সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে । তার বয়স এখন ৭৪ । তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে ।
শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই । সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে । ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে । কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই ।
পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে । কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ । দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন। এরপর চলে গেছে অনেক বছর । জীবনে করতে পারেন নি কিছুই ।
কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা । আজ তার বয়স ৭৪ । এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে । তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই ।
আমার সমাধি যেন হয় এদেশে । বড় ধনী মানুষ । আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে । জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই ।
দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন । স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক । হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও । আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো ।
পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো । হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব । সেই মত চেষ্টা চলছে । কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না ।
কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না । তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে । কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি । পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা । যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন । তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না । বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না । যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন ।
আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন । কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন । তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ ।
আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা । পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
। সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 ।
আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে । তার বয়স এখন ৭৪ । তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে । শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই । সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে । ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে । কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই । পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে । কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ ।
দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন। এরপর চলে গেছে অনেক বছর । জীবনে করতে পারেন নি কিছুই । কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা । আজ তার বয়স ৭৪ ।
এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে । তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই । আমার সমাধি যেন হয় এদেশে । বড় ধনী মানুষ ।
আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে । জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই । দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন ।
স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক । হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও । আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো । পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো । হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব । সেই মত চেষ্টা চলছে । কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না । কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না ।
তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে । কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি । পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা । যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন ।
তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না । বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না । যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন । আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন । কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন ।
তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ । আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা । পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
। সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে । তার বয়স এখন ৭৪ ।
তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে । শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই । সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে । ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে ।
কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই । পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে । কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ । দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন। এরপর চলে গেছে অনেক বছর ।
জীবনে করতে পারেন নি কিছুই । কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা । আজ তার বয়স ৭৪ । এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে । তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই । আমার সমাধি যেন হয় এদেশে । বড় ধনী মানুষ । আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে । জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই । দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন । স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক । হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও ।
আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো । পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো । হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব । সেই মত চেষ্টা চলছে ।
কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না । কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না । তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে । কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি ।
পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা । যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন । তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না । বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না ।
যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন । আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন । কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন । তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ । আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা । পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
। সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে । তার বয়স এখন ৭৪ । তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে । শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই ।
সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে । ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে । কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই । পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে ।
কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ । দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন। এরপর চলে গেছে অনেক বছর । জীবনে করতে পারেন নি কিছুই । কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা ।
আজ তার বয়স ৭৪ । এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে । তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই । আমার সমাধি যেন হয় এদেশে ।
বড় ধনী মানুষ । আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে । জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই । দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন । স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক । হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও । আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো । পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো ।
হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব । সেই মত চেষ্টা চলছে । কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না । কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না । তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে । কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি । পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা ।
যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন । তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না । বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না । যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন । আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন ।
কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন । তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ । আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা ।
পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
। সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযুদ্ধা দিলীপ সাহেবের বাড়ীতে ।
তার বয়স এখন ৭৪ । তার শরীরের ডান পাশ কাপতে থাকে । শ্বশুড় বাড়ীতে পাওয়া একটুকরো বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই । সরকার থেকে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা ২০০০/= টাকা আর আর গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে টাঙ্গাইল ও আশে পাশের জেলা গুলোতে খালি গলায় আব্দুল জব্বার, কিশোর কুমারের গান গেয়ে ৫০/১০০ যা পান তা দিয়ে নিজের ও ছোট ছেলের সংসার চালান ।
তিনি যুদ্ধে যোগ দেন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ।
ভারত থেকে ২২ দিনের ট্রেনিং শেষ করে এসে যুদ্ধ শুরু করেন কর্ণেল তাহেরের ফোর্সে । কোম্পানী কমান্ডার ছিল কর্ণেল তাহেরে ভাই । পরে যুদ্ধে আহত হলে একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায়ই তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে এসে যোগ দেন কাদেরিয়া বাহিনীতে । কাদেরিয়া বাহিনীল বিখ্যাত হনুমান কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধ শুরু করেন যদিও তখন বেশ অসুস্থ । দেশও িএক সময় স্বাধীন করেন।
এরপর চলে গেছে অনেক বছর । জীবনে করতে পারেন নি কিছুই । কেউ কেউ আশ্বাস দিয়ে ভুলে গেছে, কেও বা হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন ৫০/১০০ টাকা । আজ তার বয়স ৭৪ । এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাইল হেটে আসেন কালীহাতি বাজারে ।
তারপর গান গেয়ে কোন মতে জীবন-যাপন ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম এত অভাব করেও আপনি কেন এদেশে? কিছুটা আবেগ- আপ্লুত হয়ে উত্তর দিলেন- কেন যামু, এ দেশতো আমারই । আমার সমাধি যেন হয় এদেশে । বড় ধনী মানুষ । আমাদের দেশের অনেকে সরকারী টাকায় পড়ালেখা করতে যেয়ে আর দেশে ফিরে না বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ।
জ্যাম, রাজনৈতিক অবস্থা, গরম, অর্থাভাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ওদের মত গরীব মানুষদের আমাদের দরকারও নেই । দরকার দিলীপ কাকার মত ধনী মানুষদের ।
আপনি নেটে বসে আমার লিখা পড়ছেন । স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক ।
হয়তো বেশ খানিকটা আরামেই আছেন অনেক না পাওয়া নিয়েও । আপনার জন্য যিনি জীবন দিতে গিয়েছিলেন , যিনি আমাকে বলেছেন আমি মরে যাই যেতাম তাতে কি, একটা দেশতো ভবিষ্যতের মানুষ জন পাইতো । পাকিস্তনীদের অত্যাচার থেকে তো অন্যান্যরা ভালো থাকতো । হয়ত আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই যিনি আপনার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলেন, আহত হয়েছেন আপনি তার ঋণ কতটা শোধ করেছেন ?!!! এ সুযোগে কিছু ঋণ শোধের চেষ্টা করতে পারেন ।
আমরা তার জন্য স্থায়ী কিছু করে দিব ।
সেই মত চেষ্টা চলছে । কেও যদি ভাবেন আপনি তাকে দয়া বা সাহায্য করতে চান প্লিজ আপনি আমাদের দলে যুক্ত হবেন না । কারণ তাকে কি সাহায্য করবো? তার প্রাপ্যটুকুইতো এখন শোধ করতে পারিনি আমরা ।
আর একটি কথা দিলীপ সাহেবকে গত দু-তিন দিন ধরে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাইতে পারছেন না । তাকে প্ল্যাকার্ড ঝোলাতে নিষেধ করা হয়েছে ।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাকর, মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য লজ্জাকর ইত্যাদি ইত্যাদি । পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার লেখার সূত্রধরে কালেরবার্তা বা কালের খেয়া - এ জাতীয় কোন একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয় যাতে লিখাছিল দিলীপ সাহেব ভিক্ষা করেন !!!!! তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন ইত্যাদি ইত্যাদি । এরপর থেকে তার উপর এ নির্দেশনা । যিনি এ খবরটি ছপিয়েছেন তিনি নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়েই এ কাজ করেছেন । তাই আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ তাকে ভিক্ষুক বানাবেন না ।
বা আমার লিখার সূত্র ধরে কোন খবর ছাপাবেন না । যারা যারা ঋণ শোধের এ সুযোগ গ্রহন করবেন দয়া করে তার পরিমান ওপের পেইজে দিয়ে দিবেন । আর আমার ইনবক্সে সম্ভব হলে কোন একাউন্টে, কত তারিখে, কত টাকা, স্লিপ সম্বর সহ পাঠিয়ে দিবেন । কেউ নাম প্রকাশ করতে না চাইলে জানিয়ে দেবেন । তবে নাম প্রকাশ করলে আপনার অন্যকোন ফেবু বন্ধুও আগ্রহী হতে পারে ।
চলুন ভাই ঋণ শোধ করি ।
একাউন্ট নম্বর
অনলাইন ব্যাংক -
১. Dhaka Bank , Irin Perven ,একাউন্ট নম্বর - 0223200000017336,
২. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (UCB),Irin Perven, একাউন্ট নম্বর -005612100072369,
৩. Dutch bangla bank, Irin Perven, একাউন্ট নম্বর - 148 105 2140
এছাডাও
4) national bank,irin perven,mohamad pur br,savings acc. no.- 34008835
(কেউ সরাসরি দিতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুণ । আর যারা স্ব-শরীরেও অংশগ্রহন করতে চান তাদেরকে প্রাণ ভরে আন্তরিক আমন্ত্রণ)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থের পরিমান
================
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - দশ হাজার - ১০,০০০ (ফেবু)
কবি আলী আফজাল খান - পাঁচ হাজার - ৫০০০ (ফেবু)
ফাইয়াজ চৌধরী- (৭ম শ্রেণীর ছাত্র) - ১০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (চাকুরীজিবী) - পাঁচ শ - ৫০০
পূর্ণতা (জেএসসি পরীক্ষার্থী) - পাঁচশ - ৫০০
(ছবিটি আমার তোলা । পাশে তার স্ত্রী)
আপনি আমাদের সাথে আর্থিক/মানুসিক ভাবে যুক্ত হলে অবশ্যই অবশ্যই লিখাটি শেয়ার দিন ।
—ফেইস বুক লিঙ্ক - Click This Link
কয়েক দিন আগে কবি ও সম্পাদক সরয়ার জাহান-এর তোলা ছবির সূত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ সাহেবেকে নিয়ে ২ টি পোষ্টি দিয়েছিলাম Click This Link
notif_t=photo_comment&theater
।
সাথে সাথে বেশ কয়েকজন সাড়াও দিয়েছেন ফোনে, ইনবক্সে, আর পোষ্টের নিচে ।
কেও যদি ভাবেন আমি/আমরা ধন্যবাদ দিব তাহলে ভুল করবেন 3 । আপনি আপনার ঋণ শোধ করবেন এতে আমি/আমরা কেন ধন্যবাদ দিব?!
যাই হোক গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।